সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০

 


শিয়াদের ব্যাপারে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র ফাতওয়া ও শিয়াদের ব্যাপারে শরিয়তের ফায়সালা কী? জবাবে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "কোনাে রাফেযি বা শিয়া যদি হযরত আমিরুল মুমেনিন আলি মুরতাদ্বা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে শাইখাঈন (হযেরত আবু বকর ও ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম 'র উপর মর্যাদা দেয়, তাহলে সে মুবতাদী বা বিদআতি। যা খােলাসাতুল ফাতওয়া ও আলমগিরিসহ অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। আর যে ব্যক্তি হযরত আবু বকর সিদ্দিক ও ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উভয়ের বা তাদের মধ্যে থেকে একজনের ইমামতকেও অস্বীকার করে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে বলে ফকিহরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মুতাকাল্লেমীন বা আকায়েদের ইমামগণ তাদেরকে বিদআতি বলেছেন। আর এটাই অতীব সাবধানতামূলক রায়।


আর যদি আল্লাহ তায়ালার জন্য 'শুরু আছে' আকৃিদা পােষণ করে অথবা বর্তমান

কুরআনকে অসম্পূর্ণ বলে আক্বিদা রাখে, অথবা বলে যে, এখানে সাহাবাগণ বা অন্যরা তাতে কিছু বিকৃত করেছে, অথবা আমিরুল মুমেনিন আলি মুরতাদ্বা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা আহলে বায়তের মধ্য থেকে কোনাে ইমাম আল্লাহর কাছে পূর্ববর্তী নবিগণের চেয়ে উত্তম, (যেমন আমাদের দেশের রাফেযিরা বলে) তাহলে নিশ্চয় এমন আক্বিদা পােষণকারী অকাট্যভাবে কাফের। মুরতাদের ফায়সালার মতােই তার ফায়সালা আরােপিত হবে। ফাতওয়ায়ে যাহিরিয়াহর বরাতে আলমগিরিতে এমনটি বিবৃত হয়েছে। 

এছাড়া আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাব আহকামে শরিয়ত, ফাতওয়ায়ে আফ্রিকা ও ফাতওয়ায়ে রেভিয়্যাহতে শিয়াদের ব্যাপারে শরিয়তের ফায়সালা দিয়েছেন দলিল চতুষ্টয়ের আলােকে। 

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ৩১৬-৩১৭)।


বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০


ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু শরয়ী ফয়সালার বিষয়ে তিল পরিমাণ এদিক সেদিক করতেন না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত কোনাে প্রকার আবেগাপ্লুত হয়ে শরিয়তের রাস্তা হতে এক মুহূর্তের জন্যও খসে পড়েননি। অন্যায় অবিচার তাঁর চক্ষুশূল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যেমন ছিলেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, তেমনি সত্যের ব্যাপারে ছিলেন খুবই কোমল। শরয়ী সাবধানতা ছিলাে তাঁর অন্যতম গৌরবময় দিক। এমনকি একটি কুকুরের প্রতিও তিনি কোনাে শরয়ী অসাবধানতা ও ঘৃণ্য শব্দ ব্যবহার করতেন না। একদা আ'লা হযরতের খলিফা মাওলানা আবু সিরাজ আবদুল হক রেজভি শামসি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র দরবারে অনুষ্ঠিত মিলাদুন্নবি মাহফিলে ওয়াজ করছিলেন।

এমতাবস্থায় তাঁর ফাত্ওয়া বিভাগের সামনে একটি কুকুর অযথা বসে থাকতে দেখে ওয়াজ রত মাওলানা শামসি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, এ ওহাবিকে (কুকুর) বের করে দাও।মাওলানা শামসি'র এ কথায় আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খুবই অসন্তষ্ট হয়ে বললেন,

মাওলানা চুপ থাকেন! মাওলানা এ কি কখনাে প্রিয় নবিজির শানে বেয়াদবি করেছে? খামােখা আপনি এটিকে ওহাবি খেতাবে ধিক্কার দিলেন? এ কুকুর আপনার কী অপরাধ করেছে, যে কারণে এটির উপর এত বড় অপবাদ! আপনি এটি থেকে এ ঘৃণ্য শব্দটি প্রত্যাখান করে নিন। কিয়ামত দিবসে যদি এ কুকুর খােদা তায়ালার দরবারে আপনার বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করে এ বলে "মাওলা আমি কী কখনাে নবিজির শানে বেয়াদবি করেছি? আমাকে কেনাে এ নিকৃষ্ট শব্দটি ব্যবহার করে কলঙ্কিত করা হয়েছে?" তখন আপনার উত্তর কী হবে? আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র এ প্রশ্নে উপস্থিত সকল জনতা এবং উপর্যুক্ত মাওলানা একেবারেই চুপচাপ। আ'লা।হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র চক্ষুদ্বয়ে অশ্রু বিসর্জিত হচ্ছিলাে। কিছুক্ষণ পর তিনি উক্ত মাওলানা।কে সম্বােধন করে বললেন- মাওলানা আপনি তাওবা করে নিন। আজকাল।রাসূলুল্লাহ ﷺ'র শানে বেয়াদবি ও ধৃষ্টতামূলক আচরণকারীকেই ওহাবি বলা হয়।


মনে রাখুন! হতে পারে কুকুর নাপাক প্রাণী; কিন্তু হুযুর ﷺ'র শানে।অবমাননাকারী তাে নয়। প্রাণীরাও তাে হুযুর ﷺ কে তা'জিম প্রদর্শন করে।


প্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করুন, আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু শরিয়তের মাসআলা - মাসায়েলের ব্যাপারে কী পরিমাণ সতর্কতা অবলম্বন করতেন। তিনি যখন-তখন,যাকে - তাকে কাফের আখ্যায়িত করতেন না, তবে কারাে আক্বিদায় কুফরি প্রকাশ পেলেই তাকে

 কাফির বলতে দ্বিধা করতেন না। কারণ তিনি এটা ঈমানি দায়িত্ব মনে করতেন।

(মাওলানা আমানত রাসুল কাদেরি রেজভি মুস্তফভি রচিত "তাজাল্লিয়াতে ইমাম আহমদ রেযা",পৃষ্ঠা - ১৫২,আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ৭১-৭২)।




শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০


উত্তর : এখন আহলে বাইত বলতে প্রথমতঃ হযরত ফাতেমা যাহরা বতুল রাদিয়াল্লাহু আনহার বংশ বা আওলাদগণকে বুঝায়। তারপর হযরত আলী, হযরত আকিল, হযরত জাফর ও হযরত আব্বাছ রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের আওলাদ বা বংশধরগণকেও আহলে বাইত বলে গন্য করা হয়। হুযুর পূরনূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামের পবিত্রা বিবিগণ-অর্থাৎ উম্মাহাতুল মােমেনীনগণও আহলে বাইত। আল্লাহই সর্বজ্ঞ। (বিভিন্ন হাদীস ইহার প্রমাণ-অনুবাদক)।

_______________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড,পৃ:- ১৪)

মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

আমার আক্বা, আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, আলিমে শরীয়াত, পীরে তরীকত, হযরত আল্লামা মাওলানা আল হাজ আল হাফিয আল কারী আশ শাহ ইমাম আহমদ রযা খান (رحمة الله) একবার কোথাও আমন্ত্রিত ছিলেন। খাবার দেয়া হল। সকলে আ’লা হযরত (رحمة الله) খাওয়া শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আ’লা হযরত (رحمة الله) শশার থালা থেকে এক টুকরো নিয়ে নিলেন এবং খেয়ে নিলেন। তাঁর (رحمة الله) দেখা-দেখি লোকেরাও শশার থালার দিকে হাত বাড়ালেন কিন্তু তিনি (رحمة الله) সকলকে থামিয়ে দিলেন আর বললেন: সবগুলো শশা আমি খাব।সুতরাং তিনি (رحمة الله) সবগুলো শশা খেয়ে নিলেন। উপস্থিত লোকেরা আশ্চর্য হলেন, আ’লা হযরত (رحمة الله) তা খুব কম খাবার খান। আজকে এতগুলো শশা কিভাবে খেলেন! লোকেরা জিজ্ঞাসা করাতে বললেন: “আমি যখন প্রথম টুকরা খেয়েছি তখন সেটা তিক্ত ছিল। এরপর যখন দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি খাই তাও তিক্ত ছিল। সুতরাং আমি অন্যদেরকে থামিয়ে দিলাম, হয়তো কেউ শশা মুখে দিয়ে তিক্ত লাগলে থু থু করা শুরু করে দিবেন। যেহেতু শশা খাওয়া আমার প্রিয় প্রিয় মদীনে ওয়ালা মুস্তফা(ﷺ) এর মোবারক সুন্নাত, তাই আমার মনঃপূত হল না, এটা খেয়ে কেউ থু থু করবে।”

আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক।

    মুঝ কো মীঠে মুস্তফা কি সুন্নাতু ছে পেয়ার হে,

    দাে-জাহা মে আপনা বে-ড়া পার হে।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০

 


প্রশ্ন : আকাশের বিজলী কি জিনিস?

উত্তর : মেঘমালা পরিচালনার জন্য আল্লাহু তায়ালা একজন ফিরিস্তা মনােনীত করেছেন- যার নাম রাআদ। তার দেহ খুবই ছােট।

তার হাতে একটি বড় কোড়া রয়েছে। যখন উক্ত ফিরিস্তা মেঘমালায় কোড়া মারেন-তখন তার সংঘর্ষে মেঘমালা হতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বেরহয়। উহাকে বিজলী বলা হয়। আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।

_______________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড,পৃষ্ঠা - ১০)

মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০


আল্লাহ তাআলা তাঁকে অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী করেছিলেন। তিনি কমবেশি পঞ্চাটির বিষয়ে কলমধারণ করেছেন এবং

অনেক নামীদামী কিতাব রচনা করেছেন। প্রত্যেক শাস্ত্রে তাঁর  প্রচুর পারদর্শিতা ছিল। সময় নির্ণয় বিদ্যায় তিনি এতই পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন যে, দিনের বেলায় সূর্য এবং রাত্রি বেলায় নক্ষত্র দেখে তিনি নির্ভূলভাবে সময় নিরূপণ করতে পারতেন। এতে কখনও এক মিনিটেরও কমবেশী হত না। গণিত শাস্ত্রে তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।


কথিত আছে যে, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর জিয়া উদ্দিন, যিনি গণিত শাস্ত্রে বিদেশী ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং স্বর্ণ পদকও লাভ করেছিলেন। একদা কোন এক গাণিতিক সমস্যার সমাধানের জন্য

আ'লা হযরত এর দরবারে হাজির হন।

 আ'লা হযরত তাঁকে বললেন: "আপনার প্রশ্নটা বলুন।" তিনি বললেন: "প্রশ্নটা এতই জটিল যে, এ অবস্থায় সহজভাবে তা বলা যাবে না।" 

আলা হযরত তখন বললেন: "তাহলে বিস্তারিতভাবেই বলুন।" ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব আলা হযরত কে প্রশ্নটা বিস্তারিত

বললেন। প্রশ্নটা শুনে আ'লা হযরত  সাথে সাথেই তার সন্তোষজনক উত্তর দিয়ে দিলেন। তাঁর উত্তর শুনে ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব কিছুক্ষণ অবাক হয়ে রইলেন। তারপর তাঁকে বললেন: "হযরত! আমি এ প্রশ্নের সমাধানের জন্য জার্মান যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা সায়্যিদ সুলায়মান

আশরাফ সাহেব আমাকে সমস্যাটার সমাধানের জন্য প্রথমে আপনার নিকট

আসতে বলায় আমি এখানে আসলাম। আপনার উত্তর শুনে মনে হচ্ছে, আপনি সমস্যাটার সমাধান যেন বইতে নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন।"


আলা হযরতের এমন একটি জটিল প্রশ্নের জবাবে ডক্টর সাহেব আনন্দিত হয়ে গেলেন। আলাপ শেষে তিনি তাঁর নিকট থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। তাঁর জ্ঞানের গভীরতা ও ব্যক্তিত্বে তিনি এতই মুগ্ধ হয়ে গেলেন যে, মুখে দাড়ি রেখে দিলেন এবং নামায রােযার অনুসারী হয়ে যান। (হায়াতে আ'লা হযরত, ১ম খণ্ড, ২২৩, ২২৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)।(ইমাম আহমদ রযার জীবনী,পৃষ্ঠা - ৮,৯)

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০


 প্রশ্ন : নামাযের সময় লুঙ্গির প্যাচ খুলে নামায পড়া হয় কেন?

জবাব : রাছুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া ছাল্লাম নামাযে পরিধেয় কাপড় মােড়াতে নিষেধ করেছেন বলে। আল্লাহ্-ই সর্বজ্ঞ।

_________________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড)
মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

 


প্রশ্ন : কোন মহিলাকে তালাক দেওয়ার পর কতদিন পর সে দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবে?


উত্তর : তালাক দেওয়ার পর হায়েযওয়ালী মহিলা পূর্ণ তিন হায়েয অতিবাহিত হওয়ার পর বিবাহ করতে পারবে। আর মহিলা যদি

হায়েযওয়ালী না হয়-তাহলে তিনমাস পর। আর যদি গর্ভাবস্থায় তালাক হয়ে থাকে, তাহলে প্রসবের পর। উক্ত প্রসব যদি তালাকের ১ মিনিট পরেও হয় অথবা এক বছর পরে হয়, তাহলে প্রসবের পরপরই বিবাহ করতে পারবে। (এটাকে তালাকের ইদ্দত বলা হয়)।

___________________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড)
মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।


 প্রশ্ন - স্বামী মৃত স্ত্রীকে গােসল দিতে পারবে কি না এবং মৃত্যুর পর স্বামী তাঁর স্ত্রীর লাশ স্পর্শ করতে পারবে কি না।

উত্তর : মৃত স্ত্রীর কাফনের উপর স্পর্শ করতে পারবে এবং কবরেও নামাতে পারবে। কিন্তু খালী শরীর স্পর্শ করতে পারবে না সুতরাং গােসলও দিতে পারবে না। আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।

_______________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড)

মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি


আলাইহি।

 



উচ্চারণ:

ইয়া ইলাহী রহম ফরমা মােস্তফা কে ওয়াস্তে

ইয়া রাসূলাল্লাহ করম কী জিয়ে খােদা কে ওয়াস্তে।


অনুবাদ:


হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ মােস্তফা সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম'র দোহাই দিচ্ছি, আমাদের প্রতি রহম, কৃপা করুন। হে আল্লাহর রাসূল, আপনার দয়াময় প্রভু মহান আল্লাহর দোহাই, তাঁর দিকে চেয়ে আমাদের

প্রতি অনুগ্রহ করুন। (আমীন)


কাব্যানুবাদ:


হে ইলাহী, করাে গাে রহমত মােস্তফারই দেই দোহাই,

ইয়া রাসূলাল্লাহ, দয়া চাই, খােদ খােদারই দেই দোহাই ।



উচ্চারণ: 


মুশকিলেঁ হল কর শাহে মুশকিল কুশা কে ওয়াস্তে,

কর বালায়েঁ রদ শহীদ কারবালা কে ওয়াস্তে।


অনুবাদ:


দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করাে (হে খােদা), মুশকিল দূরীভূতকারী শেরে খােদা শাহে বেলায়ত (হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)'র ওয়াসীলায়।  শহীদে কারবালা (হযরত ইমাম হােসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র

ওয়াসীলায় বিপদ প্রতিহত করে দাও।


কাব্যানুবাদ:

যতই মুশকিল দাও হটিয়ে মুশকিল কুশা আলীর দোহাই,

দূর করাে বালা শহীদে কারবালারই দেই দোহাই ।




উচ্চারণ:


সায়্যিদ সাজ্জাদ কে সদকে মে সা-জিদ রাখ মুঝে,

ইলমে হক-দে বা-ক্বেরে ইলমে হুদা কে ওয়াস্তে।


অনুবাদ:


সাধক শ্রেষ্ঠ, সাইয়্যিদ যাইনুল আবেদীন (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র ওয়াসালীলায় আমাকে, হে প্রভু, ইবাদত রত রাখাে।

হযরত ইমাম বাকের (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু.)'র সদকায়, যিনি হেদায়তেরআধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পন্ন, আমাকেও সত্যের জ্ঞান দাও।


কাব্যানুবাদ:


সায়্যিদে সাজ্জাদেরই সদকায় রেখাে সাজিদ আমায়,

দাও হকের ইলম, শাহে বাকের 'হাদীয়ে ইলম'র দোহাই ।


উচ্চারণ:


সিদক্বে  সাদিক কা তাসাদ্দুক্ব সাদিকুল ইসলাম কর,

বেগদ্বব রাদ্বী হাে কা-যিম আওর রেযা কে ওয়াস্তে ।


অনুবাদ:


সত্যনিষ্ঠের সত্যতার সদকায় ইসলামে খাঁটি ও নিখাদ বিশ্বাসী করে দাও। হে প্রভু, তুমি হযরত মুসা কাযেম ও মুসা রেযা (রাদি.)'র ওয়াসীলায় আমার প্রতি ক্রোধবিহীন

অবস্থায় সম্ভুষ্ট হয়ে যাও।


কাব্যানুবাদ:


সা-দিক'র সত্যতার সদকা, ইসলামে সাচ্চা বানাও,

নয় গযব, হও রা-যী কাযেম ও রেযারই দেই দোহাই।


(হাদায়েক্বে বখশিশ'র পঙ্কক্তিমালা,আ'লা হযরত রচিত,কাব্যানুবাদ: মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান)। 


সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০


একদা এক জ্যেতির্বিদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (رحمة الله)এর দরবারে হাযির হল। তিনি তাকে বললেন, “বলুনতো, আপনার হিসাব মতে বৃষ্টি কবে আসতে পারে?” সে গণনা করে বললো, “এ মাসে বৃষ্টি হবে না, আগামী মাসে হবে।” আলা হযরত(رحمة الله) বললেন, "আল্লাহ তয়ালা তাআলা সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। তিনি চাইলে আজই বৃষ্টি বর্ষণ করতে পারেন। আপনি তারা গুলোকে দেখছেন আর আমি তারাগুলোর সাথে সাথে তারাগুলোর সৃষ্টিকর্তার কুদরতও দেখছি।” দেয়ালের উপর ঘড়ি ঝুলানো ছিল। তিনি (رحمة الله)ঐ জ্যোতির্বিদকে বললেন, “এখন কয়টা বেজেছে?” আরয করল,“সোয়া এগারটা।” তিনি বললেন, “বারোটা বাজতে আর কত দেরী? আরয করল, “পৌনে এক ঘন্টা।” তিনি বললেন, “পৌনে এক ঘন্টার পূর্বে বারোটা বাজা সম্ভব কি?” আরয করল, “অসম্ভব।” এটা শুনে আলা হযরত (رحمة الله) উঠে দাঁড়ালেন এবং ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দিলেন আর তৎক্ষণাৎ টন টন শব্দ করে বারোটা বাজতে লাগল।তিনি জ্যোতির্বিদকে বললেন, “আপনি তো বললেন, পৌনে এক ঘন্টার পূর্বে বারোটা বাজতে পারে না, এখন কিভাবে বাজল? আরয করল, “আপনি কাঁটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন, তাই। নতুবা আপন গতিতে চললেতো পৌঁনে এক ঘন্টা পরই বারোটা বাজত।” আলা হযরত (رحمة الله) বললেন, “আল্লাহ একক, সর্ব শক্তিমান। তিনি তারকাকে যেখানে চান পৌঁছে দিতে পারেন। আর আমার পালনকর্তা ইচ্ছা করলে আজ এবং এখনই বৃষ্টি বর্ষণ করতে পারেন।”আলা হযরত (رحمة الله) এর মুখ মোবারক থেকে এতটুকু বের হতে না হতেই চতুর্দিকে মেঘে ছেয়ে গেল আর রিমঝিম করে বৃষ্টি পড়তে লাগল। (আনওয়ারে রযা, পৃ-৩৭৫, যিয়াউল কুরআন পাবলিকেশন্স, মরকযুল আউলিযা, লাহোর)।

আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁদের উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁদের সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক। আমিন বিজাহিন্নাবিয়্যল আমীন (ﷺ)।


“মওত নযদিক গুনাহো কি তাহি মাইলকে হোল

আ বরছ জা কে নাহা ধোলে ইয়ে পিয়াসা তেরা।” (হাদায়েখে বখশিশ শরীফ)।

 ______________________

ইসলামী বিশ্বকোষ  ও ইসলামিক বই সম্ভার

এপ্সে রয়েছে ২৩০ টি কিতাব

👉https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

🌬যাজাকাল্লাহু খাইরান

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০



এক বুড়ি যিনি আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (رحمة الله) এর মহিলা মুরিদ ছিলেন। তাঁর স্বামীর উপর হত্যার অভিযোগে শাস্তির হুকুম হয়ে গিয়েছিল যে, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং বার বছরের কারাদন্ড। আপিল দায়ের করা হল। যখন থেকে আপিল করা হয়েছিল তাঁর (ঐ মহিলার) বর্ণনা হল, আমি প্রতিদিন আলা হযরত (رحمة الله) এর খেদমতে উপস্থিত হতাম। ফয়সালার তারিখের কয়েকদিন আগে বুড়ি নিজেকে যথাযথভাবে পর্দাবৃত করে আলা হযরত (رحمة الله) এর দরবারে ফরিয়াদ নিয়ে উপস্থিত হলেন। বললেন,“বেশী পরিমাণে حَسْبُنَا اللهُ وَ نِعْمَ الْوَ كِيْلُ পড়তে থাকুন। মহিলাটি চলে গেলেন। অবশ্য মধ্যবর্তী সময়ে আরো কয়েকবার হাযির হলেন। তিনি (رحمة الله) একই দুআ পড়তে বললেন। শেষ পর্যন্ত ফয়সালার তারিখ আসল। হাযির হয়ে আরয করল, “হুজুর! আজ চূড়ান্ত রায় ঘোষণার কথা বললেন, “ঐ দুআ-ই পড়তে থাকুন। বুড়ি ঐ পুরানো উত্তর শুনে একটু অসন্তুষ্ট হলেন আর বকতে বকতে ফিরে যাচ্ছিলেন যে, যখন আপন পীরই কিছু শুনতে চাচ্ছেন না তখন অন্য কেউ কি শুনবে? আলা হযরত (رحمة الله) বুড়ির এই অবস্থা দেখে দ্রুত উঁচু আওয়াজে বুড়িকে ডাকলেন, আর বললেন, “পান খেয়ে নিন। বুড়ি বললেন, “আমার মুখে পান আছে।হুজুর বারবার বললেন, কিন্তু বুড়ি কিছুটা অসন্তুষ্টই ছিলেন।

অতঃপর তিনি (رحمة الله)নিজ হাত মুবারকে পান বানিয়ে দিতে দিতে বললেন, “ছাড়াতো পেয়ে গেলেন, এখন পানটা খেয়ে নিন।” তখন বুড়ি খুশি হয়ে পান খেয়ে নিলেন এবং ঘরের দিকে রওয়ানা হয়ে গেলেন। ঘরের নিকটে পৌঁছতেই ছেলেরা দৌঁড়ে এসে বলতে লাগল, এতক্ষণ আপনি কোথায় ছিলেন? তার বার্তা বাহক আপনাকে খুঁজছিলেন। খুশি হয়ে ঘরে গেলেন এবং তার বার্তাটি নিয়ে পড়ালেন। তখন জানতে পারলেন যে, তাঁর স্বামী মুক্তি পেয়েছেন। (হায়াতে আলা হযরত, খন্ড-৩য়, পৃ-২০২, মাকতাবায়ে নববীয়্যা, মরকযুল আউলিয়া, লাহোর)

আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁদের উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁদের সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক। আমীন বিজাহিন্নাবিয়্যিল আমিন (ﷺ)


“তামান্না হে ফরমায়ে রোজে মাহশর,

ইয়ে তেরী রিহায়ী কি চিট্টি মিলি হে।”

(হাদায়েখে বখশিশ শরীফ)।


** সূত্র: ইসলামী বিশ্বকোষ।


বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০


আলা হযরত, ইমাম আহমদ রেযা খান (رحمة الله) এর এক মুরীদ ‘আমজাদ আলী খান কাদিরী রযবী’ (رحمة الله) শিকার করার জন্য বের হলেন। তিনি যখন শিকারের উপর গুলি চালালেন তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কোন এক পথচারীর গায়ে গুলি লাগল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল। কোর্টে হত্যা প্রমাণিত হল এবং ফাঁসির রায় দেয়া হল। পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজন নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে কাঁদতে কাঁদতে সাক্ষাতের জন্য পৌঁছল। তখন আমজাদ আলী সাহেব বলতে লাগলেন, আপনারা সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন, আমার ফাঁসি হতে পারে না। কারণ আমার পীর ও মুর্শিদ সায়্যিদী আলা হযরত (رحمة الله) স্বপ্নে এসে আমাকে এ সুসংবাদ দিয়েছেন যে, “আমি আপনাকে মুক্তি দিলাম।” কান্নাকাটি করে লোকেরা চলে গেল। ফাঁসির তারিখে পুত্র শোকে স্নেহ ময়ী মা কাঁদতে কাঁদতে আপন স্নেহের পুত্রের শেষ সাক্ষাতের জন্য আসলেন।الحمد الله عز و جل আপন মুর্শিদের উপর এমনই দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে এমনিই হওয়া চাই। মাকেও অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে আরজ করলেন, “মা আপনি চিন্তিত হবেন না, ঘরে চলে যান। ا ن شا ء الله عزو جل আজকের নাশতা আমি ঘরে এসেই করব।” মা চলে যাওয়ার পর আমজাদ আলীকে ফাঁসির কাষ্ঠে হাযির করা হল। গলায় ফাঁসির রশি পরানোর আগে নিয়মানুসারে যখন তাঁর শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল তখন তিনি বলতে লাগলেন, “জিজ্ঞাসা করে কি লাভ হবে? এখনোতো আমার সময় আসেনি।” তারা মনে করল, মৃত্যুর ভয়ে তাঁর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই ফাঁসি দাতা ফাঁসির রশি তাঁর গলায় পরিয়ে দিল। এমনি মুহুর্তে তারযোগে বার্তা এসে গেল যে, “মহারাণী ভিক্টোরিয়ার মুকুট পরিধানের খুশিতে এতজন হত্যাকারী ও এতজন কয়েদীকে ছেড়ে দেয়া হোক।” তাৎক্ষণিকভাবে রশি খুলে তাঁকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে মুক্তি দেয়া হল। এদিকে ঘরে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। সবাই লাশ আনার ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত ছিল। আর তখনই আমজাদ আলী সাহেব ফাঁসির মঞ্চ থেকে সোজা নিজ ঘরে পৌঁছল এবং বলতে লাগল, “আমার জন্য নাস্তা আনুন! আমি বলে দিয়েছিলাম যে,ان شاء الله عزوجل নাস্তা ঘরে এসেই করব। (তাজালি−য়াতে ইমাম আহমদ রযা, পৃ-১০০, বরকাতি পাবলিশার্স, বাবুল মাদীনা)।


“আহে দিলে আছির ছে লব তক ন আয়ি থি,

আওর আপ দৌড়ে আয়ে গ্রেফতার কি তরফ।”

(যওকে নাত)

সূত্র: ইসলামী বিশ্বকোষ।



মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০



 কৃত: আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

♥♥♥♥♥♥♥

এয়া এলাহী! তব দান সদা যেন সঙ্গে থাকে!

সংকট হলে তখন যেন মুক্তিদাতা সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! যাবো ভূলে তব আমি মরণ - জ্বালা!

সুন্দরতম মোস্তফার দীদার যদি ভাগ্য থাকে।

এয়া এলাহী! আসবে যখন আধাঁর গোরের কঠিন রাত,

নূরী নবীর চেহারা যেন ঊষার মত দীপ্ত থাকে।

এয়া এলাহী! হাশর মাঠে পড়লে গোল ধর - পাকড়ের,

ত্রানকর্তা দয়ালু নবীর শরণ যেন সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! কঠিন তৃষায় জিহবা যবে বেরিয়ে আসে,

'কাওসার' - এরই মালিক দাতার দান যেন মোর সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! হাশর - রবির হবে যখন ভীষণ তাপ,

ছায়াবিহীন নূর - নবীর ঝান্ডা যেন ছাইয়ে থাকে।

এয়া এলাহী! রোজ হাশরের তাপ জ্বালাবে যখন কায়া,

প্রিয় নবীর দামন যেন শীতল বায়ু দানতে থাকে।

এয়া এলাহী! আমলনামা খুলে যখন প্রকাশ পাবে,

সৃষ্টি - পাপ গোপনকারীর আঁচল যেন ঢাকা থাকে।

এয়া এলাহী! অশ্রুধারায় করলে সিক্ত পাপ - তালিকা,

ওই হাস্যোজ্জ্বল ওষ্ঠদু'টির দো'আ যেন সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! হাস্যোল্লাস কাঁদায় যখন রক্তাশ্রু,

আশার আধার শফী'র যেন মুক্তাশ্রু সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! বল্গাছেঁড়া কর্ম যখন দেখতে পাবো,

নিচু - লাজুক ওই দৃষ্টির কৃপা যেন সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! চলব যখন পুল - সেরাতের আঁধার রাহে,

হিদায়তের নূর - হাশেমীর সূর্য যেন সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! অসির ধারে চলতে হবে যেই ক্ষনে,

'রাব্বি সাল্লিম' বলেন যিনি,তিনি যেন সেথা থাকে।

এয়া এলাহী! বৈধ যতো যাচবো আমি তোমার সনে,

ওই দো'আতে পুণ্যাত্মাদের 'আ - মী - ন' যেন সঙ্গে থাকে।

এয়া এলাহী! নিদ্রা কেটে জাগে যবে রেযার শির,

নবী - প্রেমের বিনিদ্র ধন তখন যেন সঙ্গে থাকে।

[বি:দ্র: এখানে শুধু উর্দু মুনাজাতটির বাংলা কাব্যানুবাদ উল্লেখ করা হলো]

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

জনাব সায়্যিদ আইয়ুব আলী শাহ সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বর্ণনা করেন: শৈশব কালে তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কে পবিত্র কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য জনৈক মাওলানা সাহেব তার ঘরে আসতেন। একদিনের বর্ণনা: মাওলানা সাহেব পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতে করীমার কোন এক শব্দের হরকত তাঁকে বারবার বলার পরও তাঁর ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ মুখ থেকে তা বের করতে পারলেন না, বরং তাঁর মুখ মোবারক থেকে মাওলানা সাহেব যেরূপ বলেছিলেন তার বিপরীতই বের হল। মাওলানা সাহেব শব্দটিতে ‘যবর’ উচ্চারণ করলেন কিন্তু। আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাতে “যের” উচ্চারণ করলেন। এ অবস্থা দেখে আ’লা হযরতের ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ পিতামহ হযরত মাওলানা রেযা আলী খান সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁকে (আ’লা হযরত) ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁর নিকট ডাকলেন এবং কুরআন শরীফ আনার জন্য বললেন। তিনি কুরআন শরীফ খুলে দেখলেন যে, উক্ত শব্দে কোন লিখক ভুলে যেরের স্থানে যবর লিখে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আ’লা হযরতের পবিত্র জবানে যা উচ্চারিত হয়েছিল, তাই সঠিক ছিল। তাঁর পিতামহ তাঁকে (আ’লা হযরতকে) জিজ্ঞাসা করলেন: “বৎস! মাওলানা সাহেব তোমাকে যেরূপ বলেছিলেন তুমি সেরূপ বলনি কেন? আরজ করলেন: “আমি মাওলানা সাহেবের মত উচ্চারণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমি আমার জবানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ নিজেই বলেছেন যে: আমার উস্তাদ যার থেকে আমি ইবতেদায়ী কিতাব সমূহ পড়তাম। যখন আমাকে সবক পড়ানো হত। আমি এক দু’বার দেখে কিতাব বন্ধ করে দিতাম। যখন সবক শুনতেন তখন অক্ষরে অক্ষরে শব্দে শব্দে শুনিয়ে দিতাম। প্রতিদিন এই অবস্থা দেখে তিনি খুবই আশ্চর্য হতেন। তিনি একদিন আমাকে বললেন: “প্রিয় বৎস আহমদ! তুমি বল, তুমি কি মানুষ না জ্বিন? আমার পড়াতে দেরী হয় কিন্তু তোমার মুখস্থ করতে দেরী হয় না!” তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বললেন: “আল্লাহর তাআলার জন্য সকল প্রশংসা, আমি মানুষ। তবে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয়েছি।” (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ৬৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)।

আল্লাহ তা‘আলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে মাগফিরাত হোক।

ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ

ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ

_________________

ইমাম আহমদ রেযার জীবনী

🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

সূত্র: ইসলামী বিশ্বকোষ।


শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০


আল্লাহ তাআলা তাঁকে অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী করেছিলেন। তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ

কমবেশি পঞ্চাটির বিষয়ে কলম ধারণ করেছেন এবং অনেক নামী-দামী কিতাব রচনা করেছেন। প্রত্যেক শাস্ত্রে তাঁর ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ প্রচুর পারদর্শিতা ছিল। সময় নির্ণয় বিদ্যায় তিনি এতই পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন যে, দিনের বেলায় সূর্য এবং রাত্রি বেলায় নক্ষত্র দেখে তিনি নির্ভূলভাবে সময় নিরূপণ করতে পারতেন। এতে কখনও এক মিনিটেরও কমবেশী হত না।

▪ গণিত শাস্ত্রে তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কথিত আছে যে, আলিগড় বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর জিয়া উদ্দিন, যিনি গণিত শাস্ত্রে বিদেশী ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং স্বর্ণ পদকও লাভ করেছিলেন। একদা কোন এক গাণিতিক সমস্যার সমাধানের জন্য আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর দরবারে হাজির হন। আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁকে বললেন: “আপনার প্রশ্নটা বলুন।” তিনি বললেন: “প্রশ্নটা এতই জটিল যে, এ অবস্থায় সহজভাবে তা বলা যাবে না।” আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তখন বললেন: “তাহলে বিস্তারিতভাবেই বলুন।” ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কে প্রশ্নটা বিস্তারিত বললেন। প্রশ্নটা শুনে আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ সাথে সাথেই তার সন্তোষ জনক উত্তর দিয়ে দিলেন। তাঁর উত্তর শুনে ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব কিছুক্ষণ অবাক হয়ে রইলেন। তারপর তাঁকে বললেন: “হযরত! আমি এ প্রশ্নের সমাধানের জন্য জার্মান যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা সায়্যিদ সুলায়মান আশরাফ সাহেব আমাকে সমস্যাটার সমাধানের জন্য প্রথমে আপনার নিকট আসতে বলায় আমি এখানে আসলাম। আপনার উত্তর শুনে মনে হচ্ছে, আপনি সমস্যাটার সমাধান যেন বইতে নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন।” আ’লা হযরতের এমন একটি জটিল প্রশ্নের জবাবে ডক্টর সাহেব আনন্দিত হয়ে গেলেন। আলাপ শেষে তিনি তাঁর নিকট থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। তাঁর জ্ঞানের গভীরতা ও ব্যক্তিত্বে তিনি এতই মুগ্ধ হয়ে গেলেন যে, মুখে দাড়ি রেখে দিলেন এবং নামায রোযার অনুসারী হয়ে যান। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২২৩, ২২৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)।

আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।

ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ

ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ

________________

ইমাম আহমদ রেযার জীবনী

🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

সূত্র: ইসলামী বিশ্বকোষ।


মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০



আবুল বশর হযরত আদম (আলাইহিস সালাম), হতে হযরত শীষ (আলাইহিস সালাম), হতে আনওয়াশ, হতে কিনান, হতে মিহলা হিল, হতে বিয়ারােদ, হতে হযরত ইদরিস (আলাইহিস সালাম), হতে মালিক মুতলাশিখ, হতে লায়িক, হতে হযরত নুহ (আলাইহিস সালাম), হতে হযরত শাম (আলাইহিস সালাম), হতে আরফখশদ, হতে শালিখ, হতে আবিদ, হতে হযরত হুদ (আলাইহিস সালাম) হতে শােরুহ বা আশরাগ, হতে মাখােদ বা নাখােদ,হতে তারিখ, হতে হযরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আলাইহিস সালাম), হতে হযরত ইসহাক (আলাইহিস সালাম),হতে ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম), হতে ইয়াহুদা, হতে রােয়িল, হতে তালস, হতে উতবা, হতে কীস, হতে সরদার মুকাল্লিব বিহ (মালিক তালুত), হতে আফগানাহ বা আরমিলাহ,
হতে সলীম বা সলম, হতে মিনদোল, হতে আরজন্দ, হতে তারিখ, হতে লুয়ি, হতে তালাল, হতে সাহব, হতে আবি, হতে কমর, হতে হারুন, হতে আশমােল, হতে আলম বা আলিম, হতে কবল, হতে মিতহাল, হতে হাদিফাহ, হতে আমাল, হতে করম, হতে ফিলুল, হতে আসম, হতে শীর, হতে কলয, হতে নুসরত, হতে মলখ, হতে শারােদ, হতে আশআছ, হতে আকরাম, হতে নাঈম, হতে আশমােওয়ায়িল, হতে নসর, হতে কারুন, হতে সালাহ, হতে সলম, হতে বাহলুল, হতে আনিন, হতে জামান, হতে মালিক আসকান্দার, হতে মালিক জালান্দার, হতে মুররাহ, হতে নঈম, হতে উতবা, হতে সলুল, হতে আইস, হতে সাহাবিয়ে রাসূল হযরত কুস আবদুর রশিদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হতে ইবরাহিম উরফ সটহবন, হতে শরফ উদ্দিন উরফ শযযােন, হতে বটহিয, হতে দাউদ খান, হতে দৌলত খান, হতে ইউসুফ খান কান্দাহারি, হতে আবদুর রহমান, হতে সাঈদ উল্লাহ খান, হতে মুহাম্মদ সাআদাত আলি খান, হতে মুহাম্মদ আযম খান হতে মুহাম্মদ কাজেম আলি খান, হতে মাওলানা রেযা আলি খান, হতে মাওলানা নক্বি আলি খান, হতে মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

[ড. মুহাম্মদ হাসন রচিত "মাওলানা নক্বি আলি খান হায়াত অওর ইলমি ওয়া আদবি কারনামে", পিএইচডি থিসিচ,ফিকরে রেযা নেটওয়ার্ক, পৃষ্ঠা: ৬০। ** মির্যা আবদুল ওয়াহিদ বেগ রচিত "হায়াতে মুফতিয়ে আ'যম হিন্দ", বেরেলি প্রকাশনী, পৃষ্ঠা: ১৫-১৬।
আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহির'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,
পৃষ্ঠা - ১৬২-১৬৩ ]

রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০


প্রখ্যাত আলা হযরত গবেষক পাকিস্তানের প্রথিতযশা, ইসলামি পণ্ডিত ড. মাসউদ আহমদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইমাম আহমদ রেযা ব্রিটিশ সরকার ছাড়াও ব্রিটিশ রাজন্যদের ঘৃণা করতেন প্রত্যেকটি কাজে। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, তিনি চিঠির খামে উল্টো দিকে ডাক টিকিট লাগাতেন।

সৈয়্যদ আলতাফ আলি বেরেলভীর বরাতে ড. মাসউদ আহমদ আরাে বলেন- "ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি চিঠির খামে ডাক টিকেট এমনভাবে সংযুক্ত করতেন
যাতে রানী ভিক্টোরিয়া, এডওয়ার্ড-৮ এবং জর্জ-৫ এর মাথা নিচের দিকে থাকে। (দৈনিক জং, করাচি, পৃষ্ঠা: ০৬, কলাম: ০৫,তারিখ- ২৫/০১/১৯৭৯ ইংরেজি।)

তিনি শুধু চিঠির খামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং পােস্ট কার্ডেও রাণী ও রাজার মাথা নিচের দিকে রেখে উল্টো দিক থেকে ঠিকানা লিখতেন। (প্রফেসর ড. মাসউদ আহমদ রচিত গুণাহে বে গুনাহি", প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা: ৩৭।)

জনাব ড. মাসউদ আহমেদ সাহেব অনেক কষ্ট করে পাকিস্তানের ইসলামাবাদস্থ আল্লামা ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাব আবরার হােসাঈনের কাছ থেকে তাঁর একটি পােস্ট কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহ করেন। যার মধ্যে রাণী ভিক্টোরিয়ার একটি ছবি রয়েছে যাতে রাণীর মাথা নিচের দিকে করে লাগানাে হয়েছে। দলিল চিত্র দ্রষ্টাব্য।
চিত্রটি গুনাহে বে-গুনাহি' নামক কিতাব থেকে নেয়া হয়েছে।

এটা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর একটি পােস্ট কার্ড। যাতে রাণী ভিক্টোরিয়ার একটি ছবি রয়েছে। আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র এ চিঠিটি
ভারতের আহমদাবাদস্থ মাদ্রাসায়ে তৈয়্যেবার শিক্ষক মাওলানা নাযির আহমদ রামপুরির কাছে প্রেরণ করেন। প্রেরণের তারিখ ছিলাে ইয়াউমুল আরাফা (আরাফার দিবস), ১৩১৩ হিজরি মােতাবেক ২৪ মে ১৮৯৬ ঈসায়ী। পত্রটি আহমদাবাদে পৌছে ২৭ মে ১৮৯৬ ঈসায়ী।(প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা: ৩৮-৩৯)
( আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ৮৭-৮৮)।


 


(৩৪ টি বিষয়ের ওপর ৫৫৫টি কিতাব) তালিকা নিম্নে পেশ করা হল।

★★ তাফসীর- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ ১২টি):

১. আযযিলালুল আনক্বা আন বাহরে সাবকাতিল আতক্বা (আরবি)

২. হাশিয়া-এ-তাফসীরে বয়যাবী শরীফ (আরবি)।

৩. হাশিয়া-এ-এনায়াতুল কাজী (আরবি)।

৪. হাশিয়া-এ-মোয়ালিমুত তানজিল (আরবি)।

৫. হাশিয়া-এ-আল ইতকান ফি উলুমিল কোরআন (আরবি)।

৬. হাশিয়া-এ-আদ্ দুররুল মানসুর (আরবি)।

৭. হাশিয়া-এ-তাফসীরে হাযেন (আরবি)।

৮. নায়েলুর রাহি ফি ফারক্কিররিহি ওয়ার রিয়াহি।

৯. আনওয়ারুল হুকুম ফি মায়ানি মিয়াদি ইস্তাজাবালাকুম।

১০. আসসালামসাম আল মুশাক্বক্কাক্ক ফি আয়াতি উলুমিল আরহাম।

১১. আননাফহাতুল ফাতিহা মিন মাসকি সুরাতিল ফাতিহা।

১২. কানযুল ঈমান ফি তারজুমাতিল কোরআন★★★

★★ হাদীস শরীফ- ( বিষয়ঃ ১টি, কিতাবঃ ৫৪ টি):

১. আররাওযুল বাহিজ ফি আদাবিত তাখরিখ (আরবী)

২. আননুযুমুস সাওয়াক্বিব ফি তাখরিজে আহাদিসিল কাওয়াকিব (আরবী)

৩. মাদারিজু তাবাকাতিল হাদিস (আরবী)

৪. ফজলুল ক্বাযা ফি রসমিল ইফতা (আরবী)

৫. আল বাহাসুল ফাহিম আন তুরুকি আহাদিসিল খাসায়িস।

৬. আসসিমাউল আরবাইন ফি শাফায়াতে সায়্যিদিল মাহবুবীন।

৭. জালালুল আফলাক বিজালালি হাদিসি লাওলাক।

৮. সাইলুল মুদ্দাইলি আহসানিদ্দোয়া।

৯. আম্মাউল হাযাক্ব বি মাসলাকিল নিফাক্ব।

১০. আযাবুল ইমদাদ ফি মুকাফিরাতি হুক্কুল ইবাদ।

১১. আল হাদায়াতুল মোবারাকা ফি খালাক্বিল মালাইকা।

১২. আল হাদ্দুল কাফ লি আহাদিসিদ দ্দোয়াফ (উর্দু)

১৩. আল আহাদিসিলি আরাবিয়া লিমাদহিল আমীরে মায়াভীয়া। ★★★

১৪. আল ইজায়াতুল রাজাভিয়া ফি মাবজালি মাজাতিল বাইয়াহ।

১৫. মুনিরুল আইন (উর্দু)

১৬. হাশিয়াতুল কাশফি আন তাজাউসি হাজিমিহিল উম্মতে আনিল আলফি (আরবী)

১৭. হাশিয়া বোখারী শরীফ (আরবী)

১৮. হাশিয়া মুসলিম শরীফ (আরবী)

১৯. হাশিয়া তিরিমিজি শরীফ (আরবী)

২০. হাশিয়া নাসায়ি শরীফ (আরবী)

২১. হাশিয়া ইবনে মাজাহ শরীফ (আরবী)

২২. হাশিয়া তায়াসিরে শরহে জামেয়িস সগীর (আরবী)

২৩. হাশিয়ায়ে তাক্বরীব (আরবী)

২৪. হাশিয়া মাসনাদে ইমামে আজম (আরবী)

২৫. হাশিয়া কিতাবুল হাজিজ (আরবী)

২৬. হাশিয়া কিতাবুল আসার (আরবী)

২৭. হাশিয়া মাসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (আরবী)

২৮. হাশিয়া তাহাবী শরীফ (আরবী)

২৯. হাশিয়া সুনানে দারমী শরীফ (আরবী)

৩০. হাশিয়া খাসায়েসে কোবরা (আরবী)

৩১. হাশিয়া কানযুল উম্মাল (আরবী)

৩২. হাশিয়া তারগীব ওয়াতারহীব (আরবী)

৩৩. হাশিয়া কিতাবুল আসমা ওয়াস সিফাত (আরবী)

৩৪. হাশিয়া আল ক্বাওলুল বাদীয় (আরবী)

৩৫. হাশিয়া নিলুল আওতার (আরবী)

৩৬. হাশিয়া আল মাকদিসুল হুসনা (আরবী)

৩৭. হাশিয়া আল আলিলি মাসনয়াহ (আরবী)

৩৮. হাশিয়া মাওদুয়াতে কাবির (আরবী)

৩৯. হাশিয়া আল ইশাবা ফি মারেফাতিস সাহাবা (আরবী)

৪০. হাশিয়া তাযকেরাতুল হুফফাজ (আরবী)

৪১. হাশিয়া উমদাতুল ক্বাবী (আরবী)

৪২. হাশিয়া ফাতুহুল বারি (আরবী)

৪৩. হাশিয়া এরশাদুল সারি (আরবী)

৪৪. হাশিয়া নাসবুর রায়াহ (আরবী)

৪৫. হাশিয়া জামেউল ওসায়েল ফি শারহিশ শামায়েল (আরবী)

৪৬. হাশিয়া ফয়জুল কদীর শরহে জামেয়িস সগীর (আরবী)

৪৭. হাশিয়া মিরকাতুল মাফাতিহ (আরবী)

৪৮. হাশিয়া আশিয়াতুল লোময়াত (আরবী)

৪৯. হাশিয়া মাজমাউ বিহারিল আনওয়ার (আরবী)

৫০. হাশিয়া ফাতহুল মোগাস (আরবী)

৫১. হাশিয়া মিজানুল এতেদাল (আরবী)

৫২. হাশিয়া আল ইলালুল মোতানাহহিয়াহ (আরবী)

৫৩. হাশিয়া তাহজিবুত তাহজীব (আরবী)

৫৪. হাশিয়া খোলাসাতু তাহজীবিল কামাল (আরবী)

★★ আক্বাইদ, কালাম, ফিকহ ও তাজবীদ- ( বিষয়ঃ ৪টি, কিতাবঃ ২৬৮টি):

১. মাতলাউল কামারাইন ফি এহানাতি সাবকাতিল ওমারাইন (উর্দু)

২. কাওয়ারেউল কাহহার আলাল মুজাচ্ছামাতিল ফুজ্জার (উর্দু)

৩. আল আকায়েদ ওয়াল কালাম (উর্দু)

৪. আল জারহুল ওয়ালেজ ফি বাতনিল হাওয়ারেজ (উর্দু)

৫. দাউন নিহায়া ফি আলামিল হামদি ওয়াল হেদায়া।

৬. আস সাইয়ুল মাশকুর ফি ইবদায়িল হাক্কিল মাজহুী।

৭. মেইবারুদ তালিব ফি শুউনে আবি তালিব।

৮. ইতেক্বাদুল আহবাব ফিল যিলে ওয়ালল মোস্তফা ওয়াল আলে ওয়াল আস।

৯. আল বুসরাল আযিলা মিন তুহফে আজিলা।

১০. মাকামেউল হাদিদ আলা খাদ্দিল মানাতিকিল জাদীদ।

১১. তাজাল্লেউল ইয়াক্বীন বি আন্না নাবিয়্যানা সাইয়্যেদুল মোরসালিন।

১২. হায়াতুল মাওয়াদ ফি বায়ানে সিমায়েল আসওয়াদ।

১৩. আল ফাউকাবাতুশ শাহবিয়্যাহ ফি কুফরিয়াতে আবিল ওহাবিয়্যাহ।

১৪. আরশুল ইজাজি ওয়াল ইকরাম লি আওযালি মালাকুল ইসলাম।

১৫. জাবলুল আহওয়ায়িল ওয়াহিয়া ফি বাবিল আমিরে মাআওবীয়া।

১৬. ফাতাওয়া আল কুওয়া লি কাশফি দাফিনিল্লাদোয়া।

১৭. কাওয়ারিউল কাহ্হার আলাল মুজাসসামাতিল ফুজ্জার।

১৮. ফাতওয়া আল হারামাইন বি রাজফি নাদওয়াতিল মাইন।

১৯. আল মাকালুল রাহি আন্না মুনকিরুল ফিকহি কাফির।

২০. আল মোতামাদুল মোস্তনাদ বেনায়ে নেজাহিল আবাদ।

২১. আসসুওলুল ইক্বাব আলাল মাসিহিল কাজ্জাব।

২২. রাদ্দুর রাফদ্বা।

২৩. দাফয়াতুল রাসআলা জাহিদিল ফাতিহা ওয়াল ফালাকি ওয়াননাস।

২৪. কাহুরুদদিয়ান আলা মুরতাদি বি কাদিয়ান।★★★

২৫. হুসসামুল হারামাইন আলা মানহারিল কুফরি ওয়াল মাইন।★★★

২৬. মুবিনু আহক্বাম ওয়া তাসদিকাতু আলাম।

২৭. তাহমিদে ঈমান বি আয়াতে কোরআন।

২৮. দামানে বাগ সিজনিস সুবুহ।

২৯. আল মুবিন খাতামুন নাবিয়্যিন।

৩০. মাক্বালু উরাফা বে ইজামে শারাফা ওয়া ওলমা।

৩১. আল ফুয়ুজাতুল মালাকিয়্যাহ লি মুহিবিব দাওলাতিল মাক্বিয়্যাহ।

৩২. লামআতুশ শাকআ লেহাদায়ে শিয়াতিশ শানআ।

৩৩. আস সিমসামুল হায়দারী আল হুকুক্বিল আয়ারি আল মুফতারি।

৩৪. মুবিনুল হুদা ফিনাক্বিযি ইমকানিল মুস্তফা।

৩৫. আসমারিমুর রাব্বানী আল ইসরাফিল ক্বাদিয়ানী

৩৬. যাফরুদ্দীন আল জাইয়্যিদ মুলাক্বক্বাবাবিহি বাতশি গাইয়্যিব।

৩৭. আল ফারকুল ওয়াজিব বাইনানা বিয়িল আযিয ওয়াল ওয়াহাবি আর রাজিয।

৩৮. দাওয়ামুল আইশ ফিল আইম্মাতি মিন কুরাইশ।

৩৯. তামবিহুল জুহহাল বিল হাম্মিল বাসিতিল মুতাআল।

৪০. জাওয়ারাহে তুরকি বা তুরকী।

৪১. আরবায়ে হাতুল আম্বারিয়া আনিল জুমরাতিল হায়দারিয়াহ।

৪২. আখবারিয়্যাহ কি কাশগীরী।

৪৩. চাবুকে লীস বার আহলে হাদীস।★★★

৪৪. নাক্বাউননিরা ফি শাহরিল জাউহারি মুলাক্বক্বাব বিহি আননিরা।

৪৫. আহকামুল আহকাম ফিততানাউলি মিন ইয়াদে নিমমালিহি হারাম।

৪৬. আন নাফসুল বাক্বার ফি কোরবানিল বাক্বার।

৪৭. আল আমরু বি এহতেরামিল মাক্বারিব।

৪৮. ইক্বামাতুল ক্বিয়ামাহ আলা তুইনিল ক্বিয়ামী লিনাকীই তাহমা।

৪৯. হুসনুল বারাআ ফি তানফিযি হুকমিল জামায়াহ।

৫০. আননায়িমুল মুকীম ফি ফারহাতি মাওলিদীন্নবীয়্যিল কারীম।

৫১. বাযলুস সাফাহ লিআবদিল মুস্তফা।

৫২. মনিরুল আইন ফি হুকমি তাক্ববিলিল ইবহামাইন।

৫৩. আর মাক্বালাতুল মুসফারাহ আন আহকামিল বিদআতিল মুক্বাফফরাহ।

৫৪. আল মুজাম্মেলুল মাদাদ আন্না সাবলল মুস্তফা মুরতাদ।

৫৫. আযওয়াদুল ক্বোরা লিমান ইয়াতলুবুসসিহাতা ফি ইজারাতিল ক্বোরা

৫৬. নাসিমুস সাবাহ ফি আন্নাল আযানা ইউহাবিবলু আল ওবা।

৫৭. আলা আলা মিনা সুকরি লি তালাবাতি সুকার রাদ্দীসির।

৫৮. জামালুল আজমাল লি তাওক্বিতি হুকমিস সালাতি ফিননাআন।

৫৯. মানযাউল মারাম ফি তাদাওয়ী বিল হারাম।

৬০. মা'দালুযযাল ফি ইসবাতিল হেলাল।

৬১. তাওয়ালিউনুর ফি হুকমিস সিরাজী।

৬২. আল বারিক্বাতুল লুমআ আলা সামিদি নুতক্বি বিল কুফরিতুআ।

৬৩. জামালু মরজিয়্যাহ আন্নাল মাকরুহা তানযিহা লাইসা বি মা'সিয়্যাহ।

৬৪. আনওয়ারুল ইনতিবাহ ফি হাল্লি নাদায়ি ইয়া রাসুলাল্লাহ।

৬৫. আনওয়ারুল আনওয়ার মাই ইয়াম্মাসালাতিল আসরার।

৬৬. আল বাসাতুল মুসাজ্জাল ফি ইমতিনাইয যাউজাতি বাদাল ওয়াত্বী লিল মুয়াজ্জল।

৬৭. হাশিয়াতু শরহে ফিক্বহে আকবর।

৬৮. হাশিয়াতু খায়ালি আলা শাহরি আক্বাইদ।

৬৯. হাশিয়াতু শারাহ আক্বাইদ আসয়াহ।

৭০. হাশিয়াতু শারহে মাওয়াক্বিফ।

৭১. হাশিয়াতু শারহে মাক্বাসিদ।

৭২. হাশিয়াতু মুমামমারাহ ওয়া মুসা ইয়ারাহ।

৭৩. হাশিয়াতু আততাফারারাক্বাত বাইনাল ইসলাম ওয়ায যিনদাক্বাহ।

৭৪. হাশিয়াতু ইয়াওয়াকিদ ওয়াল জাওয়াহির।

৭৫. হাশিয়াতু মেফতাহুস সায়াদা।

৭৬. হাশিয়াতু আসমাওয়াইকুল মুহরিক্বাহ।

৭৭. আননাহি আল আকীদ আনিস সালাতি ওরায়ি আদিত তাক্বলিদ।

৭৮. সাইক্বালুর রাই আন আহকামি মাজাওয়াতিল হারামাইন।

৭৯. আযকাল আহলাল বি ইবতালি মা আহদামান্নাসসসু ফি আসর।

৮০. বাবে গোলামে মুস্তফা।

৮১. আত তাজীর বে বাহিত তাদবীর।

৮২. আহসানুল মাক্বাসিদ ফি-বা-য়ানি মা তানযাহা আনহুল মাসাজিদ।

৮৩. আযিয়ানু কাফিল বে হুকমিল আক্বাদাতি ফিল মাকতুবাতি ওয়ান নাওয়াফিল।

৮৪. সাফায়েহুল লাজাইন ফি কাউনিত তাসাফহ বি কাফিফল ইয়াদাইন।

৮৫. আ'লামুল আ'লাম বি আন্না হিন্দুস্তান দারুল ইসলাম।

৮৬. তিরয়ানুল ওয়ায়ুউ।

৮৭. আল হালঅওয়াহ ওয়অত্তালাওয়াহ ফি কালিমীর তাওজীবি সুজুদিত তিলওয়াহ

৮৮. হুকুম রুজুও মিন ওয়ালিয়্যি ফি নাফক্বাতিল ওরসি ওয়া জিহায ওয়াল হুলিয়্যি।

৮৯. আল মুলাখখাতুল মালিহা ফিমা নাহা আল আজযায়্যিল যাহিবা।

৯০. আযযাহারুল বাসিমা ফি হুরমাতিয যাকাতি আল বনী হাশিম।

৯১. তাজাল্লিউল মিশকাত লি আনারাতি আসআলাতিয যাকাত।

৯২. আততাবসিরুল মুনজিদ বে আন্না সাহনল মামজিদি মাসজিদ।

৯৩. হাক্কুল আইব ফি হুরমাতি তাসওয়িদুশশাইব

৯৪. হুক্কাতুল মারজান লি মুহিম্মি হুকমিদ দুখখান।

৯৫. এ'বাবুল আনওয়ার লা নিকাহা বি মুজাহিরদিল ইক্বরার।

৯৬. আল হুজ্জাতুল ফায়িহা লি তাবিবি তাআইয়নি ওয়াল ফাতিহা।

৯৭. সুরুরুল ঈদিস সায়্যিদ ফি হাল্লিদ দোয়ায়ি বাদা সালাতিল ঈদ।

৯৮. আস সাফিআতুল মাওয়্যিাহ লি হুকমি জুলুদিল আদহিয়্যাহ।

৯৯. আত্তারাফি সাতরিল আওরাহ।

১০০. আল হারফুল হাসান ফিল কিতাবাতি আলাল কাফান।

১০১. আল বাহরুল মাকাল ফি ইসতেসানি কিবলাতিল আজলাল।

১০২. ফাতহুল মালিক ফি হুকমিত তামলিক

১০৩. আওয়্যিবুল ওয়াজিয ফি ইমতিআতিল ওয়ারক্বি ওয়াল ইবরিয।

১০৪. রাফিউল মাদারিক ফি হুকমিসাওয়াইব ওমা তারাহাল মাসালিক।

১০৫. জালালুস সাউতি লিনাহিদ্দাওয়াতি আমামাল মাউতি।

১০৬. ইয়াসিরুযযাদ লি উম্মি দ্বাদ।

১০৭. আল আমনু ওয়া উলা লি নায়াতিল মুস্তফা বিদাফাইল বলায়া।

১০৮. বারাকাতুল ইমদাদ লি আহিলিল ইমতিমদাদ।

১০৯. বাযলুল জাওয়াইয আলাদ্দুয়াই বাদাল সালাতিল জানাইয।

১১০. রাহিকুল আহক্বাক্ব ফি কালিমাতিত্তালাক।

১১১. আল মান্নু ওয়াদ্দুর লিমান আমাদা মিন্নি আবদার।

১১২. ওয়াসাহুল জাইয়্যিদ ফি তাহলিলি মুয়ানাক্বাতিল ঈদ।

১১৩. ওসাফুর রাজিম কি বাসমালা তিত্তারাওয়ীহ।

১১৪. আল ক্বালাদুল মুরসায়া ফি লাবখিল আজুবাতিদ আরবায়া।

১১৫. সুবুলুল আসফিয়া ফি হুকমিয যিহবী লিল আউলিয়া।

১১৬. সাতরে জমিল ফি মাসায়েলেস সারাওয়ীল।

১১৭. আত্তাইবুত্তাহানী ফিন্নিকাহসিসানী

১১৮. রাদ্দুল ক্বাহাতি ওয়াল ওয়াবা বেদাওয়াতিল জিরানী ওয়া মাওয়াসাতিল ফুক্বারা

১১৯. সালবুসসালাব আনিল ক্বায়েলিনা বি তাহারাতিল কালব।

১২০. রিয়াতুল মিন্না ফি আনাত্তাহাজ্জুদ নাফলুন আও সুন্নাহ।

১২১. হাক্কক্কুল আহক্বাক্ব ফি হাদিসাতি মিন নাওয়াযেলিত্তালাক্ব।

১২২. হাজিযুল বাহরাইন আল ওয়াকি আন জামিউসসালাতাইন।

১২৩. লাওয়ামেউল বাহা ফিল মিসলি লিল জুমাআতি ওয়াল আরবাআ আক্বিবাহা।

১২৪. আল কাসদ্দেহাক্ব বি ইযা ফাতিতত্বিলাক।

১২৫. আল কুতুকুদ্দানিয়া আন আহমালিল জামাতি সানিয়া।

১২৬. আররাদ্দুল আশাদ্দুল বাহি ফি হিজরীল জামায়াতি আলা গাংগোহী

১২৭. নাক্বদুল বয়ান লি হুরমাতি ইবনাতি আখল্লিবান।

১২৮. হাদিউল আসাহিরা বিশশাইল হিন্দিয়া।

১২৯. লাময়াতুদ্দোহা ফি এফাইল্লোহা।

১৩০. আনাহিউল হাযিজ আন তাকরারি সালাতিল জানাইয।

১৩১. শেফাউল ওয়ালা ফি সুয়ারিল হাবিবী ওয়ামাযারিহি ওয়ানায়ালীহি।

১৩২. মুরাব্বে ওয়ান নাজা ইউখার রেজুন্নিয়া।

১৩৩. তাজওয়ীযুররাদ্দি আন তাজওয়ীযুল আবয়াদ।

১৩৪. হিবতুন্নেসা ফি তাহাক্বিক্বিল মাসাহিরা বিযযিনা।

১৩৫. আল এলাম বেহালিল বুখুরি ফিস সিয়াম।

১৩৬. আত তাহারিরুল জাইয়্যিদ ফি বাইয়্যি হাক্বিকুল মাসজিদ।

১৩৭. আল ওফাকুল মাতিন বাইনা সিমাইদ্দাফিন ওয়া জাওয়াবুল ইয়ামিন।

১৩৮. ইযালাতুল আরবি হাজরিল কিরামদ আন কিল্লা বিন্নার।

১৩৯. তাফাসিরুল আহকাম লি ফিদায়াতি সালাতি ওয়াস সিয়াম

১৪০. আন্নাহজুল জাদ্দি ফি হিফযিল মাসজিদ।

১৪১. আশ শারাতুল বাহিয়্যাহ ফি তাহদিদিল ওয়াসিয়াহ।

১৪২. মাহিউদ্দালালাহ ফি আন কাহাতিল হিন্দী ওয়াল বানজালা।

১৪৩. আল জামুস সাদ আন সুনানিদ্বোয়াদ্ব।

১৪৪. আবজালুল ইবদা ফিহাদ্দির রিদ্বাআ।

১৪৫. লাব্বুশ শুউর বি আহকামিশ শুউর।

১৪৬. খায়রুল আমাল ফি হুকমিল কাসবি ওয়াস সোয়াদ।

১৪৭. আল ফিক্বহুত তাসজিলি ফি আজিনিন্নার জিলি।

১৪৮. আফসাহুল বায়ান ফি হুকমি মাযারায়ে হিন্দুস্থান।

১৪৯. আল হিলাতুল আসমা লি হুকমি বাদিল আসমা।

১৫০. তারিক্ব ইসবাতুল হেলাল।

১৫১. তিজানুসসাওয়ার ফি ক্বিয়ামুল ইমাম ফির মিহরাব।

১৫২. নুরুল জাওহারাহ ফিস সামরাতিস সাওকারাহ।

১৫৩. আল আহকাম ওয়াল এলাল ফিল আশকালিল এহতেলাম ওয়ালা বালাল।

১৫৪. মেরকাতুল জামান ফি হুবুতিল আনিল মিম্বরী লি মাদহিল সুলতান।

১৫৫. আজলুত তাজিল ফি হুকমিস সিমাই ওয়াল মাযামির।

১৫৬. রাময়ে মাগয়ান মারুফ বি দাফই যেগেযাগ।

১৫৭. আউফি লুমআ ফি আযানিল জুমআ।

১৫৮. আল ফাহহুল হুমুমাহ ফি ফাসলিল খুসুমাহ।

১৫৯. আয়ালিল একাদাহ ফি তাযিয়াতিল হিন্দীওয়াবায়ানিশ শাহাদা।

১৬০. আফকাহুল মাজাহিদি আন হালফিতত্বলিবআলা তালাবিল মাওয়াসাবা।

১৬১. আক্বদুত তাহক্বিক্ব বি বাবিত তালিক্ব।

১৬২. এহলাকুল ওয়াহাবিয়্যিন আলা তাউহীনে কুবুরিল মুসলিমীন।

১৬৩. হেদায়াতুল জেনান বি আহকামে রামাদ্বান।

১৬৪. হাদিউনাস ফি আশিয়াই মিন রুসুমল এরাস।

১৬৫. আলআতায়াতুন ন্নাবরিয়্যাহ ফি ফাতাওয়া আররাজওয়াইয়া।

১৬৬. মাউইহাবেবলু আসর আন তাহদিলিল মিসর।

১৬৭. রাদ্দুল ক্বাদাতি ইলা হুকমিল উলাতি।

১৬৮. আল জুদুল হুলু ফি আরকানিল উযু।

১৬৯. তানওয়ীরুল ক্বিনাদিল ফি আহকামিল মিনদীল।

১৭০. আত্তারায়ুল মু'ল্লীম ফিমা হুয়া হাদ্দামা মিন আহওয়ালি লিদাম্মী।

১৭১. লামউল আহকাম আন্না লা ওযুআ মিনায যুকাম।

১৭২. হেদায়াতুল মুতাআল ফি হাদ্দিল ইসতেক্ববাল।

১৭৩. আল হাক্বুল মুজতালি ফি আহকামিল মুবতালি।

১৭৪. ফিফলুল ফক্বীহিল ফাহিম আহকামি কিরতাসিদ্দারাহিম।

১৭৫. নাবহুল কাওমী আন্নাল ওযুআ মিন আইয়্যে নাওমি।

১৭৬. তাসিরুল মাউন লিস সুকনি ফিততাউন।

১৭৭. আসসাহমুসশিহাবি আল খিদ্দায়িল ওয়াহাবী।

১৭৮. ফিক্বহে শাহেনশাহ ওয়া আন্নাল কুলুবিইয়াদিল মাহবুব।

১৭৯. মাফাদুল হিবরি ফুস সালাতি বিমাক্ববারাতি আউ জুনুবী ক্বাবরী।

১৮০. বদরুল আনওয়ার ফি আদাবিল আসার।

১৮১. আল হাদিল হাজির আন জানাযাতির গায়িব।

১৮২. শামামাতুল আম্বার ফি মাহাল্লিন্নাদায়ি বি আযায়িল মেম্বার।

১৮৩. আত্তাররাতুর রাদ্বিয়া আলান্নিরাতিল ওয়াযিয়া।

১৮৪. শামামাতুল আম্বার ফি মাহাল্লিন্নাদায়ি বি আসায়িল মেম্বার।

১৮৫. ফাসলুল ক্বাযাই ফি রাসমিল ইফতায়ি।

১৮৬. আল জাওহারুসসামিন ফিমা তানআক্বীছ বিহিল ইয়ামীন।

১৮৭. আওরাতুয মুহাযযার ফিততাযওয়জি বও গাইবি কুফহিল ওয়া মুখালিফিল মাযহার।

১৮৮. আবকারিউ হামান ফি ইজাবাতিল আযান।

১৮৯. শাওয়ারেকুন ন্নেসা ফি হাদ্দিল মিসরী ওয়াল ইসমা।

১৯০. লাময়াতুশশাময়া ফি ইশতেরাতিল মিসরী লিশ শামমা।

১৯১. আল বুদুরুল আহিল্লা ফি উমুরিল আহিল্লা।

১৯২. নুরুল আদিল্লা ফি উমুরিল আজিল্লাহ।

১৯৩. রাফউল ইল্লা আন নুরুল আদিল্লাহ।

১৯৪. আল লুলুউল মাকসুদলিবায়ানি হুকমি ইমরাতিল মাফকুদ।

১৯৫. ইযানুল আজার ফি আযানিল বাক্বার।

১৯৬. বিয়াতুল মুহাযযেবীন ফি দোয়াই বাদাল খুতবাতাইন।

১৯৭. রিসাকাতুল কালাম ফি হাওয়াশি ইযাকাতু আসাম।

১৯৮. আল বায়ানু শাফিয়া লি ফুতুগ্রাফিয়া।

১৯৯. জাদ্দুল মোনাতাকাত মিন রাদ্দিন মোখতার।

২০০. আত্তাজুল মুক্কাল্লাল ফি আনারাতি মাদলুল কানা ইয়াফয়াল

২০১. আসসুয়ুফুল মাখিফা আলা আয়েবী আবী হানিফা।

২০২. আসানুকাত বি জাওয়াবি সওয়ালে আরকাত মুলাক্বাব বিহওল ফাদ্দল।

২০৩. আতাযেবুসসায়ের ফিতাহক্বিক্বি মিলি ওয়াযযেরাই ওয়াল ফারাসেক ওয়াল গালওয়াহ

২০৪. আল মাকসাদুন্নাফে ফি উসুবাতিয়ে সিনফিল রাবে।

২০৫. তাইয়্যেবুল ইমআন ফি তাদালিল জিহাত ওয়াল আবদান।

২০৬. তাজাল্লিয়াতুল মুসলিম ফি মাসাইলে মিন নিসাফিল ইলম।

২০৭. বারাত নামা আনজুমানে ইসলামীয়া বাঁশ বেরেলী।

২০৮. নিয়ামুযযাদ লি রাদ্দেমিন আদ্দাস।

২০৯. আসাদুস সুয়ুল আলা ইজতেহাদিত তারারিল জুজহুল।

২১০. মুযাম্মন নাসরানি ওয়াত তাক্বসীমিল ঈমানী

২১১. ইজতেনাবুল উম্মাল আনফামু ওয়াল জুহহাল

২১২. সাইফে ওয়েলায়াতী বার ওয়াহিমে ওয়েলায়াতা।

২১৩. আল বারক্বল মুখাইব আলা বেক্বাই তায়্যিব।

২১৪. আল ইতরুল মুতায়্যব লি নিয়াতি শাফতু তাইয়্যেব।

২১৫. আল আমামাতুল কাসিফাহ লিল কুফরিয়াতিল মালাতিফা।

২১৬. আল জাইফা আলা তাহাফাতিল মালাতিফা

২১৭. সায়াতুল মুয়াদ্দিব আল রাহবাতিল মুসতারিব।

২১৮. আররাদ্দুন্নাহিয আলা সামিন্নাহি ইলহাজিব।

২১৯. নাফিউল আরমিন মা'য়াইবিল মাওলুভী আবদুল গাফফার।

২২০. ক্বাওয়ানিনুল ওলমা।

২২১. সাদ্দুল ফারার।

২২২. তীবওয়ীবুল আশবাহ ওয়ান্নযাইর।

২২৩. আজাল্লিয়ে নুজুমে রাজমে বার এডিটর আন্নাজম।

২২৪. আসসাইফুল সামদানী।

২২৫. আত্তুল বাদাল বাদীয়া।

২২৬. হাশিয়াহ ফাওয়াতিহুল রাহমাত।

২২৭. হামওয়ী শারাহ আল আসরা।

২২৮. হাশিয়াহ আসয়াফ আল আসবা ওয়ান নাযাইর।

২২৯. হাশিয়াহ আল আসয়াফ ফি আহকামুল আওক্বাফ।

২৩০. হাশিয়াহ ইফতাহুল আবসার।

২৩১. হাশিয়াহ কাশফুল গুম্মাহ।

২৩২. হাশিয়াহ শোয়াউস সেফার।

২৩৩. হাশিয়াহ কিতাবুল হুরাজ।

২৩৪. হাশিয়াহ মঈনুল হুক্কাম।

২৩৫. হাশিয়াহ মিনাযুল শারিয়াতিল কুবরা।

২৩৬. হাশিয়াহ হেদায়াতুল আখেরীন।

২৩৭. হাশিয়াহ হেদায়াতুল ফাতহুল ক্বাদির ইনাইয়া হালবি।

২৩৮. হাশিয়াহ বাদায়ে উস সানায়ে।

২৩৯. হাশিয়াহ জাওয়াহেরা নিরাহ।

২৪০. হাশিয়াহ জাওয়াহীরে আখলাতী

২৪১. হাশিয়াহ মারাক্বেউল ফালাহ।

২৪২. হাশিয়াহ মাজমাউল আনহার।

২৪৩. হাশিয়াহ জামেউ ফুসুলীন।

২৪৪. হাশিয়াহ জামেউল রুমুয।

২৪৫. হাশিয়াহ বাহরুর রাইক্ব।

২৪৬. হাশিয়াহ তাবাইয়্যেনুল হাক্বায়েক্ব।

২৪৭. হাশিয়াহ গুনিয়াতুল মুমতালি।

২৪৮. হাশিয়াহ ফাওয়াইদু কুতুবী আদীদা।

২৪৯. হাশিয়াহ কিতুবুল আনওয়ার।

২৫০. হাশিয়াহ বাসাইলু শামী।

২৫১. হাশিয়াহ ফাতহুল মুয়ীন।

২৫২. হাশিয়াহ শেফাউল আসক্বাম।

২৫৩. হাশিয়াহ তাহতাওয়ী আনাল রাদ্দুল রীল মুখতার।

২৫৪. হাশিয়াহ ফাতওয়া খানিয়া।

২৫৫. হাশিয়াহ ফাতওয়া সিরাজিয়া।

২৫৬. হাশিয়াহ খুলাসাতুল ফাতওয়া।

২৫৭. হাশিয়াহ ফাতাওয়া খাইরিয়া।

২৫৮. হাশিয়াহ উকুদুদ্দায়।

২৫৯. হাশিয়াহ হাদিসিয়া।

২৬০. হাশিয়াহ বাষাযিয়াহ।

২৬১. হাশিয়াহ ফাতাওয়া যারবিনিয়াহ।

২৬২. হাশিয়াহ ফতোয়া গিয়াসিয়াহ।

২৬৩. হাশিয়াহ রামাইলু ক্বাসিম।

২৬৪. হাশিয়াহ ইসলাহ শরহুল ফাইয়াহ।

২৬৫. হাশিয়াহ ফাতাওয়া আযিযিয়া।

২৬৬. হাশিয়াহ রাসাইলুল আরকান।

২৬৭. হাশিয়াতুল এলাম বিকুনিইল ইসলাম।

২৬৮. জাদ্দুল মুমতার কামিল (পাঁচ খন্ড) আরবী।

★★ তাসাউফ, আযকার, আওক্বাফ, তাবীর এবং আখলাখ- ( বিষয়ঃ ৫টি, কিতাবঃ ২০টি):

১. আযহারুল আনোয়ার মান সাববাহ সালাতাল আসরার (আরবী)

২. আল ইয়াকুতাতুল ওয়াসিতা ফিক্বালবি আক্বদির রাবিতা (উর্দু)

৩. কাশফে হাক্বাইক্ব ওয়া আসরার ওয়া দাক্বাইক্ব।

৪. বাওয়ারিক্বে তুলহ মিন হাক্বিক্বাতির রূহ।

৫. আততালাত্তুফ বে জাওয়াবে মাসাইলে তাসাউস।

৬. নুক্বাউসউস সুলাফা ফিল বাইয়াতে ওয়াল খেলাফা।

৭. যাহরুস সালাত মিন শাজারাতি আকারিমিল হুদাত।

৮. আল উরুসুল মু'তার ফি যামানে দাওয়াতিল আফতার।

৯. আল মান্নাতুল মুমতাযা ফি দাওয়াতিল জানাযা

১০. মাকাল্লা ওয়া কাফা মিন আদইয়াতিল মুস্তফা

১১. আল ফাউয বিল আমাল ফিল আওক্বাফ ওয়াদ্দোয়া (আরবী-উর্দু)

১২. শারহিল হুকুক্ব লে তাহরিল উকুক্ব।

১৩. মাসআলাতুল ইরশাদ ইলা হুকুক্বিল ইবাদ

১৪. আ'যাউল ইকতিনা ফি রাদ্দে সাদক্বাতি মানেউয যাকাত।

১৫. হাশিয়াতু ইয়াহইয়াউল উলুম (আরবী)

১৬. হাশিয়াতু হাদিক্বায়ে নাদিয়াহ (আরবী)

১৭. হাশিয়াতু মাদখাল ১ম-২য়-৩য় (আরবী)

১৮. হাশিয়াতু কিতাবুল ইবরিয (আরবী)

১৯. হাশিয়াতু কিতাবুয যাওয়াজির (আরবী)

২০. হাশিয়াতু তা'তীরিল আনাম (আরবী)

★★ তানক্বীদ- ( বিষয়ঃ ১টি, কিতাবঃ ৪১টি):

১. হাল্লু খাতাইল খাত্তি।

২. আন নাযিরুল হাইল লি কুল্লি জালফি জাহিল।

৩. আল এহলাল বি ফাইযিল আউলিয়া বাদাল ওয়াীসাল।

৪. আল আদীল্লাতু ত্বায়ীনা ফি আযানিল মালায়িনা।

৫. আন্নিরুশ শাহাবি আলা তাদলীসিল ওয়াহাবী।

৬. ফাইহুন্নাসেরীন বি জাওয়াবিল আস ইলাতিল ইশরিন।

৭. মুরাসাতে সালাতে ওয়া নাদওয়া।

৮. মাওয়ালাতে কাক্বাইক্বে নুমা রারদোসে নাদওয়াতিল ওলমা।

৯. তরজুমাতুল ফাতাওয়া ওয়াজজাহা হাদমিল বালওয়া।

১০. খুলাসা ফাওয়াদে ফাতাওয়া।

১১. রাফিউত তায়াসসুফ আনিল ইমাম আবি ইউসুফ।

১২. আল জাসাউল মুহাইয়া লা'নাতু কানাহিয়া।

১৩. ইযাহারুল হাক্বেল জবল্লি।

১৪. মারেকুল জুরুহ আলা তাওহীবিল মাকরূহ।

১৫. তানক্বীদ

১৬. হাশিয়াহ রাসায়েলুল আরকান।

১৭. বাইবেল মুসদাহ আরাদে কায়ফার কুফরানে নাসারা।

১৮. ইসলাইন নাযির।

১৯. আহকামুল বাহাস আলা আহলীল হাদীস।

২০. খুলাসাতু ফাওয়াদে ফতোয়া।

২১. আল বারেকাতুশ শারেকা আলাল মারেক্বাতুল মাশারেকা।

২২. ইতানুল আরওয়াহ লি দাইয়ারেহিম বাদাল আরওয়াহ।

২৩. মুরতাজিউল ইজাবাত লে দোয়াইল আমওয়াত।

২৪. সাইফুল মুস্তফা আলা আদইয়ানিল ইফতিরা।

২৫. ফাতহু খায়রব।

২৬. নিশাতুসসিক্বীন আলা হালক্বিল বাক্বরিস সামিন।

২৭. সামসামে হাদিদ বর কোলিয়ে বে কাইদ আদুও ওয়াতাক্বলীদ।

২৮. নিহায়াতুন নুসরাহ বরদালে আজুবাতিল আশারাহ।

২৯. ইনতেসারুল হুদা মিন শুইবিল হাওয়া।

৩০. হাশিয়াতু হামওয়ী শারহুল আশবাহ ওয়ান্নাযাইর।

৩১. গাযওয়াহ লি হাদাম সিমাকী দারুন্নাদওয়া।

৩২. নাদওয়াহ কাতিজা রুদাদে সোমকা নাতিজা।

৩৩. বরিশে বাহরি বর সাদফে বিহারী।

৩৪. সুয়ুফুল আনওয়া আলা যামায়েমুন্নাদওয়া।

৩৫. সামসামে সুন্নীয়াত বে গুলোয়ে নজদিয়্যাত।

৩৬. সামসামুল কাইউম আলা তাজিন্নাদওয়া আবদিল কাইয়ুম।

৩৭. ফারদাহ দার আমরিতসারী।

৩৮. আল আসলাউল ফাযেলা আলাত তওয়াইল বাবিলাহ।

৩৯. সাওয়ালামে ওলামা ওয়া জাওয়াবাতে নাদওয়াতুল ওলমা।

৪০. কায়ফারে কুফরে আরিয়া।

৪১. নূরে আইনী ফিল ইনতিসারিল ইমাম আইনী।

★★ তারিখ, সিয়ার, মানক্বিব এবং ফাযাইল- ( বিষয়ঃ ৪টি, কিতাবঃ ৫২টি):

১. জামেউল কোরআন ওয়া যাম্মে গাযাওয়ায়ে লে উসমান।

২. জামানুত তাজ ফি বায়ানিস সালাত ক্বাবলাল মিরাজ।

৩. নুতফুল হেলাল রারিখি ওয়ীলাদাল হাবিব ওয়াল ওয়ীসাল।

৪. মুসাম্মাউল মুনিয়া লি উসুলিল হাবিব ইলাহ আরশী ওয়ারুয়ীয়াহ।

৫. জালিবুল জিনান ফি রাসমি আহরুফিল মিনাল কোরান।

৬. সালাম ওয়াশের।

৭. আল কালাম লিল বাহি ফি তাশবিহিস সিদ্দীক্ব বিন্নবী।

৮. ওয়াজহিল মাশকুক্ব বি জালওয়াতি আসমাইস সিদ্দীক্ব ওয়াল ফারুক্ব।

৯. নফীউ আলফে আম্মা বিনুরিহী আনারা কুল্লা শাইয়্যিন।

১০. সালাতুল মুস্তফা ফি মুলুকীল কুল্লিল ওয়ারাহ।

১১. আজলালু জিবরীল বিজালিহি খাদিমান লিল মাহবুবিল জলিল।

১২. মাদ্দাল হায়রান ফি নফীইল ফাইয়ে আন মাসসিল আকওয়ান।

১৩. মুজীরে মুয়াযযাম শরহে কাছিদাহ একসিরে আযাম।

১৪. আল উরুসুল আসমাউল হুসনা ফিমা লি নবীয়্যানা মিনাল আসমাউল হুসনা।

১৫. তানযিউল মাকানাতিল হায়দারীয়াহ আন ওয়াসমাতি আহাদিল জাহেলিয়াহ।

১৬. আনযাউল বারী আন ওয়াস ওয়াসিল মুফতারি।

১৭. জামিলী সানাউল আইম্মাহ আলা ইলমি সিরাজিল উম্মাহ।

১৮. শুমুলুল ইসলাম লি আবায়েলের রাসুলিল কেরাম।

১৯. আম্মাউল মুস্তফা বি হালি সিররিন ওয়া আখফা।

২০. আদ্দাউলাতুল মক্কীয়াহ বিল মাদ্দাতিল গাইবিয়্যাহ।★★★

২১. ক্বামরুত্তামাম ফি নাফই আনফি আন সাইয়্যিল আনাম

২২. ফাতওয়া কারামাতে গাউছিয়া।

২৩. দেওয়ানুল কাসায়েদ।

২৪. ইকসিরে আজম।

২৫. সিলসিলাতুব যাহার নাফিইয়াতুল আদাব।

২৬. জারিয়ায়ে ক্বাদরীয়া

২৭. ফাযায়েলে ফারুক।

২৮. নসমে মুয়াততার।

২৯. মুশরেক্বিসতানে কুদস।

৩০. চেরাগে ওনস।

৩১. ওয়াযিফায়ে ক্বাদেরীয়াহ।

৩২. হুজরে জানে নূর।

৩৩. নাত ওয়া ইসতেযারাত।

৩৪. সারাপা নূর।

৩৫. মানাক্বেবে সিদ্দিকা।

৩৬. হামায়েলু ফাযলে রাসুল।

৩৭. নাযারগুদা দার তাহনিয়াতে শাদিয়ে উশরা।

৩৮. সিররে গুযাশত ওয়ামা জারায়ে নাদওয়া।

৩৯. ইবরাউল মাজনুন আলা ইনতিহাকে ইলমিল মাকনুন।

৪০. মাহিয়াতুল আইব বি ঈমানিল গাইব।

৪১. সাবিলূল হুদা লি বারেয়ে আইনিল কুযা।

৪২. আরাহাতু জাওয়ানেহুল গাইবে আন ইযাহাতিল আইব।

৪৩. আল জালাউল কামিল কা আইনি কুযাতিল বাতিল।

৪৪. হাশিয়াহ হাশিয়াতু হামযিয়া।

৪৫. হাশিয়াতু শরহে শিফা।

৪৬. হাশিয়াতু যুরক্বনী শরহে মাওয়াহীব।

৪৭. হাশিয়াতু বাহজাতুল আসরার।

৪৮. হাশিয়াতু আল ফাওয়াইদুল বাহিয়াহ।

৪৯. হাশিয়াতু কাশফুস যুনুন।

৫০. হাশিয়াতু আসরুশ শারিদ।

৫১. হাশিয়াতু খোলাসাতুল ওয়াফা।

৫২. হাশিয়াতু মুক্বাদ্দামা ইবনি খুলদুন।

★★ আদব, নাহু, লোগাত, উরুয- ( বিষয়ঃ ৪টি, কিতাবঃ ১৩টি ):

১. ইতহাফুল হালী লেবিকরে ফিকরীস সাম্বালী (উর্দু)।

২. তাবলীগুল কালাম ইলা মাদহিল কালাম ফি তাহক্বীক্বি ইসালাতুর মাসদারে ওয়াল আফয়াল (আরবি)।

৩. আযযামযামাতুল ক্বামারিয়াহ (উর্দু)।

৪. সানায়ে বাদিয়া।

৫. ফাতহুল মা'তি বি তাহক্বীক্বি মায়ানাল খাতি ওয়াল মুখতি।

৬. শরহে মাকালাতু মাযাকিয়াহ।

৭. মুশতারে ক্বীতানে আক্বাদাঁছ।

৮. আজাবু আদনা বার আদাদে আদনা।

৯. কামালুল আবরার ওয়া আলামুল আশরার।

১০. হাশিয়াতুল সুরাহ (আরবি)।

১১. হাশিয়াতু তাজুল উরুস (আরবি)।

১২. হাশিয়াতু মিযানুল আফকার (ফার্সী)।

১৩. হাদায়েক্বে বখ্শীশ। ★★★

★★ ইলমে যুফর ওয়া তাকসীর- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ ১৩টি ):

১. আততায়েবুল একসীর ফি ইলমে তাকসীর (আরবি)।

২. রিসালাহ দর ইলমে তাকসীর (ফার্সী)।

৩. ১১৫২ মুরাববায়াত (উর্দু)।

৪. আসসাউকাবু রেজভীয়্যাহ আলাল কাওয়াকেবিল দ্দোররিয়া (আরবি)।

৫. আদদাওয়ালুল রজভীয়্যাহ লিল আমালিল জাফারিয়া (আরবি)।

৬. আল ওসায়েলুর রজভীয়্যাহ লিল মাসায়েলিল জাফারিয়া (আরবি)।

৭. মুজতালাল উরুস (উর্দু)।

৮. আল জাফরুল জামেয়ে (উর্দু)।

৯. আসহালুল কুতুব ফি জামিইল মানাযিল (আরবি)।

১০. রিসালাতুল ফি ইলমিল জাফার (আরবি)।

১১. আল জাদাওয়ালুর রেজভীয়্যাহ লিল মসায়িলিল জাফরিয়াহ।

১২. আল আজবাতুর রেজভীয়্যাহ লিল সামায়েলিল জাফারিয়া।

১৩. হাশিয়াতু দুররুল মাকনুন (আরবি)।

★★ জাবার ওয়া মুকাবিলা- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ৪টি ):

১. হাল্লে সাফাতাহায়ে দরজায়ে মোম (ফার্সী)।

২. হীললুল মু'আদেলাত লি কাবিইল মুকাববায়াত (ফার্সী)।

৩. রিসালায়ে দর জাবরু মুক্বাবালা (ফার্সী)।

৪. হাশিয়াতু কাওয়াইদ আল জালিলাহ (আরবি)।

★★ তাওক্বীত, নুজুম, হিসাব- ( বিষয়ঃ৩টি, কিতাবঃ২৩টি ):

১. ইসতিনবাতুল আওক্বাত (ফার্সী)

২. রুইয়াতে হেলালে রমযান শরীফ (ফার্সী)

৩. মাসউলিয়াতিস সেহাম (ফার্সী)

৪. আল বোরহানুল ক্বাওয়ীম আলাল আরদে ওয়াত তাক্বওয়ীম (ফার্সী)

৫. আল জুমালুদ দ্দায়েরাহ ফি খুতুতি দ্দায়েরাহ (ফার্সী)

৬. তাসহীলুল তা'দীল (উর্দু)

৭. ময়লুল কাওয়াকিব ওয়াতা'দীলুল আয়্যাম (উর্দু)

৮. ইসতিকারাজু তাক্ববিমাতে কাওয়াকেব (ফার্সী)

৯. তুলু ওয়া গুরুবে নিরাইন (উর্দু)

১০. তাজে তাওক্বীত (উর্দু)

১১. তারজুমাহু ক্বাওয়াদে নাইটিকাল আল মিনক (উর্দু)

১২. জাদওয়ালে আওক্বাত (উর্দু)

১৩. হাশিয়াহ যুবদাতুল মুন্তাখাব (আরবী)

১৪. হাশিয়াহ জামেউল আফকার (আরবী)

১৫. হাশিয়াহ হাদয়েক্বন নুজুম (আরবী)

১৬. হাশিয়াহ খাজানাতুল ইলমি

১৭. যিজুল আওক্বাদ লিস সাওমে ওয়াসসালাম।

১৮. আল আনজাবুল আনীক্ব ফিতুরুকীত তালিক্ব

১৯. কালামুল ফাহিম ফি সালাসিলিল জামই ওয়াতত্বাকসীম

২০. কাশফুল ইল্লাহ আন সিমতিল ক্বিবলাহ

২১. আজকয়ল বাহা ফি কুয়াতিল কাওয়াক্বীব ওয়া যোহিফা

২২. দারউল কুবহী আল দারক্বী ওয়াক্বতিস সুবহী

২৩. সিররুল আওক্বাত

★★ ইলমে মুসল্লোস, ইরসিমাতিক্বী, লোগারসাম-( বিষয়ঃ৩টি, কিতাবঃ৮টি ):

১. রিসালা দার ইলমে মুসাল্লাস (ফার্সী)।

২. তালখীসে ইলমে মুসল্লোস কুরদী (ফার্সী)।

৩. উজুযহায়া মুসাল্লাম কুরদী (ফার্সী)।

৪. আল মাওহিবাত ফিল মুরাববাত (আরবি)।

৫. কিতাবুল ইরসিমাতিক্বী।

৬. রিসালা দার ইলমে লাওগারেসাম।

৭. আল বুদুর ফি আউজিল মাজযুর।

৮. হাশিয়াহ রিসালায়ে ইলমে মুসাল্লাম (ফার্সী)।

★★ হাইয়াত, হিনদাসা, রিয়াযি- ( বিষয়ঃ৩টি, কিতাবঃ৩৪টি ):

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

 


      এম ফিল গবেষণা

১) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি আরবি খিদমাত।গবেষক : মাওলানা ফয়জুল হাসান ফয়েজি।

ইউনিভার্সিটি : পেশােয়ার ইউনিভার্সিটি, পেশোয়ার, পাকিস্তান।রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ১৯৯৭ ঈসায়ী।

২) শিরােনাম : আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা আল কাদেরি ওয়াজুহুদুহফিমজালিল আকিদাতিল ইসলামিয়্যাহ ফি শিবহিল কাররাতিল হিন্দিয়া।গবেষক : মাওলানা জালাল উদ্দিন আযহারি (বাংলাদেশ)।

তত্ত্বাবধায়ক : ড. মুহাম্মদ সাঈদ জামাল উদ্দিন। অধ্যাপক, ফার্সি বিভাগ, আঈন শমস বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউনিভার্সিটি : কায়রাে ইউনিভার্সিটি, কায়রাে, মিশর।

রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ২০০২ ঈসায়ী।

৩) শিরােনাম : আছরুস সিকাফতিল আরাবিয়্যাহ ফিল মাদায়েহিন নববিয়্যাহ আল উদূবিয়্যাহ লিল ইমাম আশ শায়খ আহমদ রেযা খান।

গবেষক : মাওলানা জুফর ইকবাল।

ইউনিভার্সিটি : আন্তর্জাতিক ইসলামি ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ২০০৩ ঈয়াসী।

__________________

এম এড পর্যায়ে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র শিক্ষানীতির উপর লিখিত গবেষণাধর্মী প্রবন্ধাবলি :

১) প্রবন্ধকার : মুহাম্মদ আফজল

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তালিমি নযরিয়্যাত ওয়া আফকার।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই, আই, আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি।

২) প্রবন্ধকার : এম শাহেদ আলি

শিরোেনাম : আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী কি ইলমি খিদমাত।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই, আই, আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি।

৩)প্রবন্ধকার : ক) চৌধুরী মুহাম্মদ ইয়াকুব খ) মুহাম্মদ হাফিজ কম্বো।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী আওর মাওলানা মাওদুদি কি তালিমি নযরিয়্যাত আওর তাসাওউরাত কা তাকাবুলি জায়িযাহ।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৪) প্রবন্ধকার : মুহাম্মদ আসলাম আলি।

শিরােনাম : আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি আফকার কি রুশনি মে তাসাওউরে তা'লিম ওয়া নিসাব।

লেভেল : মাস্টার্স

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৫) প্রবন্ধকার : ক) খাদেম হােসাইন খ) মুহাম্মদ আশরাফ।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি ইসলাহ ওয়া তা'লিমি খিদমাত।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৬) প্রবন্ধকার : ক) আবদুল ওয়াহিদ গুল খ) রশিদ আহমদ।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তা'লিমি নযরিয়্যাত ওয়া আফকার।

লেভেল : মাস্টার্স

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৭) প্রবন্ধকার : ক) হাফিজ জুলফিকার আলি খ) গােলাম আহমদ।

শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তা'লিমি নযরিয়্যাত কা জায়িযাহ।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণা স্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৮) প্রবন্ধকার : খালেদা পারভীন।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তা'লিমি আফকার ওয়া নযরিয়্যাত কা জায়িযাহ।

লেভেল : মাস্টার্স

গবেষণা স্থান : গভর্নমেন্ট কলেজ অব এডুকেশন, ফয়সালাবাদ,পাকিস্তান।

৯) প্রবন্ধকার : এম ওয়ারেস।

শিরােনাম : এসলাহে মাআশেরে কে লিয়ে মাওলানা আহমদ রেযা খান কি সাঈ ওয়া কাওশা কা জায়িযাহ।

লেভেল : এম এড সম্মান।

গবেষণাস্থান : গভর্ণমেন্ট কলেজ অব এডুকেশন, ফয়সালাবাদ, পাকিস্তান।

১০) প্রবন্ধকার : আজিমুল্লাহ জুন্দুরান।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান আওর আল্লামা ইকবাল কি তালিমি নযরিয়্যাত কা তাকাবুলি জায়িযাহ।

লেভেল : এম এড সম্মান।

গবেষণাস্থান : ভাওয়ালপুর ইসলামি ইউনিভার্সিটি, টিচার্স ট্রেনিং বিভাগ,পাকিস্তান।

১১) প্রবন্ধকার : তুর্ক অলি মুহাম্মদ।

শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা খান কি তা'লিমি নযরিয়্যাত।

লেভেল : এম এড সম্মান।

গবেষণাস্থান : করাচি ইউনিভার্সিটি, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন, করাচি, পাকিস্তান। (সংক্ষেপ)

________________

ডি লিট গবেষণা থিসিস

শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি আদবি খিদমাত।

গবেষক : মাওলানা মুফতি ড. মুহাম্মদ মুকাররম আহমদ।

ইউনিভার্সিটি : জওহরলাল ইউনিভার্সিটি, নিউদিল্লি, ভারত।

রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ১৯৯৮ ঈসায়ী।

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,কৃত: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেযভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি,পৃ:- ৩৪,৩৫,৩৬,৩৭)।


বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০


“কিছ্ তরেহ ইত্নে ইলম কে দরয়া বাহা দিয়ে
উলামায়ে হক্ব কি আকল তো হায়রান হে আজ ভি।”
ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ

হযরত সায়্যিদ আইয়ুব আলী সাহিব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বর্ণনা করেন: “একদিন আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বলেন: “আমার সম্পর্কে কিছু অনবহিত লোক আমার নামের আগে হাফেজ লিখে থাকেন, অথচ আমি পবিত্র কুরআনের হাফেজ নই।” সায়্যিদ আইয়ুব আলী সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ আরও বর্ণনা করেন, “যেদিন আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এ কথা বলেছেন, সেদিন থেকে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করা শুরু করে দেন এবং ইশার নামাযের জন্য অযু করার পর থেকে জামাআত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কুরআন শরীফ মুখস্থ করার জন্য সময় নির্ধারণ করে নেন। এভাবে তিনি দৈনিক এক পারা করে মাত্র ত্রিশ দিনে ত্রিশ পারা কুরআন শরীফ হিফজ করা শেষ করেন। এক জায়গায় তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ  বলেন যে, আমি কুরআন শরীফ ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুখস্থ করি আর তা এজন্য যে, ঐসব আল্লাহর বান্দার কথা (যারা আমার নামের আগে হাফেজ লিখে দেয়) যেন ভূল প্রমাণিত না হয়। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২০৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)

আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে মাগফিরাত হোক।

ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ
ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ
________________

ইমাম আহমদ রেযার জীবনী
🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

১২৯৪ হিজরি জুমাদাল উলার কোনাে এক তারিখে দুপুর বেলা প্রিয় নবিজির সুন্নাত মােতাবেক কায়ললাহ (দুপুর আহারের পর শয়ন) করলেন। এক অজানা কারণে তাঁর নয়নযুগল অশ্রুতে পরিপূর্ণ। কোনাে এক অপরিচিত স্থান থেকে তাঁর মাশুক তাঁকে যেনাে ডাকছে। আর মাশুকের হৃদয়গ্রাহী ডাকটি যেনো তাঁকে কাঁদাচ্ছে নীরবে।
অশ্রুসিক্ত নয়নে নিদ্রার মিলন ঘটলে দেখতে পান তাঁর সম্মানিত পিতামহ যুগশ্রেষ্ট ওলিয়ে কামেল হযরত আল্লামা রেযা আলি খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে। তিনি তাঁকে (আ'লা হযরত) সিন্ধুক থেকে কি যেনাে দিলেন এবং তাঁকে সম্বােধন করে এরশাদ ফরমালেন, অনতিবিলম্বে ঐ ব্যক্তি আসছেন, যিনি তােমার ব্যথার ঔষধ দেবেন।
স্বপ্নের দ্বিতীয় দিনে সে সময়ের খ্যাতিমান আলেম তাজুল ফহুল মুহিব্বে রাসুল আল্লামা আবদুল কাদের বদায়ুনি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বদায়ুন শহর থেকে বেরেলিতে তশরিফ আনলেন। আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সাথে বায়আত গ্রহণের পরামর্শ করলে তিনি।বলেন, আপনার মতাে মহান ব্যক্তির পীর মারেহেরা শরিফেই রয়েছে। তিনি হােসাঈনি সৈয়্যদ। মা'রেফে লুদুনিয়্যার প্রস্রবণ। তাঁর নাম সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি বারকাতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এ কথা শুনামাত্র তিনি তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা নকি আলি খান ও আল্লামা বদায়ুনির রহমাতুল্লাহি আলাইহি সাথে রওনা দিলেন মারেহেরা দরবারের পথে। আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বেরেলি স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে মারেহেরা স্টেশনে নামা মাত্রই বললেন আমার নাকে একজন কামিল পীরের সুগন্ধ আসছে। পরিশেষে মারেহেরা শরিফে সে মহান পীর সুলতানুল আউলিয়া সৈয়্যদুনা খাজা সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল হােসাঈনি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র খেদমতে হাজির হন এ ক্রিরত্ন। এ মহান আল্লাহর অলি আ'লা হযরত ইমাম আইমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে লক্ষ্য করে বললেন, আসুন! আমি তাে কয়েক দিন ধরে আপনার অপেক্ষায় রয়েছি। আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর পিতা এ মহান আধ্যাত্মিক সাধকের হাতে বায়আত গ্রহণ করলেন। বায়আত হতে না হতেই এ মহান পীর আ'লা হযরত ও তাঁর শ্রেদ্ধেয় আব্বাকে খেলাফত ও ইজাযতদানে ধন্য। করেন এবং আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র মাথায় পরিয়ে দেন সকল সিলসিলার ইজাযতের তাজ। সকল অযিফা - আওরাদ আশগাল এবং ইজাযতসম্পন্ন অযিফার সিন্ধুক নামে প্রসিদ্ধ ছােট একটি বক্স দান করলেন, যেভাবে তাঁকে তাঁর সম্মানিত দাদা কয়েকদিন পূর্বে স্বপ্নে দিয়েছিলেন। হুযুর আলে রাসূল মারেহেরাভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র তৎক্ষণাৎ খিলাফত প্রদানের ঘটনা দেখে উপস্থিত সকলে হতবাক। সাহস করে শাহ আলে রাসূলের নাতি কুতুবে দাওরা যুবদাতুস সালেকিন শায়খুল আরেফিন সৈয়্যদ শাহ আবুল হােসাঈন আহমদ নুরি মিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর শ্রদ্ধেয় দাদা শাহ আলে রাসূল রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে সম্বোধন করে আরয করলেন, হুযুর এ ছােট্ট বাইশ বছরের ছেলের উপর এত বড় দয়া! একটি সিলসিলার খেলাফত নয়: বরং সমস্ত সিলসিলার! একি রহস্য? অথচ আমরা জানি আপনার এখানে খেলাফত পাওয়া খুবই কঠিন। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কঠোর রিয়াযত ও যবের শুকনাে রুটি খেয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিশ্রমের মাধ্যমে তরিকতের মনযিলগুলাে (স্তর) অতিক্রম করিয়ে যোগ্য করে নেয়া হয়। তারপর যিনি যোগ্য পুরুষ বলে বিবেচিত তাকে খেলাফতের দৌলত দানে ধন্য করেন। তাও আবার একটি বা দু'টির চেয়ে বেশি নয়। কিন্তু এ বাচ্চা কোনো প্রকার সাধনা ও রিয়াযত ব্যতীত সকল সিলসিলার খেলাফত ও সমস্ত আমাল, আওরাদ, আশগালের অনুমতি পেয়ে গেলাে! একি রহস্য!
হযরত শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি বারকাতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আপন পৌত্রের এ কথা শুনে ইরশাদ ফরমালেন, "তুমি মাওলানা আহমদ রেযা সম্পর্কে কী জান? অন্যান্যরা এখানে অপবিত্র কলব নিয়ে আসে, ফলে কঠোর সাধনা করিয়ে এদেরকে তৈরি করতে হয় বলে খেলাফত অর্জনেও সময় লাগে। কিন্তু এঁরা দু'জন অত্যন্ত পবিত্র কলব নিয়ে আমার নিকট এসেছে। এঁরা তাে তৈরি হয়ে এসেছেন। এঁদের কেবল একটি নিসবত বা শিষ্যত্বের প্রয়ােজন। এখানে এসে তাও অর্জন হয়ে গেলাে।" তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে আরাে বললেন, "আমি আলে রাসুল এতদিন এ চিন্তায় ছিলাম যে, কাল কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, হে আলে রাসূল! তুমি আমার জন্য কী এনেছাে? আজ আমার সেই চিন্তা দূরীভূত হলাে। আমি উত্তরে আল্লাহ তায়ালাকে বলবাে- হে আল্লাহ! আমি তােমার দরবারে আহমদ রেযাকে নিয়ে এসেছি।"
এরপর হযরত নুর মিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে সম্বােধন করে আরাে বললেন,আজ থেকে আমার ও আমার মাশায়েখদের মুদ্রিত - অমুদ্রিত কিতাবসমূহ যতক্ষণ না মাওলানা আহমদ রেযাকে দেখানাে হবে, ততক্ষণ ছাপানাে নিষিদ্ধ। যেটাকে ওনি ছাপানাের অনুমতি দেবেন, তা ছাপানাে হবে। যেটাকে তিনি নিষেধ করবেন, সেটা কখনাে ছাপাবে না। আর আমাদের কিতাবসমূহে তিনি যদি কোনাে এবারত কোটে দেন, তবে তা মাশায়েখদের পক্ষ থেকে মনে করবে। আর যদি তিনি কোনাে বৃদ্ধি করে দেন, তাও মাশায়েখদের পক্ষ থেকে মনে করবে। প্রিয়নবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র পক্ষ থেকে এ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।"

অতঃপর হযরত শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর
ফয়যে এত্তেহাদি বা তাওয়াজ্জুহে তাশবিহি (মুরিদের উপর এমন দৃষ্টি দেওয়া, যাতে মুরিদ পীরের আকৃতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। এটা বড় কামিল পীরদের দ্বারা সম্ভব) দানে ধন্য করলেন। তখন আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র চেহারা মুবারক হুবহু আলে রাসূল রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র মতাে হয়ে গেলাে। শুধু পার্থক্য এতটুকুনই ছিলাে যে, হুযুর আলে রাসূল রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র দাঁড়ি মুবারক সাদা আর আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র দাঁড়ি মুবারক কালাে। আধ্যাত্মিকতার কতাে মহান আসনে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর পিতা অধিষ্টিত ছিলেন, তা উপর্যুক্ত ঘটনা থেকে সহজেই অনুমেয়।
তাঁর আধ্যাত্মিকতার প্রথম অবস্থা যদি এতাে উন্নত ও পরিপূর্ণতায় ভরপুর হয়, তবে তার শেষ অবস্থার উন্নতি কতাে শীর্ষে হবে, তা বর্ণনাতীত। তাঁকে অনেক পীর-মাশায়েখ বায়আত ছাড়াই খিলাফত প্রদানে ধন্য করেন। প্রায় ১৩টি সিলসিলার খেলাফত অর্জনের সৌভাগ্য হয়।

(জীবন ও কারামত রচিত "মাওলানা শামশুল আলম নঈমি", পৃষ্ঠা : ৫৬। মাওলানা মুহাম্মদ আহমদ মিসবাহি রচিত "ইমাম আহমদ রেযা অওর তাসাউফ", পৃষ্ঠা: ১০, প্রকাশসন: ১৯৮৮ ইংরেজি, আল মজমাউল ইসলামি, মুবারকপুর, ভারত।

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভীর উপর আরােপিত অপবাদের জবাবঃ অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেযভি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি), পৃষ্ঠা - ১৪৯.১৫০.১৫১)


বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০


আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি শুধু ফাতওয়া প্রদানে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতেন না, তা নয়; বরং তাবিজ প্রদানের কোনাে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতেন না। মাওলানা জুফরুদ্দিন বিহারি রচিত "হায়াতে আ'লা হযরত" নামক কিতাবে রয়েছে- "জনৈক ব্যক্তি আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র খেদমতে কিছু মিঠাই নিয়ে উপস্থিত হলেন। আলা হযরত রহমাতুল্লাহি  আলাইহি তাকে বললেন, 'আপনি এতাে কষ্ট কেনাে করলেন?
লােকটি বললাে, 'উপহার মাত্র। কিছুক্ষণ পর লােকটি আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি 'র কাছে একটি তাবিজ চাইলেন। আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি  বললেন, 'সাধারণতঃ আমি তাবিজ লিখি না। তবে প্রয়ােজনে আমার আপনজন যাঁরা এ কাজে নিয়ােজিত, তাঁদের থেকে নিয়ে দিই। অনুরূপভাবে তাবিজ নিয়ে লােকটিকে দিলেন। আর সাথে সাথে খাদেমকে লােকটির আনিত মিঠাই ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন।

লােকটি বললেন, 'হুযুর! এ মিঠাই তাে তাবিজ গ্রহণের হাদিয়া স্বরূপ নয়; বরং আপনার জন্য তােহফা হিসেবে এনেছি। 'আমাদের এখানে তাবিজ বিক্রি করা হয় না' বলে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লােকটির মিঠাই ফেরত দিয়ে দিলেন।

প্রিয় পাঠক! ফল তার গাছের দ্বারা পরিচিত হয়। যেমনিভাবে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র জীবন ছিলাে পার্থিব মােহমুক্ত ও দুনিয়াদার রাজা বাদশাহদের সংশ্রব ও তাদের থেকে ফায়দা লুঠা থেকে মুক্ত তেমনিভাবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তাঁর সম্মানিত আওলাদগণও।
(মাওলানা জুফরুদ্দিন বিহারি রচিত"হায়াতে আ'লা হযরত",পৃষ্ঠা - ২৯)।

{আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উপর আরোপিত অপবাদের জবাব, কৃত: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেযভী,পৃষ্ঠা - ২৬৭-২৬৮}

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০



অনুসন্ধানে পাওয়া যায় যে, এ পর্যন্ত (২০১৬ ঈসায়ী) ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উপর প্রায় ২৩ জনের অধিক গবেষক পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Ph.D. ডিগ্রি লাভ করেছেন।


নিম্নে গবেষকদের নামসহ যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হলাে।

১) শিরােনাম : ফকিহে ইসলাম।
গবেষক :  ড. মুহাম্মদ হাসান রেযা খান
তত্ত্বাবধায়ক : ড. আতগার শের
ইউনিভার্সিটি : পাটনা ইউনিভার্সিটি, পাটনা, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৭৯ ঈসায়ী।

2) শিরোনাম: Devotional Islam & Politics In British India Ahmad Raza Khan Berielvi And His Movement 1870-1920
গবেষক :  ড. মিসেস উশা সানিয়াল
ইউনিভার্সিটি : কলম্বো ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯০ ঈসায়ী।

৩) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা, হায়াত আওর কারনামে।
গবেষক : ড. তৈয়ব আলি রেযা আনছারি
তত্ত্বাবধায়ক : ড. কমর জাহান, চেয়ারম্যান: উর্দু বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : হিন্দু ইউনিভার্সিটি, বেনারস, ভারত।
অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

৪) শিরােনাম : কানযুল ইমান আওর দিগর মা'রুফ উর্দু কুরআনি তরাজিম কা তাকাবুলি জায়েজাহ।
গবেষক : প্রফেসর ড. মজিদ উল্লাহ কাদেরি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. মাসউদ আহমেদ
ইউনিভার্সিটি : কারাচি ইউনিভার্সিটি, কারাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

৫) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী কি হালাত আফকার আওর এসলাহি কারনামে (সিন্ধি)।
গবেষক : প্রফেসর ড. মাওলানা হাফেজ আবদুল বারি সিদ্দিকি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. মদদ আলি কাদেরি
ডীন: ফ্যাকাল্টিট আব আর্টস
ইউনিভার্সিটি : সিন্ধু ইউনিভার্সিটি, জাম শুরদ, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

৬) শিরােনাম : আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা আওর উনকি নাত গােয়ী।
গবেষক : ড. সৈয়্যদ জামিল উদ্দিন রাটভি
ইউনিভার্সিটি : ড. হারি সিং গাের বিশ্ববিদ্যালয়, মহারষ্ট্র, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯২ ঈসায়ী।

৭) শিরােনাম : হযরত রেযা বেরেলভী বা-হায়ছিয়তে শায়েরে নাত।
গবেষক : ড. মুহাম্মদ ইমাম উদ দীন (জাফর শাফি আবেদি)
ইউনিভার্সিটি : বিহার ইউনিভার্সিটি, মুজাফফরপুর, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯২ ঈসায়ী।

৮) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা কি না'তিয়া শায়েরি।
গবেষক : ড. সিরাজ আহমদ বসতবি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. আবুল হাসানাত হক্কি
চেয়ারম্যান, উর্দু বিভাগ।
ইউনিভার্সিটি : কানপুর ইউনিভার্সিটি, কানপুর, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন ও ১৯৯৫/১৯৯৭ ঈসায়ী।

৯) শিরােনাম : উর্দু না'ত গােয়ী আওর ফাযেলে বেরেলভি।
গবেষক : ড, আবদুন নঈম আজিজি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. জেড এইচ ওয়াসিম
চেয়ারম্যান, উর্দু বিভাগ।
ইউনিভার্সিটি : রুহিল ক্যাণ্ড ইউনিভার্সিটি, বেরেলি, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৪ ঈসায়ী ।

১০) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা বেরেলভী কি ফিকহি খিদমাত।
গবেষক : প্রফেসর ড. আনওয়ার খান।
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. এইচ এম সাঈদ
সাবেক চেয়ারম্যান : ধর্মতত্ত্ব পর্যালােচনা বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : সিন্ধু ইউনিভার্সিটি, জামশুরদ, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৮ ঈসায়ী।

১১) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কা তাসাওউরে ইশক।
গবেষক : ড. মাওলানা গােলাম মােস্তফা আনজুম আল কাদেরি
তত্ত্বাবধায়ক : ড. জাহান আরা বেগম, চেয়ারম্যান: উর্দু বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : মাইশুর ইউনিভার্সিটি, ভারত।
ভিগ্রি অর্জনের সন : ২০০২/২০০৩ ঈসায়ী।

১২) শিরােনাম : রুহিল ক্যান্ড কে নছরি আরতাকা মে মাওলানা আহমদ রেযা খান কি হিসসা।
গবেষক : ড. রেযা উল রাহমান আকিফ সানবাহলি
ইউনিভার্সিটি : রুহিল ক্যান্ড ইউনিভার্সিটি, বেরেলি, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৩ ঈসায়ী।

১৩) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি ইনশা পরকাদাজি।
গবেষক : ড. গােলাম গাউস কাদেরি
ইউনিভার্সিটি : রানচি ইউনিভার্সিটি, জাকারহাও, বিহার, ইন্ডিয়া
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৩ ঈসায়ী

১৪) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি ফিররি তানকিদি জায়িযাহ।
গবেষক : ড. মাওলানা আমজাদ রেযা কাদেরি
তত্তাবধায়ক : প্রফেসর ড. তালহা বরক রিযভি।
ইউনিভার্সিটি : ওয়ের কিনর সিং ইউনিভার্সিটি, ভুজপুর, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

১৫) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান কি না'তিয়া শায়েরি কা তারিখি আওর আদবি জায়িযাহ।
গবেষক : ড. আনিসা তানযিমুল ফেরদৌস
তত্ত্বাবধায়ক : ড. ফরমান ফতেহপুরি
হউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী

১৬) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা আওর উনকি মাকতুবাত।
গবেষক : ড. গােলাম জাবের শামস মিসবাহি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. আলিম উল্লাহ হালি
চেয়ারম্যান : উর্দু বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : মগ্ধা ইউনিভার্সিটি, বিহার, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী।

১৭) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি আদবি ওয়া লিসানি খিদমাত।
গবেষক : ড. রিয়াজ আহমদ
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী।

১৮) শিরােনাম : আশ শায়খ আহমদ রেযা শায়েরান আরবিয়্যান মায়া তাদওয়িনে দিওয়ানিহিল আরবি।
গবেষক : ড. সৈয়্যদ শাহীদ আলি নুরানি
ইউনিভার্সিটি : পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাঞ্জাব, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী।

১৯) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান কি খিদমাত উলুমে হাদিস কা তাহকীকি আওর তানকিদি জায়িযাহ।
গবেষক : ড. মাওলানা মানজুর আহমদ সাঈদ
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসউদ আহমদ
ইউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬/২০০৭ ঈসায়ী।

২০) শিরােনাম : বররে সগির কি সিয়াসি তারিকাত মে ফাতাওয়ায়ে রেযভিয়্যাহ কা এক তাহকিকি জায়িযাহ।
গবেষক : প্রফেসর ড. ইসহাক মাদানি
ইউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬ ঈসায়ী

২১) শিরােনাম : আয যালালুল আনকা মিন বাহরে সবকাতিল আতকা। (লেখক- ইমাম আহমদ রেযা)
গবেষক : প্রফেসর ড. মাওলানা আশফাক আহমদ জালালি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. জহুর আহমদ আজহার
ইউনিভার্সিটি : পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাঞ্জাব, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬/২০০৯ ঈসায়ী।

২২) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা আওর উনকি খােলাফা কি তাহরিকে পাকিস্তান মে কিরদার।
গবেষক : ড. মুহাম্মদ হাসান ইমাম
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন নুরি
ইউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬/২০০৮ ঈসায়ী।

২৩) শিরােনাম : আসরুল ছাকাফাতিল আরাবিয়্যাহ ফিল মাদহিল নববিয়্যাতিল আউদিয়্যাহ লিশ শায়খ আহমদ রেযা খান।
গবেষক : ড. জাফর ইকবাল জালালি
ইউনিভার্সিটি : ফয়সালাবাদ ইউনিভার্সিটি,পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০১১ ঈসায়ী।

২৪) শিরােনাম : মহানবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামা এর শানে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (রা) রচিত নাত সাহিত্য ও একটি বিশ্লেষণ
গবেষক : ড. মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন
তত্ত্বাবধায়ক : ড. মুহাম্মদ আবদুর রশিদ
ইউনিভার্সিটি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০১৬ ঈসায়ী।

(সংক্ষেপ)

(ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উপর অপবাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব,কৃত: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেজভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।)