এক বুড়ি যিনি আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (رحمة الله) এর মহিলা মুরিদ ছিলেন। তাঁর স্বামীর উপর হত্যার অভিযোগে শাস্তির হুকুম হয়ে গিয়েছিল যে, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং বার বছরের কারাদন্ড। আপিল দায়ের করা হল। যখন থেকে আপিল করা হয়েছিল তাঁর (ঐ মহিলার) বর্ণনা হল, আমি প্রতিদিন আলা হযরত (رحمة الله) এর খেদমতে উপস্থিত হতাম। ফয়সালার তারিখের কয়েকদিন আগে বুড়ি নিজেকে যথাযথভাবে পর্দাবৃত করে আলা হযরত (رحمة الله) এর দরবারে ফরিয়াদ নিয়ে উপস্থিত হলেন। বললেন,“বেশী পরিমাণে حَسْبُنَا اللهُ وَ نِعْمَ الْوَ كِيْلُ পড়তে থাকুন। মহিলাটি চলে গেলেন। অবশ্য মধ্যবর্তী সময়ে আরো কয়েকবার হাযির হলেন। তিনি (رحمة الله) একই দুআ পড়তে বললেন। শেষ পর্যন্ত ফয়সালার তারিখ আসল। হাযির হয়ে আরয করল, “হুজুর! আজ চূড়ান্ত রায় ঘোষণার কথা বললেন, “ঐ দুআ-ই পড়তে থাকুন। বুড়ি ঐ পুরানো উত্তর শুনে একটু অসন্তুষ্ট হলেন আর বকতে বকতে ফিরে যাচ্ছিলেন যে, যখন আপন পীরই কিছু শুনতে চাচ্ছেন না তখন অন্য কেউ কি শুনবে? আলা হযরত (رحمة الله) বুড়ির এই অবস্থা দেখে দ্রুত উঁচু আওয়াজে বুড়িকে ডাকলেন, আর বললেন, “পান খেয়ে নিন। বুড়ি বললেন, “আমার মুখে পান আছে।হুজুর বারবার বললেন, কিন্তু বুড়ি কিছুটা অসন্তুষ্টই ছিলেন।
অতঃপর তিনি (رحمة الله)নিজ হাত মুবারকে পান বানিয়ে দিতে দিতে বললেন, “ছাড়াতো পেয়ে গেলেন, এখন পানটা খেয়ে নিন।” তখন বুড়ি খুশি হয়ে পান খেয়ে নিলেন এবং ঘরের দিকে রওয়ানা হয়ে গেলেন। ঘরের নিকটে পৌঁছতেই ছেলেরা দৌঁড়ে এসে বলতে লাগল, এতক্ষণ আপনি কোথায় ছিলেন? তার বার্তা বাহক আপনাকে খুঁজছিলেন। খুশি হয়ে ঘরে গেলেন এবং তার বার্তাটি নিয়ে পড়ালেন। তখন জানতে পারলেন যে, তাঁর স্বামী মুক্তি পেয়েছেন। (হায়াতে আলা হযরত, খন্ড-৩য়, পৃ-২০২, মাকতাবায়ে নববীয়্যা, মরকযুল আউলিয়া, লাহোর)
আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁদের উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁদের সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক। আমীন বিজাহিন্নাবিয়্যিল আমিন (ﷺ)
“তামান্না হে ফরমায়ে রোজে মাহশর,
ইয়ে তেরী রিহায়ী কি চিট্টি মিলি হে।”
(হাদায়েখে বখশিশ শরীফ)।
** সূত্র: ইসলামী বিশ্বকোষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন