বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১

আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র পীরের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র পীরের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

 আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি 'র পীর ও মাের্শেদ হযরত সৈয়্যদুনা খাজা সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল হােসাঈন কাদেরি বারকাতি মারেহেরাভি رضي الله عنه রজব মাসে ১২০৭ হিজরিতে ভারতের ইউপি'র অন্তর্গত আইটা জেলার মারেহেরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ'র ৩৯তম বংশধর। তিনি হচ্ছেন হােসাঈনি সৈয়্যদ। তাঁর পূর্বপুরুষেরা বিলগিরাম থেকে কালপি হয়ে মারেহেরা শহরে বসতি স্থাপন করেন। 

হযরত শাহ বারাকাতুল্লাহ মারেহেরাভি رضي الله عنه থেকে শুরু করে তারা আওলাদগণ শরিয়ত-তরিকতের বিশাল খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন এবং দিয়ে আসছেন। হযরত শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি বারাকাতি رضي الله عنه সিহাহ-সিত্তার হাদিস সিরাজুল হিন্দ শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভি رضي الله عنه থেকে শিক্ষা লাভ করে সনদ অর্জন ও শাহ সাহেবের সিলসিলার খেলাফত অর্জন করেন।

শাহ আলে রাসূল رضي الله عنه'র কারামত ঃ- সৈয়্যদুনা খাজা সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল হােসাঈনি رضي الله عنه'র অনেক কারামত রয়েছে। যেগুলাে থেকে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি উঁচুস্তরের অলিআল্লাহ ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কারামতসমূহের মধ্যে অন্যতম করামত হলাে- "বদায়ুন নিবাসী একজন বিশিষ্ট মুরিদ একদা ভাবতে লাগলেন যে, প্রিয় নবিজি ﷺ'র মেরাজ এত দ্রুত সময়ে কী করে সংঘঠিত।হলাে! হযরত শাহ আলে রাসূল رضي الله عنه সে সময়ে ওযু করছিলেন। তিনি আপন মুরিদের অন্তরের ভাবনা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তাকে ডেকে বললেন, ভেতরের ঘর থেকে গামছাটি আনেন তাে।' তিনি পীরের নির্দেশ পালনার্থে অন্দরমহলে ঢুকে দেখতে পান একটি জানালা। জানালার দিকে তাকাতেই দেখতে পান পুরোে এলাকায় বাগান আর বাগান। তিনি সেখানে পৌঁছলেই একটি বিশাল শহরে পৌঁছে গেলেন। তিনি সেখানে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করে দিলেন। সেখানে বিয়ে করেছেন এবং সন্তানও হয়েছে। এভাবে ঐ মুরিদ দীর্ঘ বিশটি বছর অতিবাহিত করেছেন।

পরিশেষে হুযুর শাহ আলে রাসূল رضي الله عنه তাঁকে ডাক দিতে না দিতেই সে লােকটি কম্পনরত অবস্থায় ঐ জানালার কাছে আসলেন। পীরের গামছা নিয়ে দৌড়ে উপস্থিত হলে দেখতে পান যে, হুযুরের মুবারক চেহারায় এখনাে ওযুর পানি ঝরছে।

হাত মােবারকও জল সিক্তাবস্থায় রয়েছে। লােকটি অত্যধিক আশ্চার্যান্বিত হয়ে শাহ আলে রাসূল رضي الله عنه'র দিকে দেখে তাকালেন। হুযুর আলে রাসূল رضي الله عنه মৃদু হেসে বললেন, মিয়া! বিশ বছর কেটে গেলাে। বিবাহ শাদিও করেছেন। সন্তান-সন্ততিও হয়েছে। অথচ এদিকে ওযুর পানিও আমার শুকায়নি। এবার মে'রাজের বাস্তবতা বুঝলেন তাে?"

উক্ত কারামত থেকে প্রতিয়মান হয় যে, মুর্শিদে আ'লা হযরত সৈয়্যদুনা আলে রাসূল رضي الله عن'র বেলায়তের মকাম কতাে উর্ধ্বে। 

সৈয়্যদুনা খাজা সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল হােসাঈনি رضي الله عنه ১৮ যিলহজ্জ ১২৯৬ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। তিনি ইন্তেকালপূর্ব ওসিয়তনামায় শুধু কুরআনের একটি আয়াতের অংশ বিশেষ লেখে বলেন, এখানেই দুনিয়া আখেরাতের কামিয়াবি। আয়াতের অংশটি হলাে-

اطيعوا ا لله واطيعوا الرسول

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ১৫৩,

১৫৪)।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন