সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০

 


শিয়াদের ব্যাপারে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র ফাতওয়া ও শিয়াদের ব্যাপারে শরিয়তের ফায়সালা কী? জবাবে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "কোনাে রাফেযি বা শিয়া যদি হযরত আমিরুল মুমেনিন আলি মুরতাদ্বা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে শাইখাঈন (হযেরত আবু বকর ও ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম 'র উপর মর্যাদা দেয়, তাহলে সে মুবতাদী বা বিদআতি। যা খােলাসাতুল ফাতওয়া ও আলমগিরিসহ অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। আর যে ব্যক্তি হযরত আবু বকর সিদ্দিক ও ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উভয়ের বা তাদের মধ্যে থেকে একজনের ইমামতকেও অস্বীকার করে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে বলে ফকিহরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মুতাকাল্লেমীন বা আকায়েদের ইমামগণ তাদেরকে বিদআতি বলেছেন। আর এটাই অতীব সাবধানতামূলক রায়।


আর যদি আল্লাহ তায়ালার জন্য 'শুরু আছে' আকৃিদা পােষণ করে অথবা বর্তমান

কুরআনকে অসম্পূর্ণ বলে আক্বিদা রাখে, অথবা বলে যে, এখানে সাহাবাগণ বা অন্যরা তাতে কিছু বিকৃত করেছে, অথবা আমিরুল মুমেনিন আলি মুরতাদ্বা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা আহলে বায়তের মধ্য থেকে কোনাে ইমাম আল্লাহর কাছে পূর্ববর্তী নবিগণের চেয়ে উত্তম, (যেমন আমাদের দেশের রাফেযিরা বলে) তাহলে নিশ্চয় এমন আক্বিদা পােষণকারী অকাট্যভাবে কাফের। মুরতাদের ফায়সালার মতােই তার ফায়সালা আরােপিত হবে। ফাতওয়ায়ে যাহিরিয়াহর বরাতে আলমগিরিতে এমনটি বিবৃত হয়েছে। 

এছাড়া আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাব আহকামে শরিয়ত, ফাতওয়ায়ে আফ্রিকা ও ফাতওয়ায়ে রেভিয়্যাহতে শিয়াদের ব্যাপারে শরিয়তের ফায়সালা দিয়েছেন দলিল চতুষ্টয়ের আলােকে। 

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ৩১৬-৩১৭)।


বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০


ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু শরয়ী ফয়সালার বিষয়ে তিল পরিমাণ এদিক সেদিক করতেন না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত কোনাে প্রকার আবেগাপ্লুত হয়ে শরিয়তের রাস্তা হতে এক মুহূর্তের জন্যও খসে পড়েননি। অন্যায় অবিচার তাঁর চক্ষুশূল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যেমন ছিলেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, তেমনি সত্যের ব্যাপারে ছিলেন খুবই কোমল। শরয়ী সাবধানতা ছিলাে তাঁর অন্যতম গৌরবময় দিক। এমনকি একটি কুকুরের প্রতিও তিনি কোনাে শরয়ী অসাবধানতা ও ঘৃণ্য শব্দ ব্যবহার করতেন না। একদা আ'লা হযরতের খলিফা মাওলানা আবু সিরাজ আবদুল হক রেজভি শামসি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র দরবারে অনুষ্ঠিত মিলাদুন্নবি মাহফিলে ওয়াজ করছিলেন।

এমতাবস্থায় তাঁর ফাত্ওয়া বিভাগের সামনে একটি কুকুর অযথা বসে থাকতে দেখে ওয়াজ রত মাওলানা শামসি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, এ ওহাবিকে (কুকুর) বের করে দাও।মাওলানা শামসি'র এ কথায় আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খুবই অসন্তষ্ট হয়ে বললেন,

মাওলানা চুপ থাকেন! মাওলানা এ কি কখনাে প্রিয় নবিজির শানে বেয়াদবি করেছে? খামােখা আপনি এটিকে ওহাবি খেতাবে ধিক্কার দিলেন? এ কুকুর আপনার কী অপরাধ করেছে, যে কারণে এটির উপর এত বড় অপবাদ! আপনি এটি থেকে এ ঘৃণ্য শব্দটি প্রত্যাখান করে নিন। কিয়ামত দিবসে যদি এ কুকুর খােদা তায়ালার দরবারে আপনার বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করে এ বলে "মাওলা আমি কী কখনাে নবিজির শানে বেয়াদবি করেছি? আমাকে কেনাে এ নিকৃষ্ট শব্দটি ব্যবহার করে কলঙ্কিত করা হয়েছে?" তখন আপনার উত্তর কী হবে? আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র এ প্রশ্নে উপস্থিত সকল জনতা এবং উপর্যুক্ত মাওলানা একেবারেই চুপচাপ। আ'লা।হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র চক্ষুদ্বয়ে অশ্রু বিসর্জিত হচ্ছিলাে। কিছুক্ষণ পর তিনি উক্ত মাওলানা।কে সম্বােধন করে বললেন- মাওলানা আপনি তাওবা করে নিন। আজকাল।রাসূলুল্লাহ ﷺ'র শানে বেয়াদবি ও ধৃষ্টতামূলক আচরণকারীকেই ওহাবি বলা হয়।


মনে রাখুন! হতে পারে কুকুর নাপাক প্রাণী; কিন্তু হুযুর ﷺ'র শানে।অবমাননাকারী তাে নয়। প্রাণীরাও তাে হুযুর ﷺ কে তা'জিম প্রদর্শন করে।


প্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করুন, আ'লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু শরিয়তের মাসআলা - মাসায়েলের ব্যাপারে কী পরিমাণ সতর্কতা অবলম্বন করতেন। তিনি যখন-তখন,যাকে - তাকে কাফের আখ্যায়িত করতেন না, তবে কারাে আক্বিদায় কুফরি প্রকাশ পেলেই তাকে

 কাফির বলতে দ্বিধা করতেন না। কারণ তিনি এটা ঈমানি দায়িত্ব মনে করতেন।

(মাওলানা আমানত রাসুল কাদেরি রেজভি মুস্তফভি রচিত "তাজাল্লিয়াতে ইমাম আহমদ রেযা",পৃষ্ঠা - ১৫২,আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ৭১-৭২)।




শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০


উত্তর : এখন আহলে বাইত বলতে প্রথমতঃ হযরত ফাতেমা যাহরা বতুল রাদিয়াল্লাহু আনহার বংশ বা আওলাদগণকে বুঝায়। তারপর হযরত আলী, হযরত আকিল, হযরত জাফর ও হযরত আব্বাছ রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের আওলাদ বা বংশধরগণকেও আহলে বাইত বলে গন্য করা হয়। হুযুর পূরনূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামের পবিত্রা বিবিগণ-অর্থাৎ উম্মাহাতুল মােমেনীনগণও আহলে বাইত। আল্লাহই সর্বজ্ঞ। (বিভিন্ন হাদীস ইহার প্রমাণ-অনুবাদক)।

_______________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড,পৃ:- ১৪)

মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

আমার আক্বা, আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, আলিমে শরীয়াত, পীরে তরীকত, হযরত আল্লামা মাওলানা আল হাজ আল হাফিয আল কারী আশ শাহ ইমাম আহমদ রযা খান (رحمة الله) একবার কোথাও আমন্ত্রিত ছিলেন। খাবার দেয়া হল। সকলে আ’লা হযরত (رحمة الله) খাওয়া শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আ’লা হযরত (رحمة الله) শশার থালা থেকে এক টুকরো নিয়ে নিলেন এবং খেয়ে নিলেন। তাঁর (رحمة الله) দেখা-দেখি লোকেরাও শশার থালার দিকে হাত বাড়ালেন কিন্তু তিনি (رحمة الله) সকলকে থামিয়ে দিলেন আর বললেন: সবগুলো শশা আমি খাব।সুতরাং তিনি (رحمة الله) সবগুলো শশা খেয়ে নিলেন। উপস্থিত লোকেরা আশ্চর্য হলেন, আ’লা হযরত (رحمة الله) তা খুব কম খাবার খান। আজকে এতগুলো শশা কিভাবে খেলেন! লোকেরা জিজ্ঞাসা করাতে বললেন: “আমি যখন প্রথম টুকরা খেয়েছি তখন সেটা তিক্ত ছিল। এরপর যখন দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি খাই তাও তিক্ত ছিল। সুতরাং আমি অন্যদেরকে থামিয়ে দিলাম, হয়তো কেউ শশা মুখে দিয়ে তিক্ত লাগলে থু থু করা শুরু করে দিবেন। যেহেতু শশা খাওয়া আমার প্রিয় প্রিয় মদীনে ওয়ালা মুস্তফা(ﷺ) এর মোবারক সুন্নাত, তাই আমার মনঃপূত হল না, এটা খেয়ে কেউ থু থু করবে।”

আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক।

    মুঝ কো মীঠে মুস্তফা কি সুন্নাতু ছে পেয়ার হে,

    দাে-জাহা মে আপনা বে-ড়া পার হে।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০

 


প্রশ্ন : আকাশের বিজলী কি জিনিস?

উত্তর : মেঘমালা পরিচালনার জন্য আল্লাহু তায়ালা একজন ফিরিস্তা মনােনীত করেছেন- যার নাম রাআদ। তার দেহ খুবই ছােট।

তার হাতে একটি বড় কোড়া রয়েছে। যখন উক্ত ফিরিস্তা মেঘমালায় কোড়া মারেন-তখন তার সংঘর্ষে মেঘমালা হতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বেরহয়। উহাকে বিজলী বলা হয়। আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।

_______________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড,পৃষ্ঠা - ১০)

মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০


আল্লাহ তাআলা তাঁকে অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী করেছিলেন। তিনি কমবেশি পঞ্চাটির বিষয়ে কলমধারণ করেছেন এবং

অনেক নামীদামী কিতাব রচনা করেছেন। প্রত্যেক শাস্ত্রে তাঁর  প্রচুর পারদর্শিতা ছিল। সময় নির্ণয় বিদ্যায় তিনি এতই পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন যে, দিনের বেলায় সূর্য এবং রাত্রি বেলায় নক্ষত্র দেখে তিনি নির্ভূলভাবে সময় নিরূপণ করতে পারতেন। এতে কখনও এক মিনিটেরও কমবেশী হত না। গণিত শাস্ত্রে তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।


কথিত আছে যে, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর জিয়া উদ্দিন, যিনি গণিত শাস্ত্রে বিদেশী ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং স্বর্ণ পদকও লাভ করেছিলেন। একদা কোন এক গাণিতিক সমস্যার সমাধানের জন্য

আ'লা হযরত এর দরবারে হাজির হন।

 আ'লা হযরত তাঁকে বললেন: "আপনার প্রশ্নটা বলুন।" তিনি বললেন: "প্রশ্নটা এতই জটিল যে, এ অবস্থায় সহজভাবে তা বলা যাবে না।" 

আলা হযরত তখন বললেন: "তাহলে বিস্তারিতভাবেই বলুন।" ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব আলা হযরত কে প্রশ্নটা বিস্তারিত

বললেন। প্রশ্নটা শুনে আ'লা হযরত  সাথে সাথেই তার সন্তোষজনক উত্তর দিয়ে দিলেন। তাঁর উত্তর শুনে ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব কিছুক্ষণ অবাক হয়ে রইলেন। তারপর তাঁকে বললেন: "হযরত! আমি এ প্রশ্নের সমাধানের জন্য জার্মান যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা সায়্যিদ সুলায়মান

আশরাফ সাহেব আমাকে সমস্যাটার সমাধানের জন্য প্রথমে আপনার নিকট

আসতে বলায় আমি এখানে আসলাম। আপনার উত্তর শুনে মনে হচ্ছে, আপনি সমস্যাটার সমাধান যেন বইতে নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন।"


আলা হযরতের এমন একটি জটিল প্রশ্নের জবাবে ডক্টর সাহেব আনন্দিত হয়ে গেলেন। আলাপ শেষে তিনি তাঁর নিকট থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। তাঁর জ্ঞানের গভীরতা ও ব্যক্তিত্বে তিনি এতই মুগ্ধ হয়ে গেলেন যে, মুখে দাড়ি রেখে দিলেন এবং নামায রােযার অনুসারী হয়ে যান। (হায়াতে আ'লা হযরত, ১ম খণ্ড, ২২৩, ২২৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)।(ইমাম আহমদ রযার জীবনী,পৃষ্ঠা - ৮,৯)

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০


 প্রশ্ন : নামাযের সময় লুঙ্গির প্যাচ খুলে নামায পড়া হয় কেন?

জবাব : রাছুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া ছাল্লাম নামাযে পরিধেয় কাপড় মােড়াতে নিষেধ করেছেন বলে। আল্লাহ্-ই সর্বজ্ঞ।

_________________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড)
মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

 


প্রশ্ন : কোন মহিলাকে তালাক দেওয়ার পর কতদিন পর সে দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবে?


উত্তর : তালাক দেওয়ার পর হায়েযওয়ালী মহিলা পূর্ণ তিন হায়েয অতিবাহিত হওয়ার পর বিবাহ করতে পারবে। আর মহিলা যদি

হায়েযওয়ালী না হয়-তাহলে তিনমাস পর। আর যদি গর্ভাবস্থায় তালাক হয়ে থাকে, তাহলে প্রসবের পর। উক্ত প্রসব যদি তালাকের ১ মিনিট পরেও হয় অথবা এক বছর পরে হয়, তাহলে প্রসবের পরপরই বিবাহ করতে পারবে। (এটাকে তালাকের ইদ্দত বলা হয়)।

___________________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড)
মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।


 প্রশ্ন - স্বামী মৃত স্ত্রীকে গােসল দিতে পারবে কি না এবং মৃত্যুর পর স্বামী তাঁর স্ত্রীর লাশ স্পর্শ করতে পারবে কি না।

উত্তর : মৃত স্ত্রীর কাফনের উপর স্পর্শ করতে পারবে এবং কবরেও নামাতে পারবে। কিন্তু খালী শরীর স্পর্শ করতে পারবে না সুতরাং গােসলও দিতে পারবে না। আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।

_______________

ইরফানে শরিয়ত (প্রথম খণ্ড)

মূলঃ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

অনুবাদ: অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল জলীল রহমাতুল্লাহি


আলাইহি।

 



উচ্চারণ:

ইয়া ইলাহী রহম ফরমা মােস্তফা কে ওয়াস্তে

ইয়া রাসূলাল্লাহ করম কী জিয়ে খােদা কে ওয়াস্তে।


অনুবাদ:


হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ মােস্তফা সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়া সাল্লাম'র দোহাই দিচ্ছি, আমাদের প্রতি রহম, কৃপা করুন। হে আল্লাহর রাসূল, আপনার দয়াময় প্রভু মহান আল্লাহর দোহাই, তাঁর দিকে চেয়ে আমাদের

প্রতি অনুগ্রহ করুন। (আমীন)


কাব্যানুবাদ:


হে ইলাহী, করাে গাে রহমত মােস্তফারই দেই দোহাই,

ইয়া রাসূলাল্লাহ, দয়া চাই, খােদ খােদারই দেই দোহাই ।



উচ্চারণ: 


মুশকিলেঁ হল কর শাহে মুশকিল কুশা কে ওয়াস্তে,

কর বালায়েঁ রদ শহীদ কারবালা কে ওয়াস্তে।


অনুবাদ:


দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করাে (হে খােদা), মুশকিল দূরীভূতকারী শেরে খােদা শাহে বেলায়ত (হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)'র ওয়াসীলায়।  শহীদে কারবালা (হযরত ইমাম হােসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র

ওয়াসীলায় বিপদ প্রতিহত করে দাও।


কাব্যানুবাদ:

যতই মুশকিল দাও হটিয়ে মুশকিল কুশা আলীর দোহাই,

দূর করাে বালা শহীদে কারবালারই দেই দোহাই ।




উচ্চারণ:


সায়্যিদ সাজ্জাদ কে সদকে মে সা-জিদ রাখ মুঝে,

ইলমে হক-দে বা-ক্বেরে ইলমে হুদা কে ওয়াস্তে।


অনুবাদ:


সাধক শ্রেষ্ঠ, সাইয়্যিদ যাইনুল আবেদীন (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র ওয়াসালীলায় আমাকে, হে প্রভু, ইবাদত রত রাখাে।

হযরত ইমাম বাকের (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু.)'র সদকায়, যিনি হেদায়তেরআধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পন্ন, আমাকেও সত্যের জ্ঞান দাও।


কাব্যানুবাদ:


সায়্যিদে সাজ্জাদেরই সদকায় রেখাে সাজিদ আমায়,

দাও হকের ইলম, শাহে বাকের 'হাদীয়ে ইলম'র দোহাই ।


উচ্চারণ:


সিদক্বে  সাদিক কা তাসাদ্দুক্ব সাদিকুল ইসলাম কর,

বেগদ্বব রাদ্বী হাে কা-যিম আওর রেযা কে ওয়াস্তে ।


অনুবাদ:


সত্যনিষ্ঠের সত্যতার সদকায় ইসলামে খাঁটি ও নিখাদ বিশ্বাসী করে দাও। হে প্রভু, তুমি হযরত মুসা কাযেম ও মুসা রেযা (রাদি.)'র ওয়াসীলায় আমার প্রতি ক্রোধবিহীন

অবস্থায় সম্ভুষ্ট হয়ে যাও।


কাব্যানুবাদ:


সা-দিক'র সত্যতার সদকা, ইসলামে সাচ্চা বানাও,

নয় গযব, হও রা-যী কাযেম ও রেযারই দেই দোহাই।


(হাদায়েক্বে বখশিশ'র পঙ্কক্তিমালা,আ'লা হযরত রচিত,কাব্যানুবাদ: মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান)।