ইন্তেকালের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ'র সাক্ষাত ও হুযুর ﷺ অপেক্ষমানঃ-
মাওলানা আবদুল আযিয মুহাদ্দিস মুরাদাবাদি দারুল উলুম আশরাফিয়াহ (আজমগড়), আজমির শরিফ দরগাহের সাজ্জাদানশীন দিওয়ান সৈয়্যদ আলে রাসূল সাহেবের সম্মানিত চাচা (যিনি এক উঁচু পর্যায়ের বুযুর্গ ছিলেন) ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী নির্ভরযােগ্য আর কথা স্বপ্নের। যাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা অন্তদৃষ্টি দান করেছেন, তারা অবশ্যই এ ঘটনা থেকে জ্যোতি লাভ করবেন। তিনি বলেছেন- "১২ই রবিউস সানি, ১৩৪০ হিজরি। একজন সিরিয়াবাসী বুযুর্গ দিল্লীতে তাশরিফ আনলেন। তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে তাঁর সাক্ষাতপ্রত্যাশী হলাম। খেদমতে গিয়ে দেখলাম বড়ই বুযুর্গ লােক।
মানসিকতায় স্বাবলম্বিতার ছাপ ছিল খুবই স্পষ্ট। মুসলমানগণ অন্যান্য আরবিয় বুযুর্গদের খিদমত করার নিমিত্তে নযরানা পেশ করতে লাগলাে। কিন্তু তিনি তা।কবুল করতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং আল্লাহর অনুগ্রহে তিনি আর্থিকভাবে সচ্ছল।এটা বুঝিয়ে দিলেন। আমি আরয করলাম, এখানে তাশরিফ আনার কারণ কী? তিনি উত্তরে বললেন, 'উদ্দেশ্য তাে বড়ই উঁচু মানের ছিলাে, কিন্তু হাসিল হলাে না। আফসােস! তা হচ্ছে, ২৫ শে সফর ১৩৪০ হিজরি আমার সৌভাগ্য জেগে উঠলাে।
স্বপ্নে আমার নবি করিম ﷺ'র যিয়ারত নসিব হলাে। দেখলাম হুযুর তাশরিফ রাখছেন, সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মহান দরবারে উপস্থিত আছেন। কিন্তু মজলিসে নিরবতা বিরাজ করছিলাে। মনে হচ্ছিলাে কারাে জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। আমি রাসূলে পাকের দরবারে আরয করলাম, ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি (আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হােক) ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! কার জন্য অপেক্ষা? এরশাদ ফরমালেন, 'আহমদ রেযার জন্য অপেক্ষা। আমি আরয করলাম, আহমদ রেযা কে? এরশাদ হলাে, হিন্দুস্থানের বেরেলির বাসিন্দা।' স্বপ্ন ভাঙ্গার পর আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে, মাওলানা আহমদ রেযা খান সাহেব খুবই উঁচুমানের একজন আলিম। তাই তাঁরই সাক্ষাত প্রত্যাশী হয়ে বেরেলি শহরে পৌঁছেছি। এসে জানতে পারলাম তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আর ওই ২৫শে সফর তাঁর ইন্তেকালের তারিখ ছিলাে। তাঁর সাথে সাক্ষাতের অদম্য আগ্রহে এ দীর্ঘ সফর করলাম; কিন্তু আফসােস! সাক্ষাত করতে পারলাম না।(মাওলানা নাদিব বসতবি রচিত "মুজাদ্দিদে ইসলাম",প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা - ১২৭ ও আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ২১০,২১১)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন