বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

প্রতি মাসে মদিনা শরিফে গরিবদের কাছে মাসিক খরচের টাকা পাঠানাে

 


প্রতি মাসে মদিনা শরিফে গরিবদের কাছে মাসিক খরচের টাকা পাঠানাে

একবার এক ব্যক্তির খেদমতে প্রতি মাসের ন্যায় ৫০ টাকা মদিনা শরিফে টাকা পাঠানাের কথা ছিলাে। কিন্তু ঐ সময় আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র হাতে একটা টাকাও ছিলাে না। তাই তিনি রাসূলে পাক ﷺ'র দরবারে মনােযােগী হয়ে আবেদন করলেন, 'হুযুর। আমি আপনার ভরসাই খােদার কিছু বান্দার মাসিক খরচের দায়িত্ব নিজের জিম্মায় নিয়েছি। কাল ৫০ টাকা মানি অর্ডার।করা প্রয়ােজন। যদি করতে না পারি তাহলে পােস্ট অফিসের মানি অর্ডারের ব্যবস্থাপক চলে আসবেন। তারপরেও দিতে না পারলে টাকা পাঠাতে দেরি হয়ে।যাবে। ঐ রাতটি তিনি খুব দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় কাটালেন। সকাল হলে এক ব্যক্তি।এসে ৫১ টাকা হযরত হাসনাঈন রেযার মাধ্যমে আ'লা হযরতের খেদমতে উপহার।

পাঠালেন। এ উপহার পেয়ে তিনি খুব খুশি হলেন এবং উল্লেখিত প্রয়ােজনের হাকিকত উম্মােচন হয়ে গেলাে। তিনি ইরশাদ ফরমালেন, নিঃসন্দেহ এটা হযুর।পাক ﷺ'র বদান্যতা। এ কারণে যে, একান্ন টাকা দেয়ার অর্থ হলাে ৫০ টাকা।মানি অর্ডারের জন্য। আর মানি অর্ডারের ফি তাে লাগবেই। তাই ১ টাকা ফি'র।জন্য। অতঃপর তিনি মানি অর্ডারের ফরম পূরণ করলেন এবং পােস্ট অফিস খােলার সাথে সাথেই টাকা পাঠিয়ে দিলেন।


যখন তাঁর কাছে কোথাও থেকে কোনাে টাকা আসতাে তখন তিনি তা বণ্টন করে দিতেন। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই কোনাে এক সময়ে এরশাদ করেছিলেন,আমি কখনাে যাকাতের এক পয়সাও দিই নাই। কেননা তিনি তাঁর নিজের কাছে কখনাে এত টাকা জমা রাখেননি, যাতে বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়।

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ২৫৬ ) 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন