হাদিস ১ :
◼ সাহীহাইনে হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে,
عن انس بن مالك رضي الله عنه ان النَّبى صلى الله تعا لى عليه وسلم دخل مكَّة يو م الفتح وعلى رأسه المعضر فلما نز عه جاء رجلَّ فقال ابن خطل متعلقَّ با ستارِ الكعبةِ فقال اُقتله قال مالك ولم يكن النَّبى صلى الله عليه وسلم فيما نرى والله اعلم يومئذ محرما _
নিঃসন্দেহে মক্কা বিজয়ের দিন নবী করীম (ﷺ) মাথায় লােহার টুপি পরিহিত অবস্থায় মক্কায়ে মুয়াজ্জমায় প্রবেশ করেছেন। তিনি সবে মাত্র টুপি খুলেছেন এ সময় এক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বলল, ইবনে খাতাল (জাহেলী যুগে যার নাম ছিল আব্দুল উযযা -***) কাবার গিলাফ ধরে দাঁড়িয়ে আছে । নবী করীম (ﷺ) বললেন, তাকে হত্যা কর। ইমাম মালিক (رضي الله عنه) বলেন, আমাদের ধারণানুযায়ী সেদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহরাম পরা অবস্থায় ছিলেন না। ***আল - বিদায়া ওয়ান নিহায়া।[বুখারী শরীফ, কিতাবুল মাগাযী]
এতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, হারাম শরীফেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যুর পরওয়ানা জারি করেছেন। অথচ আমরা জানি তাতে হত্যা, ঝগড়া - বিবাদ নিষিদ্ধ।
হাদিস ২ :
◼ ইমাম আবু জাফর আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল-মিসরী আত-তাহবী (রহঃ) বর্ণনা করেন,
عن عباد ة بن الصا مت قال قال رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم خذوا عنى فقد جعل الله لهن سبيلا- الخ
হযরত উবদা ইবনুল সামিত (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর, আল্লাহ তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।”[শারহু মাআনিল আসার, খন্ড -৩]
উপরােক্ত হাদিস স্বয়ং বিশ্বমানবতার মুক্তির প্রথম ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আইনি সংবিধান মদীনা সনদের প্রবক্তা
◼ হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (ﷺ)- এর উক্তি - “আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর।"
এতে প্রতীয়মান হয় যে, আহকামে শরীয়ত তাঁরই হাতে ন্যস্ত।
হাদিস ৩ :
◼ ইমাম মুসলিম (رضي الله عنه) হযরত আলী ইবনে হুমায়ন (رضي الله عنه) থেকে হযরত মিস ওয়ার ইবনে মাখরামা সূত্রে দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। হযরত মিসওয়ার বলেন,
إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ، فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ، عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ: «إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي، وَإِنِّي أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا» قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ، قَالَ «حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي، وَوَعَدَنِي فَأَوْفَى لِي، وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلَالًا وَلَا أُحِلُّ حَرَامًا، وَلَكِنْ وَاللهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا
অবশ্য ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহা জীবিত থাকাকালে হযরত আলী (رضي الله عنه) আবু জাহলের কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন আমি এ বিষয় নিয়ে রাসূলুল্লাহু (ﷺ)'কে লােকদের সামনে মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে শুনেছি, আমি সে সময় সদ্য বালিগ বয়সের। তখন তিনি বললেন, ফাতিমা আমারই অঙ্গ, আমার ভয় হচ্ছে, সে তার দ্বীনের ব্যাপরে ফিতনায় না পতিত হয়। অতঃপর তিনি আবদ ই-শামস গােত্রীয় তাঁর জামাতার আলােচনা করলেন। তার আত্মীয়তার সুন্দর প্রশংসা করলেন এবং বললেন, সে আমায় যা বলেছে সত্য সাব্যস্ত করেছে। যে অংঙ্গীকার করেছে তা প্রতিপালন করেছে আর আমি কোন হালালকে হারাম করি বা হারামকে হালাল করি না। তবে আল্লাহর কসম, আল্লাহর রাসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে কখনাে এক জায়গায় একত্রিত হবে না।
[মুসলিম শরীফ]
উক্ত হাদিসের আলােকে প্রমাণিত হয় যে, শরীয়তে বিধিবিধান আল্লাহর রাসূল (ﷺ) - এর করায়ত্তে। কেননা একজন পূরুষ চাইলে একসাথে চার জন স্ত্রী বিবাহবন্ধনে রাখতে পারবে, যা আল্লাহর কুরআনের ফয়সালা ।
হাদিস ৪ :
◼ ইমাম আবু জাফর আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল-মিসরী আত-তাহাবী (রহঃ) হযরত উমারাহ ইবনে খুযায়মাহ আনসারী সূত্রে দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
যাতে রাসূলুল্লাহু (ﷺ) হযরত খুযায়মা ইবনে সাবিত (رضي الله عنه)'র একার সাক্ষ্যকে দু'ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান করেছিলেন। উমারাহ (رضي الله عنه) বলেন, আমার চাচা যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবী ছিলেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলে পাক একজন গ্রাম্য লােকের নিকট হতে একটা ঘােড়া ক্রয় করলেন। অতঃপর তিনি তার ঘােড়ার মূল্য নেয়ার জন্য তাকে তার পেছনে আসতে বললেন। রাসূলুল্লাহু (ﷺ) দ্রুত চললেন কিন্তু সে ধীরে আসতে লাগল, কিছু লােক তার সম্মুখীন হলাে এবং তার সাথে ঘােড়াটি ক্রয়ের আলােচনা করতে লাগল, তারা একথা জানে না যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘােড়াটি ক্রয় করেছেন। এমনকি তাদের একজন নবী (ﷺ) যে মূল্য দিয়ে ঘােড়াটি ক্রয় করেছেন, তার চেয়েও বেশি মূল্য বললাে। অতঃপর নবী (ﷺ) কে গ্রাম্য লােকটি চিৎকার করে ডেকে বললাে, আপনি যদি ঘােড়াটি ক্রয় করতে চান ক্রয় করুণ, নইলে আমি বিক্রয় করে দেব, তার এ চিৎকার যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুনতে পেলেন, তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর বললেন আমি কি তােমার কাছ থেকে ঘােড়াটি ক্রয় করিনি? লােকটি বললাে, না। আল্লাহর কসম, আমি আপনার নিকট বিক্রয় করিনি। নবী (ﷺ) বললেন, অবশ্যই তুমি বিক্রয় করেছ, আমি তােমার কাছ থেকে ক্রয় করেছি। অতঃপর লােকজন নবী (ﷺ) এবং উক্ত গ্রাম্য লােকটির নিকট জমা হতে লাগল। আর তারা দুজন একে অপরের সাথে কথা কাটাকাটি করছিল। গ্রাম্য লােকটি বলতে লাগল, আমি যে আপনার নিকট বিক্রয় করেছি এ ব্যাপারে একজন সাক্ষী পেশ করুন। এ সময় যে মুসলমানই সেখানে উপস্থিত হতেন, তিনি বলতেন, তােমার সর্বনাশ হােক। নবী (ﷺ) সত্য ব্যতীত অসত্য বলতে পারে না।
حتى جاء خز يمة فا ستمع لمراجعة النبى صلى الله تعالى عليه وسلم ومراجعة الا عرابى وهو يقول هلم شهيدًا يشهدلك انَّى قد بايهنك فقال جزيمة انا اشهد انَّك قد بايعتهُ فاقبل النيى صلى الله تعالى عليه وسلم على خزيمة فقال بما تشهد فقال بتصد يقك يارسول الله فجعل رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم شهاد ةَ خز يمةَ بشَّهادة رجلين _ -
এমন সময় হযরত খুযায়মা (رضي الله عنه) সেখানে উপস্থিত হন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও গ্রাম্য লােকটির কথােপকথন শােনেন। সে বলছিল- আপনি সাক্ষী পেশ করুন, যে একথার সাক্ষ্য দেবে যে, আমি আপনার নিকট ঘােড়াটি বিক্রয় করেছি। তখন খুযায়মা (رضي الله عنه) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ঘােড়াটি বিক্রয় করেছ। তখন নবী (ﷺ) তার দিকে অগ্রসর হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছ? তিনি বললেন,হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ! আপনাকে যে আমি সত্য নবী মেনে নিয়েছি, তার মাধ্যমেই সাক্ষ্য দিচ্ছি, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত খুযায়মা (رضي الله عنه) - এর সাক্ষ্যকে দুজন ব্যক্তির সাক্ষ্যের সমান ঘােষণা করলেন।
[শারহু মা’আনিল আসার, খন্ড -৩]
দু’জন সাক্ষীর মােকাবেলায় খুযায়মা ইবনে সাবিতের সাক্ষ্যকে যথেষ্ট করা, নিঃসন্দেহে শরয়ী বিধানমালা যে হাবীবুল্লাহ (ﷺ) - এর হাতে ন্যস্ত সেটার অকাট্য প্রমাণ বহন করে। আর এমনটিই মুসলিম মিল্লাতের ঈমান আকিদা হওয়া চাই । আমীন!
"হুযুর সৈয়্যদে আলম (ﷺ) এর সুদৃঢ় পরওয়ানায় পবিত্র মদীনায়ে তৈয়্যবাকে হারাম ঘােষণার হাদিস সমূহ"
হাদিস ৫ :
◼ সহীহাইনে (হাদীসের বিশুদ্ধতম দুই কিতাব) রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবেদন করেন :
اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ، وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا - هما واحمد والطحا وى فى شرح معا نى الا ثار عن انس رض الله تعالى عنه _
হে আল্লাহ ! নিঃসন্দেহে হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) মক্কাকে হারাম করেছেন, আর আমি মদীনায়ে তায়েবার দু প্রস্তরময় ভূখন্ডকে হারাম করলাম।”
▪ কানযুল উম্মাল বাযযারের শর্তের অনুকুলে হাদিস নম্বর - ৩৮১২৩, মুআসসাসা আর রিসালা,বৈরত -১৪/১২৫।
▪ সহীহ বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া, বাবু ইয়াজিফফুনান নাসলান, কদীমী কুতুবখানা করাচী- ৪৭৭/১।
▪ সহীহ বুখারী,কিতাবুল মাগাযী, গাযওয়ায়ে উহুদ, কদিমী কিতাবখানা, কারাচী - ৫৮৫/২।
▪ সহীহ বুখারী,কিতাবুল ইতিসাম, বাবু মা যাকারান নবী (ﷺ) প্রাগুক্ত, ১৪০৯০/২।
▪ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ, বাবু ফযল মাদীনা, কদীমী কিতাবখানা, করাচী - ৪৪১/১।
▪ মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, আল মাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত - ১৪৯/৩।
▪ শারহু মা’আনিল আসার, কিতাবুস সায়ীদ, বাবু সায়ীদিল মদীনা, এইচ, এম সাঈদ কোমপানী, করাচী - ৩৪২২।
এ হাদিস বুখারী, মুসলিম ও আহমদ এবং ইমাম তাহাবী এটি শারহু। মা’আনিল আসার’ গ্রন্থে হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা হতে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস ৬ :
◼ সহীহাইনে এইমতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَدَعَا لِأَهْلِهَا، وَإِنِّي حَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ كَمَا حَرَّمَ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ، وَإِنِّي دَعَوْتُ فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا بِمِثْلَيْ مَا دَعَا بِهِ إِبْرَاهِيمُ لِأَهْلِ مَكَّةَ -
هم جميعا عن عبد الله بن زيد بن عاصم رضي الله تعالى عنه - -
নিঃসন্দেহে হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) মক্কায়ে মুয়াজ্জামাকে হারাম ঘােষণা করেছেন ও তাঁর অধিবাসীদের জন্য দোয়া করেছেন। আর নিঃসন্দেহে আমিও পবিত্র মদীনাকে হারাম ঘােষণা করেছি। যেমনিভাবে হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) মক্কাকে হারাম ঘােষণা করেছেন। আর আমি মদীনার এক মুদ ও সা’ এর বরকতের জন্য দোয়া করছি। যেরূপ দেয়া হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) আহলে মক্কার জন্য করেছিলেন।
এ হাদিস আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (رضي الله عنه) হতে তারা সকলেই বর্ণনা করেছেন।
▪ সহীহ বুখারী, কিতাবুল বুরূহ, বাবু বারাকাতিস সায়িম নবী (ﷺ), কাদিমী কিতাব খানা, করাচী - ২৮৬/১।
▪ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ, বাবু ফলিল মদীনা ওয়া দুআউন নবী (ﷺ), কাদিমী। কিতাবখানা, করাচী - ৪৪০/১।
▪ মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল - মাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত - ৪০/৪।
▪ শারহু মা'আনিল আসার, কিতাবুস সায়ীদ, বাবু সায়ীদিল মদীনা, এইচ, এম, সাঈদ কোমপানী, করাচী - ৩৪২/২।।
হাদিস ৭ :
◼ সহীহাইনে এইরূপে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, হুযুরে আক্বদাস (ﷺ) আরজ করেন: হে আল্লাহ ! নিশ্চয়ই হযরত ইবরাহীম (আঃ) তােমার বন্ধু, তােমার নবী, আর আপনি তাঁর যবানের উপর মক্কায়ে মুয়াজ্জমাকে হারাম করেছেন।
اللهم وانا عبدك ونبيك وانى اُحِرّ مُ ما بين لا بتيها
অর্থাৎ হে আল্লাহ ! আমিও তােমার বান্দা ও তােমার নবী, আমি মদীনায়ে তাইয়েবার দু'টি কৃষ্ণ প্রস্তরময় ভূমির গােটা স্থানকে হারাম ঘােষণা করছি।
▪ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ, বাবু ফলিল মদীনা ওয়া দুআউন নবী ﷺ কদীমী কিতাব খানা, করাচী - ৪৪০/১।
▪ সুনানে ইবনে মাজাহ, আবওয়াবুল মানাসিক, বাবু ফযলুল মদীনা, এইচ, এম, সাঈদ কোমপানি, করাচী - পৃষ্ঠা - ২৩২।
▪ কানযুল উম্মাল, হাদিস নম্বর : ৩৪৮৮২, মুআসসাসা আর রিসালা, বৈরুত - ২৪৫/১২।
হাদিস ৮ :
ইমাম তাহাবী (رضي الله عنه) এটির নিকটবর্তী বর্ণনা করেছেন এবং এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন -
ونهى النبى صلى الله تعالى عليه وسلم ان يقصد شجرها او يخبط او يؤخد طير ها -
রাসূল (ﷺ) মদীনার গাছ কাটতে, তার পাতা ছিড়তে এবং এখানকার পাখি শিকার করতে নিষেধ করেছেন।
▪ শারহু মা'আনিল আসার, কিতাবুস সায়ীদ, বাবু সায়ীদিল মদীনা, এইচ, এম. সাঈদ কোমপানি, করাচী - ৩৪৩/২।
হাদিস ৯ :
সহীহ মুসলিম শরীফে রয়েছে যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন ,
انّى اُحَرِمُّ ما بين لا بتى المدينة ان يقطع عضا هها او يقتل صيد ها - هو واحمد واطحا وى عن سعد بن ابى وقاض رضى الله تعالى عنه
নিঃসন্দেহে আমি মদীনার দুই প্রান্তের মধবর্তী স্থানকে হারাম বলে। ঘােষষণা করলাম। অতএব এখানকার গাছপালা কর্তন করা এবং এখানকার জীব জন্তু শিকার করা হারাম করেছেন।
এ হাদিস ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ এবং ইমাম তাহাবী (রহঃ) সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন।
▪ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ, বাবু ফলিল মদীনা, কদমী কিতাব খানা, কারাচী - ৪৪০/১।
▪ মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, হযরত সাঈদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, আল মাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত - ১৮১/১।
▪ শারহু মা’আনিল আসার, কিতাবুল হজ্জ, বাবু ফলিল মদীনা, কাদীমী কিতাব খানা, করাচী - ৪৪০/১।
হাদিস ১০ :
সহীহ মুসলিম শরীফের মাঝে এ বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ، وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا - هو والطحاوى عن رفع بن خد يج رض الله تعالى عنه -
নিঃসন্দেহে হযরত ইবরাহীম (আঃ) মক্কায়ে মুয়াজ্জমাকে হারাম বানিয়েছেন, আর আমি মদীনার দুটি কৃষ্ণ প্রস্তরময় ভূমির মধ্যবর্তী জায়গাকে হারাম ঘােষণা করছি।”
উপর্যুক্ত হাদিসটি ইমাম মুসলিম ও ইমাম তাহাবী হযরত রাফি ইবনে খাদীজ (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেছেন।
▪ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল হজ্জ, বাবু ফলিল মদী, কাদীমী কিতাখানা,করাচী - ৪৪০/১।
▪ শারহু মাআনিল আসার, কিতাবুস সায়ীদ, বাবু সায়ীদিল মদীনা, এইচ, এস, সাঈদ কোমপানী, করাচী - ৩৪২/২।
____________________
কিতাবঃ শরীয়তের বিধি-বিধান নবীর হাতে
মূলঃ আ'লা হযরত মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেযা (রহঃ)
অনুবাদঃ মুহাম্মদ হােসাইন রেযা কাদেরী।
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন