বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ইলমুল ইয়াকিনে আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র অসাধারণ দৃঢ়তা


খােদায়ি কালাম আল কুরআন নয় শুধু, রাসূলুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র পবিত্র মুখঃনিসৃত বাণী হাদিস শরিফের উপর তাঁর অসাধারণ দৃঢ় বিশ্বাস ছিলাে, যা একজন আরেফ অলিআল্লাহ ভিন্ন আর কারাে কাছে পাওয়া যাবে না। তাইতাে তিনি গেয়েছেন- "সঁপি নিজেকে কালামে তাঁর, পেলে কি থাকে সে ভাবনার, যে বাণীর পরে কোনো বাণী নেই, সে বয়ান নাহি আসে বর্ণনায়।"(আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রচিত "হাদায়েকে বখশিশ", প্রাগুক্ত, খণ্ড ০১, পৃষ্ঠা ৬৫। কাব্যানুবাদে-মাওলানা আনিসুজ্জামান অনুদিত কালামে রেখা, পৃষ্ঠা ২৫)।

আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র এ নাতটি শুধু তাঁর নিছক শায়েরি নয়; বরং তিনি ছিলেন নবির পবিত্র কালামের প্রতি চির উৎসর্গিত। দুনিয়ার কোনাে শক্তি তাঁর ইয়াকিন থেকে তাঁকে এক বিন্দুও সরাতে পারেনি। হাদিস শরিফে আছে কোনাে লােক যদি নৌকায় বা জলযানে যাত্রা করে, জলযানে উঠার সময় জলযানে উঠার দুআটি পড়ে নেয়, তবে তা কখনা ডুববে না। দুআটি হচ্ছে- "বিসমিল্লাহে মাজরে হা ওয়া মুরসাহা ইন্না রব্বি লাগফুরুর রাহিম।"

আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি একদা মাকে নিয়ে হজ্ব করে বাড়ী ফিরছিলেন। মাঝ দরিয়ায় পৌছলে প্রবল বেগে তুফান, জলােচ্ছ্বাস শুরু হয়। জাহাজের যাত্রীরা ভয়ে কান্নাকাটি করছিলাে। এমনকি অনেকে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনে কাফনের কাপড়ও পরে ফেলেছে। জাহাজের চালকও জাহাজ রক্ষার আশা ছেড়ে দিয়েছে। আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র আম্মা খুবই কান্নাকাটি করলে তিনি তাঁকে অভয় দিয়ে বলেন- "মা! আপনি এটা বিশ্বাস রাখুন, খােদার কসম এ জাহাজটি ডুববে না। যেহেতু হাদিস শরিফে বর্ণিত জাহাজে উঠার দুআটি আমি পড়ে উঠেছি। সুতরাং এটা কখনো ডুববে না। যেহেতু দুআটি পড়লে আমার নবিজির সুসংবাদ রয়েছে। ইহাই সত্য, তাতে কোনা সন্দেহ নেই। পরবর্তীতে দেখা গেলাে যে, জাহাজটি তিনদিন পর্যন্ত প্রবল জলােচ্ছ্বাস ও তুফানকে অতিক্রম করে অক্ষত রইলাে এবং জাহাজ যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ী ফিরলাে।" (মাওলানা মুহাম্মদ আহমদ মিসবাহি (প্রফেসর জামেয়া আশৱাফিয়া মুবারকপুর) রচিত "ইমাম আহমদ রেযা ও তাসাউফ",আল মাজমাউল ইসলামি,আজমগড়,ভারত,পৃষ্ঠা - ৫২ ও আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ২০৬)। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন