তাফদ্বীলিয়্যাহ ফেরকার সাথে মােনাযারা
১৩০০ হিজরি সনে বেরেলি, বদায়ুন, সানবাল ও রামপুরের শিয়ারা মাসআলায়ে তাফদ্বীলিয়্যাহ'র উপর আলা হযরত
ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র সাথে মােনাযারা বা সম্মুখ তর্কের ঘােষণা দিলাে। শিয়া মােনাযের হিসেবে তৎকালীন শিয়াদের বড় আলেম মৌলভি মুহাম্মদ
হাসান সানবাহলিকে ঠিক করা হলাে। এদিকে আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি গুরুতর অসুস্থাবস্থায় ডাক্তারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মােনাযারা গ্রহণ করলেন।
তিনি ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞার জবাবে বলেন- "মােনাযারা করে যদি মরতে হয়, মরতে রাজি। মােনাযারা অস্বীকার করে বেঁচে
থাকা? তা কখনাে হতে পারে না।"
শিয়ারা আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কাছে লিখলাে, প্রশ্ন কি প্রথমে আমরা করবাে, না কি আপনি করবেন? তার জবাবে আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি শিয়া মােনাযের মৌলভি মুহাম্মদ হাসান সানবাহলির কাছে তিনটি প্রশ্ন লিখে পাঠিয়ে দিলেন।
লােকটি শিয়া মতবাদী হলেও বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করতে পারলেন না। তিনি বললেন, কোনাে আলেম তাফদ্বীলিয়্যাহ (হযরত আলি রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে অপর তিন খলিফার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া] আক্বিদা রেখে তাঁর জবাব দেয়া সম্ভব নয়।
পরিশেষে তিনি গাড়ী নিয়ে আ'লা হযরতের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করলেন। পরবর্তীতে সে মাওলানা সাহেবের লিখিত কিতাব "শরহে আক্বায়েদে নসফি"র ব্যাখ্যাগ্রন্থ "নাজমুল ফারায়েদে" উপর্যুক্ত আক্বিদার ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পক্ষে অভিমত পেশ করেন।
(মাওলানা আবদুল হাকিম শরফ কাদেরি রচিত "হায়াতে আ'লা হযরত", প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা: ৭৭। আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ২৭৯ )।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন