শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১

কানযুল_ঈমান_শ্রেষ্ঠ_কেন


 কানযুল_ঈমান_শ্রেষ্ঠ_কেন?


পৃথিবীর বিশুদ্ধতম কুরআনের অনুবাদ কানযুল ঈমান অনুবাদ  করেছেন শতাব্দীর মুজাদ্দীদ ইমাম আহমদ রেজা খান।১৯১১ সালে উর্দূ ভাষায় অনুদিত এই গ্রন্থটি ইংরেজি, ফরাসি,জার্মানি,হিন্দি,ডাচ,বাংলা পশতু,সিন্ধী,গুজরাটি,কেরেলা, জাপান সহ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের একুশটি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মজিদুল্লাহ কাদেরী,কানযুল ইমানের উপর সর্বপ্রথম পি.এইচ.ডি করেন।প্রফেসর শাহ ফরিদুল হক প্রথম ইংরেজি অনুবাদ করেন যা পৃথিবীর সকল দেশে সমাদৃত হয়েছে। আমেরিকার কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ইউরোপের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়,ভারত ও পাকিস্তানের সকল প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইমাম আহমদ রেজার  কানযুল ইমান ও  আহমদ রেজার জীবন কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে পি.এইচ.ডি-এমফিল হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমাম আহমদ রেজার নাত সাহিত্যের ওপর প্রফেসর ডক্টর রশিদ সাহেবের তত্ত্বাবধানে পি.এইচ.ডি হয়েছে।ঢাকা,চট্টগ্রাম,জগন্নাথ,কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ইমাম আহমদ রেজার বিভিন্ন দিক নিয়ে এমফিল -পিএইচডি অব্যাহত রয়েছে।কুরআন শরিফের অনুবাদ সাহিত্যে কানযুল ইমানের শ্রেষ্ঠত্বের  ওপর সমসাময়িক বিভিন্ন  অনুবাদকের কুরআন শরীফের ১৫টি  আয়াতের অনুবাদ নিয়ে তুলনামূলক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরনি বাংলা অনুবাদের ভূমিকাতে সংযুক্ত রয়েছে যেখানে অন্যান্য অনুবাদের চেয়ে কানযুল ইমানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে।

আজ থেকে ২৬ বছর আগে ৯৫' সালে চট্টগ্রাম মুসলিম হলে,ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য অধ্যাপক,গবেষক,প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদ্রাসা গুলোর অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস,মুফাসসির ও মুফতিদের উপস্থিতিতে একটি বিশাল প্রকাশনা উৎসব উদযাপিত হয়েছিল।দীর্ঘ ২৬ বছরে একত্রিশটি এডিশন ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে,কিন্তু এই পর্যন্ত কোনো বাংলা ভাষাভাষী,ইমাম আহমদ রেজার অনুবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলার দুঃসাহস করেনি।মুসলিম হলের সে প্রকাশনা উৎসবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর,প্রফেসর ডক্টর রইচ উদ্দীন বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিধিনিষেদ না থাকলে আমি এই অনুবাদের জন্য পি.এইচ.ডি ডিগ্রি দিতাম।সদ্য ওফাত প্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ রশিদ কানযুল ইমানের অনুবাদ পড়ে অভিভূত হয়ে অনুবাদক কে সৈয়েদুল মুতারাজ্জামিন উপাধি দিয়েছিলেন।১৯১১ সাল থেকে আজ একশ দশ বছরে কানযুল ইমান নিয়ে পৃথিবীর কোনো স্থানে কেউ এই ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর দুঃসাহস করেনি।জ্ঞান,বুদ্ধি,বিবেক ও যুক্তির কাছে পরাজিত হয়ে এক বদনসিব প্রচন্ড ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে,যা অমার্জনীয়।

এদেশের দ্বীনদার,ইমানদার,সুফীবাদি সুন্নী মুসলমানেরা বিষয়টিকে সহজ ভাবে গ্রহণ করেনি।কানযুল ইমান পড়ে সে নিজেই তার ফতোয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।জনগণ মাঠে নামার পূর্বেই তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।ইতিমধ্যে মুফতী মোতালেব হোসেন সালেহী যে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।কানযুল ইমানের বিশুদ্ধতার পক্ষে আমরা আনুষ্ঠানিক বাহাছ করতে প্রস্তুত।


 © স.উ.ম. আবদুস সামাদ সাহেব,

       বিশিষ্ট আ'লা হযরত গবেষক।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন