মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

ব্রিটিশ সরকার, বিচার বিভাগ ও ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি

 


ব্রিটিশ সরকার, বিচার বিভাগ ও ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি


 ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ব্রিটিশদের অবৈধ দখলদার হিসাবে গণ্য করতেন। ব্যবসার বাহানা দিয়ে হিন্দুস্থানে এসে রাষ্ট্র ক্ষমতার মালিক সেজে যাওয়া ইংরেজদের প্রতি ইঙ্গিত করে ঘুমন্ত মুসলিমজাতিকে জেগে উঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন-

(কিতাবে উর্দু উল্লেখ আছে)

'অরণ্য জঙ্গল আচ্ছাদিত তিমির রাত, অন্ধ তমস ঘন কালাে মেঘজালে।

হে ঘুমন্ত! জেগে ওঠো, চোরেরাই পাহারা দিচ্ছে"


ব্রিটিশ বিচারালয় সম্পর্কে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি অত্যন্ত বিরুপ ভাবাপন্ন ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ বিচার বিভাগের শরণাপন্ন না হয়ে মুসলমানদেরকে নিজেদের বিচার নিজেরা সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।


১৩৩১ হিজরি ১৯১২ ঈসায়ী মুসলমানদের অবস্থার উন্নতির জন্য তিনি কিছু পরামর্শ পেশ করেন। তিনি বলেন- "রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিশেষ কিছু বিষয় ছাড়া মুসলমানগণ যদি নিজেদের বিভেদগুলাে নিজেরাই সমাধান করতেন এবং ব্রিটিশ বিচারালয়ে মােকাদ্দমা করে কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হতে বিরত থাকতেন, তাহলে তারা অসংখ্য পরিবারের ধ্বংস সাধন করতে সক্ষম হতাে না"।


বিচারের জন্য ব্রিটিশ আদালতে শরণাপন্ন হওয়াকে আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি শুধু অর্থনৈতিক অপচয় বিপর্যই বিবেচনা করতেন না; বরং ইসলামি মৌলনীতিরও পরিপন্থী বলে বিবেচনা করতেন। আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বিচার বিভাগীয় যাবতীয় জ্ঞান দান করেছেন। সুতরাং মুসলমান কেনইবা দ্বীন ইসলামকে ব্রিটিশ বিচারালয়ে নিয়ে যাবে?

(*ইমাম আহমদ রেযা রচিত "তাদবিরে ফালাহ ওয়া নাজাহ ওয়া এসলাহ", পৃষ্ঠা: ০৫, প্রকাশকাল ১৩৩১ হিজরি, ১৯১২ ইংরেজি, লাহাের থেকে প্রকাশিত।

*আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,পৃষ্ঠা - ৮৩,৮৪)।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন