সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

আ'লা হযরতের শৈশবকাল




তাঁর নাম মোবারক ছিল মুহাম্মদ। কিন্তু তাঁর পিতামহ তাঁকে আহমদ রেযা বলে ডাকতেন বিধায় তিনি ঐ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

সাধারণত প্রত্যেক যুগের বাচ্চাদের অবস্থা আজকাল বাচ্চাদের অবস্থার মত যে, সাত আট বৎসর পর্যন্ত তাদের কোন কথার হুশ থাকেনা এবং তারা কোন বিষয়ের চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে না। তবে আলা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর শৈশবকাল খুবই গুরুত্ব বহনকারী ছিল। শৈশবকাল এবং কম বয়সের বুদ্ধিমত্তা ও স্মরণশক্তির অবস্থা এরকম ছিল যে, মাত্র সাড়ে ৪ বছরের ছোট্ট বয়সে কুরআন শরীফ সম্পূর্ণ নাযেরা পড়ার নেয়ামত লাভে ধন্য হন, ৬ বছর বয়সে রবিউল আওয়ালের পবিত্র মাসে মিম্বরে আরোহণ করে মিলাদুন্নবী (ﷺ) বিষয়বস্তুর উপর এক বড় ইজতিমাতে চমৎকার বয়ান করে ওলামায়ে কেরাম এবং মাশায়েখে ইজামদের প্রশংসা এবং বাহবাহ অর্জন করেন। এই বয়সে তিনি বাগদাদ শরীফের ব্যাপারে দিক নির্ধারণ করে নেন, আর সারা জীবন হুযুর গাওসে আযম ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ (অর্থাৎ গাওসে আযমের মোবারক শহরের) দিকে কখনো পাদ্বয়কে প্রসারিত করেননি। নামাযের প্রতি তাঁর খুবই ভালবাসা ছিল। এমনকি পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাআত সহকারে তাকবিরে উলাকে সংরক্ষণ করে মসজিদে গিয়ে আদায় করতেন। যখনই কোন মহিলা সামনে পড়ে যেত তবে তৎক্ষণাৎদৃষ্টিকে নত করে মাথা ঝুঁকিয়ে নিতেন।

যেন, সুন্নাতে মুস্তফা (ﷺ) এর প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল, যেটার বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে হুযুর পুরনূর (ﷺ) এর মহান খেদমতে এভাবে সালাম পেশ করেন:

“নিচি আখো কি শরম ও হায়া পর দরূদ

উঁচি বিনি কি রিফআত পে লাখো সালাম।”

আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ছোটবেলায় এমন তাকওয়া অর্জন করেছিলেন যে, চলার সময় পাদ্বয়ের আওয়াজও শুনা যেতনা। সাত বছর বয়স থেকেই রমজানুল মোবারক মাসের রোযা রাখা শুরু করেন। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৩০তম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা)।

_________________

ইমাম আহমদ রেযার জীবনী🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন