শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

 


      এম ফিল গবেষণা

১) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি আরবি খিদমাত।গবেষক : মাওলানা ফয়জুল হাসান ফয়েজি।

ইউনিভার্সিটি : পেশােয়ার ইউনিভার্সিটি, পেশোয়ার, পাকিস্তান।রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ১৯৯৭ ঈসায়ী।

২) শিরােনাম : আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা আল কাদেরি ওয়াজুহুদুহফিমজালিল আকিদাতিল ইসলামিয়্যাহ ফি শিবহিল কাররাতিল হিন্দিয়া।গবেষক : মাওলানা জালাল উদ্দিন আযহারি (বাংলাদেশ)।

তত্ত্বাবধায়ক : ড. মুহাম্মদ সাঈদ জামাল উদ্দিন। অধ্যাপক, ফার্সি বিভাগ, আঈন শমস বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউনিভার্সিটি : কায়রাে ইউনিভার্সিটি, কায়রাে, মিশর।

রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ২০০২ ঈসায়ী।

৩) শিরােনাম : আছরুস সিকাফতিল আরাবিয়্যাহ ফিল মাদায়েহিন নববিয়্যাহ আল উদূবিয়্যাহ লিল ইমাম আশ শায়খ আহমদ রেযা খান।

গবেষক : মাওলানা জুফর ইকবাল।

ইউনিভার্সিটি : আন্তর্জাতিক ইসলামি ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ২০০৩ ঈয়াসী।

__________________

এম এড পর্যায়ে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র শিক্ষানীতির উপর লিখিত গবেষণাধর্মী প্রবন্ধাবলি :

১) প্রবন্ধকার : মুহাম্মদ আফজল

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তালিমি নযরিয়্যাত ওয়া আফকার।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই, আই, আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি।

২) প্রবন্ধকার : এম শাহেদ আলি

শিরোেনাম : আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী কি ইলমি খিদমাত।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই, আই, আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি।

৩)প্রবন্ধকার : ক) চৌধুরী মুহাম্মদ ইয়াকুব খ) মুহাম্মদ হাফিজ কম্বো।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী আওর মাওলানা মাওদুদি কি তালিমি নযরিয়্যাত আওর তাসাওউরাত কা তাকাবুলি জায়িযাহ।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৪) প্রবন্ধকার : মুহাম্মদ আসলাম আলি।

শিরােনাম : আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি আফকার কি রুশনি মে তাসাওউরে তা'লিম ওয়া নিসাব।

লেভেল : মাস্টার্স

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৫) প্রবন্ধকার : ক) খাদেম হােসাইন খ) মুহাম্মদ আশরাফ।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি ইসলাহ ওয়া তা'লিমি খিদমাত।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৬) প্রবন্ধকার : ক) আবদুল ওয়াহিদ গুল খ) রশিদ আহমদ।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তা'লিমি নযরিয়্যাত ওয়া আফকার।

লেভেল : মাস্টার্স

গবেষণাস্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৭) প্রবন্ধকার : ক) হাফিজ জুলফিকার আলি খ) গােলাম আহমদ।

শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তা'লিমি নযরিয়্যাত কা জায়িযাহ।

লেভেল : মাস্টার্স।

গবেষণা স্থান : আই আই আর পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাকিস্তান।

৮) প্রবন্ধকার : খালেদা পারভীন।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কি তা'লিমি আফকার ওয়া নযরিয়্যাত কা জায়িযাহ।

লেভেল : মাস্টার্স

গবেষণা স্থান : গভর্নমেন্ট কলেজ অব এডুকেশন, ফয়সালাবাদ,পাকিস্তান।

৯) প্রবন্ধকার : এম ওয়ারেস।

শিরােনাম : এসলাহে মাআশেরে কে লিয়ে মাওলানা আহমদ রেযা খান কি সাঈ ওয়া কাওশা কা জায়িযাহ।

লেভেল : এম এড সম্মান।

গবেষণাস্থান : গভর্ণমেন্ট কলেজ অব এডুকেশন, ফয়সালাবাদ, পাকিস্তান।

১০) প্রবন্ধকার : আজিমুল্লাহ জুন্দুরান।

শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান আওর আল্লামা ইকবাল কি তালিমি নযরিয়্যাত কা তাকাবুলি জায়িযাহ।

লেভেল : এম এড সম্মান।

গবেষণাস্থান : ভাওয়ালপুর ইসলামি ইউনিভার্সিটি, টিচার্স ট্রেনিং বিভাগ,পাকিস্তান।

১১) প্রবন্ধকার : তুর্ক অলি মুহাম্মদ।

শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা খান কি তা'লিমি নযরিয়্যাত।

লেভেল : এম এড সম্মান।

গবেষণাস্থান : করাচি ইউনিভার্সিটি, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন, করাচি, পাকিস্তান। (সংক্ষেপ)

________________

ডি লিট গবেষণা থিসিস

শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি আদবি খিদমাত।

গবেষক : মাওলানা মুফতি ড. মুহাম্মদ মুকাররম আহমদ।

ইউনিভার্সিটি : জওহরলাল ইউনিভার্সিটি, নিউদিল্লি, ভারত।

রেজিস্ট্রেশন অনুমােদন : ১৯৯৮ ঈসায়ী।

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর আরোপিত অপবাদের জবাব,কৃত: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেযভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি,পৃ:- ৩৪,৩৫,৩৬,৩৭)।


বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০


“কিছ্ তরেহ ইত্নে ইলম কে দরয়া বাহা দিয়ে
উলামায়ে হক্ব কি আকল তো হায়রান হে আজ ভি।”
ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ

হযরত সায়্যিদ আইয়ুব আলী সাহিব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বর্ণনা করেন: “একদিন আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বলেন: “আমার সম্পর্কে কিছু অনবহিত লোক আমার নামের আগে হাফেজ লিখে থাকেন, অথচ আমি পবিত্র কুরআনের হাফেজ নই।” সায়্যিদ আইয়ুব আলী সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ আরও বর্ণনা করেন, “যেদিন আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এ কথা বলেছেন, সেদিন থেকে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করা শুরু করে দেন এবং ইশার নামাযের জন্য অযু করার পর থেকে জামাআত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কুরআন শরীফ মুখস্থ করার জন্য সময় নির্ধারণ করে নেন। এভাবে তিনি দৈনিক এক পারা করে মাত্র ত্রিশ দিনে ত্রিশ পারা কুরআন শরীফ হিফজ করা শেষ করেন। এক জায়গায় তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ  বলেন যে, আমি কুরআন শরীফ ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুখস্থ করি আর তা এজন্য যে, ঐসব আল্লাহর বান্দার কথা (যারা আমার নামের আগে হাফেজ লিখে দেয়) যেন ভূল প্রমাণিত না হয়। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২০৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)

আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে মাগফিরাত হোক।

ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ
ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ
________________

ইমাম আহমদ রেযার জীবনী
🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

১২৯৪ হিজরি জুমাদাল উলার কোনাে এক তারিখে দুপুর বেলা প্রিয় নবিজির সুন্নাত মােতাবেক কায়ললাহ (দুপুর আহারের পর শয়ন) করলেন। এক অজানা কারণে তাঁর নয়নযুগল অশ্রুতে পরিপূর্ণ। কোনাে এক অপরিচিত স্থান থেকে তাঁর মাশুক তাঁকে যেনাে ডাকছে। আর মাশুকের হৃদয়গ্রাহী ডাকটি যেনো তাঁকে কাঁদাচ্ছে নীরবে।
অশ্রুসিক্ত নয়নে নিদ্রার মিলন ঘটলে দেখতে পান তাঁর সম্মানিত পিতামহ যুগশ্রেষ্ট ওলিয়ে কামেল হযরত আল্লামা রেযা আলি খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে। তিনি তাঁকে (আ'লা হযরত) সিন্ধুক থেকে কি যেনাে দিলেন এবং তাঁকে সম্বােধন করে এরশাদ ফরমালেন, অনতিবিলম্বে ঐ ব্যক্তি আসছেন, যিনি তােমার ব্যথার ঔষধ দেবেন।
স্বপ্নের দ্বিতীয় দিনে সে সময়ের খ্যাতিমান আলেম তাজুল ফহুল মুহিব্বে রাসুল আল্লামা আবদুল কাদের বদায়ুনি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বদায়ুন শহর থেকে বেরেলিতে তশরিফ আনলেন। আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সাথে বায়আত গ্রহণের পরামর্শ করলে তিনি।বলেন, আপনার মতাে মহান ব্যক্তির পীর মারেহেরা শরিফেই রয়েছে। তিনি হােসাঈনি সৈয়্যদ। মা'রেফে লুদুনিয়্যার প্রস্রবণ। তাঁর নাম সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি বারকাতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এ কথা শুনামাত্র তিনি তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা নকি আলি খান ও আল্লামা বদায়ুনির রহমাতুল্লাহি আলাইহি সাথে রওনা দিলেন মারেহেরা দরবারের পথে। আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বেরেলি স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে মারেহেরা স্টেশনে নামা মাত্রই বললেন আমার নাকে একজন কামিল পীরের সুগন্ধ আসছে। পরিশেষে মারেহেরা শরিফে সে মহান পীর সুলতানুল আউলিয়া সৈয়্যদুনা খাজা সৈয়্যদ শাহ আলে রাসূল হােসাঈনি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র খেদমতে হাজির হন এ ক্রিরত্ন। এ মহান আল্লাহর অলি আ'লা হযরত ইমাম আইমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে লক্ষ্য করে বললেন, আসুন! আমি তাে কয়েক দিন ধরে আপনার অপেক্ষায় রয়েছি। আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর পিতা এ মহান আধ্যাত্মিক সাধকের হাতে বায়আত গ্রহণ করলেন। বায়আত হতে না হতেই এ মহান পীর আ'লা হযরত ও তাঁর শ্রেদ্ধেয় আব্বাকে খেলাফত ও ইজাযতদানে ধন্য। করেন এবং আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র মাথায় পরিয়ে দেন সকল সিলসিলার ইজাযতের তাজ। সকল অযিফা - আওরাদ আশগাল এবং ইজাযতসম্পন্ন অযিফার সিন্ধুক নামে প্রসিদ্ধ ছােট একটি বক্স দান করলেন, যেভাবে তাঁকে তাঁর সম্মানিত দাদা কয়েকদিন পূর্বে স্বপ্নে দিয়েছিলেন। হুযুর আলে রাসূল মারেহেরাভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র তৎক্ষণাৎ খিলাফত প্রদানের ঘটনা দেখে উপস্থিত সকলে হতবাক। সাহস করে শাহ আলে রাসূলের নাতি কুতুবে দাওরা যুবদাতুস সালেকিন শায়খুল আরেফিন সৈয়্যদ শাহ আবুল হােসাঈন আহমদ নুরি মিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর শ্রদ্ধেয় দাদা শাহ আলে রাসূল রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে সম্বোধন করে আরয করলেন, হুযুর এ ছােট্ট বাইশ বছরের ছেলের উপর এত বড় দয়া! একটি সিলসিলার খেলাফত নয়: বরং সমস্ত সিলসিলার! একি রহস্য? অথচ আমরা জানি আপনার এখানে খেলাফত পাওয়া খুবই কঠিন। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কঠোর রিয়াযত ও যবের শুকনাে রুটি খেয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিশ্রমের মাধ্যমে তরিকতের মনযিলগুলাে (স্তর) অতিক্রম করিয়ে যোগ্য করে নেয়া হয়। তারপর যিনি যোগ্য পুরুষ বলে বিবেচিত তাকে খেলাফতের দৌলত দানে ধন্য করেন। তাও আবার একটি বা দু'টির চেয়ে বেশি নয়। কিন্তু এ বাচ্চা কোনো প্রকার সাধনা ও রিয়াযত ব্যতীত সকল সিলসিলার খেলাফত ও সমস্ত আমাল, আওরাদ, আশগালের অনুমতি পেয়ে গেলাে! একি রহস্য!
হযরত শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি বারকাতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আপন পৌত্রের এ কথা শুনে ইরশাদ ফরমালেন, "তুমি মাওলানা আহমদ রেযা সম্পর্কে কী জান? অন্যান্যরা এখানে অপবিত্র কলব নিয়ে আসে, ফলে কঠোর সাধনা করিয়ে এদেরকে তৈরি করতে হয় বলে খেলাফত অর্জনেও সময় লাগে। কিন্তু এঁরা দু'জন অত্যন্ত পবিত্র কলব নিয়ে আমার নিকট এসেছে। এঁরা তাে তৈরি হয়ে এসেছেন। এঁদের কেবল একটি নিসবত বা শিষ্যত্বের প্রয়ােজন। এখানে এসে তাও অর্জন হয়ে গেলাে।" তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে আরাে বললেন, "আমি আলে রাসুল এতদিন এ চিন্তায় ছিলাম যে, কাল কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, হে আলে রাসূল! তুমি আমার জন্য কী এনেছাে? আজ আমার সেই চিন্তা দূরীভূত হলাে। আমি উত্তরে আল্লাহ তায়ালাকে বলবাে- হে আল্লাহ! আমি তােমার দরবারে আহমদ রেযাকে নিয়ে এসেছি।"
এরপর হযরত নুর মিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে সম্বােধন করে আরাে বললেন,আজ থেকে আমার ও আমার মাশায়েখদের মুদ্রিত - অমুদ্রিত কিতাবসমূহ যতক্ষণ না মাওলানা আহমদ রেযাকে দেখানাে হবে, ততক্ষণ ছাপানাে নিষিদ্ধ। যেটাকে ওনি ছাপানাের অনুমতি দেবেন, তা ছাপানাে হবে। যেটাকে তিনি নিষেধ করবেন, সেটা কখনাে ছাপাবে না। আর আমাদের কিতাবসমূহে তিনি যদি কোনাে এবারত কোটে দেন, তবে তা মাশায়েখদের পক্ষ থেকে মনে করবে। আর যদি তিনি কোনাে বৃদ্ধি করে দেন, তাও মাশায়েখদের পক্ষ থেকে মনে করবে। প্রিয়নবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র পক্ষ থেকে এ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।"

অতঃপর হযরত শাহ আলে রাসূল মারেহেরাভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র উপর
ফয়যে এত্তেহাদি বা তাওয়াজ্জুহে তাশবিহি (মুরিদের উপর এমন দৃষ্টি দেওয়া, যাতে মুরিদ পীরের আকৃতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। এটা বড় কামিল পীরদের দ্বারা সম্ভব) দানে ধন্য করলেন। তখন আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র চেহারা মুবারক হুবহু আলে রাসূল রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র মতাে হয়ে গেলাে। শুধু পার্থক্য এতটুকুনই ছিলাে যে, হুযুর আলে রাসূল রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র দাঁড়ি মুবারক সাদা আর আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র দাঁড়ি মুবারক কালাে। আধ্যাত্মিকতার কতাে মহান আসনে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর পিতা অধিষ্টিত ছিলেন, তা উপর্যুক্ত ঘটনা থেকে সহজেই অনুমেয়।
তাঁর আধ্যাত্মিকতার প্রথম অবস্থা যদি এতাে উন্নত ও পরিপূর্ণতায় ভরপুর হয়, তবে তার শেষ অবস্থার উন্নতি কতাে শীর্ষে হবে, তা বর্ণনাতীত। তাঁকে অনেক পীর-মাশায়েখ বায়আত ছাড়াই খিলাফত প্রদানে ধন্য করেন। প্রায় ১৩টি সিলসিলার খেলাফত অর্জনের সৌভাগ্য হয়।

(জীবন ও কারামত রচিত "মাওলানা শামশুল আলম নঈমি", পৃষ্ঠা : ৫৬। মাওলানা মুহাম্মদ আহমদ মিসবাহি রচিত "ইমাম আহমদ রেযা অওর তাসাউফ", পৃষ্ঠা: ১০, প্রকাশসন: ১৯৮৮ ইংরেজি, আল মজমাউল ইসলামি, মুবারকপুর, ভারত।

(আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভীর উপর আরােপিত অপবাদের জবাবঃ অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেযভি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি), পৃষ্ঠা - ১৪৯.১৫০.১৫১)


বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০


আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি শুধু ফাতওয়া প্রদানে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতেন না, তা নয়; বরং তাবিজ প্রদানের কোনাে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতেন না। মাওলানা জুফরুদ্দিন বিহারি রচিত "হায়াতে আ'লা হযরত" নামক কিতাবে রয়েছে- "জনৈক ব্যক্তি আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র খেদমতে কিছু মিঠাই নিয়ে উপস্থিত হলেন। আলা হযরত রহমাতুল্লাহি  আলাইহি তাকে বললেন, 'আপনি এতাে কষ্ট কেনাে করলেন?
লােকটি বললাে, 'উপহার মাত্র। কিছুক্ষণ পর লােকটি আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি 'র কাছে একটি তাবিজ চাইলেন। আলা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি  বললেন, 'সাধারণতঃ আমি তাবিজ লিখি না। তবে প্রয়ােজনে আমার আপনজন যাঁরা এ কাজে নিয়ােজিত, তাঁদের থেকে নিয়ে দিই। অনুরূপভাবে তাবিজ নিয়ে লােকটিকে দিলেন। আর সাথে সাথে খাদেমকে লােকটির আনিত মিঠাই ফেরত দেয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন।

লােকটি বললেন, 'হুযুর! এ মিঠাই তাে তাবিজ গ্রহণের হাদিয়া স্বরূপ নয়; বরং আপনার জন্য তােহফা হিসেবে এনেছি। 'আমাদের এখানে তাবিজ বিক্রি করা হয় না' বলে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লােকটির মিঠাই ফেরত দিয়ে দিলেন।

প্রিয় পাঠক! ফল তার গাছের দ্বারা পরিচিত হয়। যেমনিভাবে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র জীবন ছিলাে পার্থিব মােহমুক্ত ও দুনিয়াদার রাজা বাদশাহদের সংশ্রব ও তাদের থেকে ফায়দা লুঠা থেকে মুক্ত তেমনিভাবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তাঁর সম্মানিত আওলাদগণও।
(মাওলানা জুফরুদ্দিন বিহারি রচিত"হায়াতে আ'লা হযরত",পৃষ্ঠা - ২৯)।

{আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উপর আরোপিত অপবাদের জবাব, কৃত: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেযভী,পৃষ্ঠা - ২৬৭-২৬৮}

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০



অনুসন্ধানে পাওয়া যায় যে, এ পর্যন্ত (২০১৬ ঈসায়ী) ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উপর প্রায় ২৩ জনের অধিক গবেষক পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Ph.D. ডিগ্রি লাভ করেছেন।


নিম্নে গবেষকদের নামসহ যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হলাে।

১) শিরােনাম : ফকিহে ইসলাম।
গবেষক :  ড. মুহাম্মদ হাসান রেযা খান
তত্ত্বাবধায়ক : ড. আতগার শের
ইউনিভার্সিটি : পাটনা ইউনিভার্সিটি, পাটনা, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৭৯ ঈসায়ী।

2) শিরোনাম: Devotional Islam & Politics In British India Ahmad Raza Khan Berielvi And His Movement 1870-1920
গবেষক :  ড. মিসেস উশা সানিয়াল
ইউনিভার্সিটি : কলম্বো ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯০ ঈসায়ী।

৩) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা, হায়াত আওর কারনামে।
গবেষক : ড. তৈয়ব আলি রেযা আনছারি
তত্ত্বাবধায়ক : ড. কমর জাহান, চেয়ারম্যান: উর্দু বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : হিন্দু ইউনিভার্সিটি, বেনারস, ভারত।
অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

৪) শিরােনাম : কানযুল ইমান আওর দিগর মা'রুফ উর্দু কুরআনি তরাজিম কা তাকাবুলি জায়েজাহ।
গবেষক : প্রফেসর ড. মজিদ উল্লাহ কাদেরি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. মাসউদ আহমেদ
ইউনিভার্সিটি : কারাচি ইউনিভার্সিটি, কারাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

৫) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা বেরেলভী কি হালাত আফকার আওর এসলাহি কারনামে (সিন্ধি)।
গবেষক : প্রফেসর ড. মাওলানা হাফেজ আবদুল বারি সিদ্দিকি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. মদদ আলি কাদেরি
ডীন: ফ্যাকাল্টিট আব আর্টস
ইউনিভার্সিটি : সিন্ধু ইউনিভার্সিটি, জাম শুরদ, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

৬) শিরােনাম : আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা আওর উনকি নাত গােয়ী।
গবেষক : ড. সৈয়্যদ জামিল উদ্দিন রাটভি
ইউনিভার্সিটি : ড. হারি সিং গাের বিশ্ববিদ্যালয়, মহারষ্ট্র, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯২ ঈসায়ী।

৭) শিরােনাম : হযরত রেযা বেরেলভী বা-হায়ছিয়তে শায়েরে নাত।
গবেষক : ড. মুহাম্মদ ইমাম উদ দীন (জাফর শাফি আবেদি)
ইউনিভার্সিটি : বিহার ইউনিভার্সিটি, মুজাফফরপুর, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯২ ঈসায়ী।

৮) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা কি না'তিয়া শায়েরি।
গবেষক : ড. সিরাজ আহমদ বসতবি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. আবুল হাসানাত হক্কি
চেয়ারম্যান, উর্দু বিভাগ।
ইউনিভার্সিটি : কানপুর ইউনিভার্সিটি, কানপুর, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন ও ১৯৯৫/১৯৯৭ ঈসায়ী।

৯) শিরােনাম : উর্দু না'ত গােয়ী আওর ফাযেলে বেরেলভি।
গবেষক : ড, আবদুন নঈম আজিজি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. জেড এইচ ওয়াসিম
চেয়ারম্যান, উর্দু বিভাগ।
ইউনিভার্সিটি : রুহিল ক্যাণ্ড ইউনিভার্সিটি, বেরেলি, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৪ ঈসায়ী ।

১০) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা বেরেলভী কি ফিকহি খিদমাত।
গবেষক : প্রফেসর ড. আনওয়ার খান।
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. এইচ এম সাঈদ
সাবেক চেয়ারম্যান : ধর্মতত্ত্ব পর্যালােচনা বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : সিন্ধু ইউনিভার্সিটি, জামশুরদ, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৮ ঈসায়ী।

১১) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কা তাসাওউরে ইশক।
গবেষক : ড. মাওলানা গােলাম মােস্তফা আনজুম আল কাদেরি
তত্ত্বাবধায়ক : ড. জাহান আরা বেগম, চেয়ারম্যান: উর্দু বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : মাইশুর ইউনিভার্সিটি, ভারত।
ভিগ্রি অর্জনের সন : ২০০২/২০০৩ ঈসায়ী।

১২) শিরােনাম : রুহিল ক্যান্ড কে নছরি আরতাকা মে মাওলানা আহমদ রেযা খান কি হিসসা।
গবেষক : ড. রেযা উল রাহমান আকিফ সানবাহলি
ইউনিভার্সিটি : রুহিল ক্যান্ড ইউনিভার্সিটি, বেরেলি, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৩ ঈসায়ী।

১৩) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি ইনশা পরকাদাজি।
গবেষক : ড. গােলাম গাউস কাদেরি
ইউনিভার্সিটি : রানচি ইউনিভার্সিটি, জাকারহাও, বিহার, ইন্ডিয়া
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৩ ঈসায়ী

১৪) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি ফিররি তানকিদি জায়িযাহ।
গবেষক : ড. মাওলানা আমজাদ রেযা কাদেরি
তত্তাবধায়ক : প্রফেসর ড. তালহা বরক রিযভি।
ইউনিভার্সিটি : ওয়ের কিনর সিং ইউনিভার্সিটি, ভুজপুর, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ১৯৯৩ ঈসায়ী।

১৫) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান কি না'তিয়া শায়েরি কা তারিখি আওর আদবি জায়িযাহ।
গবেষক : ড. আনিসা তানযিমুল ফেরদৌস
তত্ত্বাবধায়ক : ড. ফরমান ফতেহপুরি
হউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী

১৬) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা আওর উনকি মাকতুবাত।
গবেষক : ড. গােলাম জাবের শামস মিসবাহি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. আলিম উল্লাহ হালি
চেয়ারম্যান : উর্দু বিভাগ
ইউনিভার্সিটি : মগ্ধা ইউনিভার্সিটি, বিহার, ভারত।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী।

১৭) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা কি আদবি ওয়া লিসানি খিদমাত।
গবেষক : ড. রিয়াজ আহমদ
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী।

১৮) শিরােনাম : আশ শায়খ আহমদ রেযা শায়েরান আরবিয়্যান মায়া তাদওয়িনে দিওয়ানিহিল আরবি।
গবেষক : ড. সৈয়্যদ শাহীদ আলি নুরানি
ইউনিভার্সিটি : পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাঞ্জাব, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৪ ঈসায়ী।

১৯) শিরােনাম : মাওলানা আহমদ রেযা খান কি খিদমাত উলুমে হাদিস কা তাহকীকি আওর তানকিদি জায়িযাহ।
গবেষক : ড. মাওলানা মানজুর আহমদ সাঈদ
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসউদ আহমদ
ইউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬/২০০৭ ঈসায়ী।

২০) শিরােনাম : বররে সগির কি সিয়াসি তারিকাত মে ফাতাওয়ায়ে রেযভিয়্যাহ কা এক তাহকিকি জায়িযাহ।
গবেষক : প্রফেসর ড. ইসহাক মাদানি
ইউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬ ঈসায়ী

২১) শিরােনাম : আয যালালুল আনকা মিন বাহরে সবকাতিল আতকা। (লেখক- ইমাম আহমদ রেযা)
গবেষক : প্রফেসর ড. মাওলানা আশফাক আহমদ জালালি
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. জহুর আহমদ আজহার
ইউনিভার্সিটি : পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, পাঞ্জাব, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬/২০০৯ ঈসায়ী।

২২) শিরােনাম : ইমাম আহমদ রেযা আওর উনকি খােলাফা কি তাহরিকে পাকিস্তান মে কিরদার।
গবেষক : ড. মুহাম্মদ হাসান ইমাম
তত্ত্বাবধায়ক : প্রফেসর ড. জালাল উদ্দিন নুরি
ইউনিভার্সিটি : করাচি ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০০৬/২০০৮ ঈসায়ী।

২৩) শিরােনাম : আসরুল ছাকাফাতিল আরাবিয়্যাহ ফিল মাদহিল নববিয়্যাতিল আউদিয়্যাহ লিশ শায়খ আহমদ রেযা খান।
গবেষক : ড. জাফর ইকবাল জালালি
ইউনিভার্সিটি : ফয়সালাবাদ ইউনিভার্সিটি,পাকিস্তান।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০১১ ঈসায়ী।

২৪) শিরােনাম : মহানবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামা এর শানে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (রা) রচিত নাত সাহিত্য ও একটি বিশ্লেষণ
গবেষক : ড. মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন
তত্ত্বাবধায়ক : ড. মুহাম্মদ আবদুর রশিদ
ইউনিভার্সিটি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ডিগ্রি অর্জনের সন : ২০১৬ ঈসায়ী।

(সংক্ষেপ)

(ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান বেরেলভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর উপর অপবাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব,কৃত: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন রেজভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।)

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০




তাঁর নাম মোবারক ছিল মুহাম্মদ। কিন্তু তাঁর পিতামহ তাঁকে আহমদ রেযা বলে ডাকতেন বিধায় তিনি ঐ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

সাধারণত প্রত্যেক যুগের বাচ্চাদের অবস্থা আজকাল বাচ্চাদের অবস্থার মত যে, সাত আট বৎসর পর্যন্ত তাদের কোন কথার হুশ থাকেনা এবং তারা কোন বিষয়ের চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে না। তবে আলা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর শৈশবকাল খুবই গুরুত্ব বহনকারী ছিল। শৈশবকাল এবং কম বয়সের বুদ্ধিমত্তা ও স্মরণশক্তির অবস্থা এরকম ছিল যে, মাত্র সাড়ে ৪ বছরের ছোট্ট বয়সে কুরআন শরীফ সম্পূর্ণ নাযেরা পড়ার নেয়ামত লাভে ধন্য হন, ৬ বছর বয়সে রবিউল আওয়ালের পবিত্র মাসে মিম্বরে আরোহণ করে মিলাদুন্নবী (ﷺ) বিষয়বস্তুর উপর এক বড় ইজতিমাতে চমৎকার বয়ান করে ওলামায়ে কেরাম এবং মাশায়েখে ইজামদের প্রশংসা এবং বাহবাহ অর্জন করেন। এই বয়সে তিনি বাগদাদ শরীফের ব্যাপারে দিক নির্ধারণ করে নেন, আর সারা জীবন হুযুর গাওসে আযম ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ (অর্থাৎ গাওসে আযমের মোবারক শহরের) দিকে কখনো পাদ্বয়কে প্রসারিত করেননি। নামাযের প্রতি তাঁর খুবই ভালবাসা ছিল। এমনকি পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাআত সহকারে তাকবিরে উলাকে সংরক্ষণ করে মসজিদে গিয়ে আদায় করতেন। যখনই কোন মহিলা সামনে পড়ে যেত তবে তৎক্ষণাৎদৃষ্টিকে নত করে মাথা ঝুঁকিয়ে নিতেন।

যেন, সুন্নাতে মুস্তফা (ﷺ) এর প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল, যেটার বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে হুযুর পুরনূর (ﷺ) এর মহান খেদমতে এভাবে সালাম পেশ করেন:

“নিচি আখো কি শরম ও হায়া পর দরূদ

উঁচি বিনি কি রিফআত পে লাখো সালাম।”

আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ছোটবেলায় এমন তাকওয়া অর্জন করেছিলেন যে, চলার সময় পাদ্বয়ের আওয়াজও শুনা যেতনা। সাত বছর বয়স থেকেই রমজানুল মোবারক মাসের রোযা রাখা শুরু করেন। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৩০তম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা)।

_________________

ইমাম আহমদ রেযার জীবনী🖋আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলিয়াস আত্তার কাদেরী রযভী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan